০৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

ডিএসইর লেন‌দেন বে‌ড়ে‌ছে ১৯.৫০ শতাংশ

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ও লেনদেন উভয়ই বেড়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ২৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ২২৩ পয়েন্টে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ১০৮ পয়েন্টে।

শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৩৫৩ পয়েন্টে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪০৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩০টির, কমেছে ৩১টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১৮টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ২৬টির।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ২ হাজার ২৭৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ১ হাজার ৯০৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক্সচেঞ্জটিতে সাপ্তাহিক লেনদেন বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৪৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৩৮১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে প্রকৌশল খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৩ শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ খাত। ১১ দশমিক ৩ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্য খাত। মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৭ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বিবিধ খাত। আর কাগজ খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর ইতিবাচক রিটার্নের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল সিরামিক, মিউচুয়াল ফান্ড ও জীবন বীমা খাত। এ তিন খাতে যথাক্রমে ২ দশমিক ২ শতাংশ, ১ দশমিক ৯ শতাংশ ও ১ দশমিক ৭ শতাংশ রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল ভ্রমণ ও সেবা খাত। এ দুই খাতে রিটার্ন কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৮ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ৫১ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ৬০ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ২৬টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৬টির।

বিজনেস বাংলাদেশ/এসআর

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ডিএসইর লেন‌দেন বে‌ড়ে‌ছে ১৯.৫০ শতাংশ

প্রকাশিত : ১১:৪৮:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ও লেনদেন উভয়ই বেড়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ২৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ২২৩ পয়েন্টে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ১০৮ পয়েন্টে।

শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৩৫৩ পয়েন্টে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪০৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩০টির, কমেছে ৩১টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১৮টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ২৬টির।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ২ হাজার ২৭৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ১ হাজার ৯০৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক্সচেঞ্জটিতে সাপ্তাহিক লেনদেন বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৪৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৩৮১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে প্রকৌশল খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৩ শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ খাত। ১১ দশমিক ৩ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্য খাত। মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৭ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বিবিধ খাত। আর কাগজ খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর ইতিবাচক রিটার্নের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল সিরামিক, মিউচুয়াল ফান্ড ও জীবন বীমা খাত। এ তিন খাতে যথাক্রমে ২ দশমিক ২ শতাংশ, ১ দশমিক ৯ শতাংশ ও ১ দশমিক ৭ শতাংশ রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল ভ্রমণ ও সেবা খাত। এ দুই খাতে রিটার্ন কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৮ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ৫১ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ৬০ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ২৬টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৬টির।

বিজনেস বাংলাদেশ/এসআর