১২:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘এই উপমহাদেশে একটি শক্তিশালী নারী আন্দোলন প্রয়োজন’

‌‘দক্ষিণ এশিয়ায় নারী আন্দোলন নির্মাণের প্রচেষ্টা’ শীর্ষক বক্তৃতা মালায় নারীপক্ষর প্রয়াত সদস্য নাসরীন হক এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘নাসরীন হক স্মারক বক্তৃতা’য় বক্তব্য দেন পাকিস্তান জাতীয় মহিলা কমিশনের সাবেক সভাপতি খাওয়ার মমতাজ।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে নারীপক্ষর উদ্যোগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নারী আন্দোলন ও মানবাধিকার কর্মী নাসরীন হকের দক্ষিণ এশিয়ায় নারী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নারীপক্ষের নির্বাহী সদস্য ও প্রাক্তন সভানেত্রী সদস্য অধ্যাপক ফিরদৌস আজীম, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মাহীন সুলতান।

খাওয়ার মমতাজ বলেন, প্রতিটি দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অবস্থান ও জাতি গঠনের উদ্যোগে নারীদের স্বাধীন কণ্ঠস্বরের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। পিছনে ফিরে তাকালে আমরা দেখতে পাই যে ভারতীয় উপমহাদেশে, জাতীয়তাবাদী সংগ্রামের প্রথম দিকে নারীদের অন্তর্ভুক্তি আন্দোলনকে কতটা গতিশীল করেছে। ইতিহাস আমাদের বলে দেয় যে রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়ায় নারীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে নারীর অধিকার এবং নারীবাদী চেতনার জোরদার বক্তব্যের জন্য সমসাময়িক আন্দোলনগুলি ৮০ দশকের পরবর্তী ঘটনা। নারীর সকল ধরনের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে এই উপমহাদেশের নারী সংগঠন গুলো প্রধান ভূমিকা পালন করে আসছে।

তিনি বলেন, ঘর থেকে রাষ্ট্র সর্বক্ষেত্রে নারীর গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নারী নেতৃত্বের বিকাশ এবং নারী আন্দোলন আরও জোরদার করা প্রয়োজন। এই উপমহাদেশে একটি শক্তিশালী নারী আন্দোলন প্রয়োজন রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ৮ টি দেশের নারী সংগঠনগুলো একসাথে মিলিত ভাবে কাজ করলে এই শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, নাসরীন হক যে সকল অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন তা শুধু নারী অধিকার আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি চেয়েছিলেন একটি সেতু রচনা করতে, যে সেতু জাতিতে-জাতিতে, ধনী-দরিদ্র, সমতল-পাহাড়ী, শহর-গ্রামীণ সকল মানুষের মধ্যে তৈরি করবে গভীর মানবিক সম্পর্ক। তিনি সংগ্রাম করেছেন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মৌলিক অধিকার এবং নারী মুক্তির জন্য। সব ধরনের, সব শ্রেণীর, ভাষার, ধর্মের, সম্প্রদায়ের, জাতিসত্তার, যৌন পরিচিতির সর্বোপরি সামাজিক কোন পার্থক্যই তাঁর জন্য দেয়াল তৈরি করতে পারে নাই। সকলের দিকেই তিনি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতেন।

নারী অধিকার কর্মীরা কাজ করতে গিয়ে অনেকসময় নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ চান পাকিস্তান জাতীয় মহিলা কমিশনের সাবেক সভাপতি খাওয়ার মমতাজের কাছে খাগড়াছড়ির পিংকি বড়ুয়া, হিরন নাহার, তাহমিনা ছাত্তার, সুমন কায়সার, নারীপক্ষের কামরুন নাহার, গাইবান্ধার মাজেদা খাতুন, আম্বিয়া, ফিরোজা প্রমুখ।

বিজনেস বাংলাদেশ/bh

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ঢাকা কলেজের পুকুরে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

‘এই উপমহাদেশে একটি শক্তিশালী নারী আন্দোলন প্রয়োজন’

প্রকাশিত : ০৪:১৯:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

‌‘দক্ষিণ এশিয়ায় নারী আন্দোলন নির্মাণের প্রচেষ্টা’ শীর্ষক বক্তৃতা মালায় নারীপক্ষর প্রয়াত সদস্য নাসরীন হক এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘নাসরীন হক স্মারক বক্তৃতা’য় বক্তব্য দেন পাকিস্তান জাতীয় মহিলা কমিশনের সাবেক সভাপতি খাওয়ার মমতাজ।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে নারীপক্ষর উদ্যোগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নারী আন্দোলন ও মানবাধিকার কর্মী নাসরীন হকের দক্ষিণ এশিয়ায় নারী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নারীপক্ষের নির্বাহী সদস্য ও প্রাক্তন সভানেত্রী সদস্য অধ্যাপক ফিরদৌস আজীম, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মাহীন সুলতান।

খাওয়ার মমতাজ বলেন, প্রতিটি দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অবস্থান ও জাতি গঠনের উদ্যোগে নারীদের স্বাধীন কণ্ঠস্বরের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। পিছনে ফিরে তাকালে আমরা দেখতে পাই যে ভারতীয় উপমহাদেশে, জাতীয়তাবাদী সংগ্রামের প্রথম দিকে নারীদের অন্তর্ভুক্তি আন্দোলনকে কতটা গতিশীল করেছে। ইতিহাস আমাদের বলে দেয় যে রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়ায় নারীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে নারীর অধিকার এবং নারীবাদী চেতনার জোরদার বক্তব্যের জন্য সমসাময়িক আন্দোলনগুলি ৮০ দশকের পরবর্তী ঘটনা। নারীর সকল ধরনের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে এই উপমহাদেশের নারী সংগঠন গুলো প্রধান ভূমিকা পালন করে আসছে।

তিনি বলেন, ঘর থেকে রাষ্ট্র সর্বক্ষেত্রে নারীর গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নারী নেতৃত্বের বিকাশ এবং নারী আন্দোলন আরও জোরদার করা প্রয়োজন। এই উপমহাদেশে একটি শক্তিশালী নারী আন্দোলন প্রয়োজন রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ৮ টি দেশের নারী সংগঠনগুলো একসাথে মিলিত ভাবে কাজ করলে এই শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, নাসরীন হক যে সকল অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন তা শুধু নারী অধিকার আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি চেয়েছিলেন একটি সেতু রচনা করতে, যে সেতু জাতিতে-জাতিতে, ধনী-দরিদ্র, সমতল-পাহাড়ী, শহর-গ্রামীণ সকল মানুষের মধ্যে তৈরি করবে গভীর মানবিক সম্পর্ক। তিনি সংগ্রাম করেছেন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মৌলিক অধিকার এবং নারী মুক্তির জন্য। সব ধরনের, সব শ্রেণীর, ভাষার, ধর্মের, সম্প্রদায়ের, জাতিসত্তার, যৌন পরিচিতির সর্বোপরি সামাজিক কোন পার্থক্যই তাঁর জন্য দেয়াল তৈরি করতে পারে নাই। সকলের দিকেই তিনি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতেন।

নারী অধিকার কর্মীরা কাজ করতে গিয়ে অনেকসময় নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ চান পাকিস্তান জাতীয় মহিলা কমিশনের সাবেক সভাপতি খাওয়ার মমতাজের কাছে খাগড়াছড়ির পিংকি বড়ুয়া, হিরন নাহার, তাহমিনা ছাত্তার, সুমন কায়সার, নারীপক্ষের কামরুন নাহার, গাইবান্ধার মাজেদা খাতুন, আম্বিয়া, ফিরোজা প্রমুখ।

বিজনেস বাংলাদেশ/bh