০৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪
শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ

চতুর্মুখী আন্দোলনে উত্তাল বাকৃবি

সর্বজনীন পেনশনে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক, কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা। অন্যদিকে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। ফলে চতুর্মুখী আন্দোলনে অচলাবস্থা বাকৃবি ক্যাম্পাস।

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ১১ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ করিডোরের বিভিন্ন অংশে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সর্বাত্মক কর্মবিরতির সঙ্গে পৃথকভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এসময় চলমান আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কুশপুত্তলিকা আগুনে পোড়ায় তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীবৃন্দ।

অন্যদিকে দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমতা প্রত্যেকের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালকে সংবিধানের লংঘন বলে মন্তব্য করেছেন বাকৃবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বিলুপ্তি না হলে ছাত্র সমাজ কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন করবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এসময় ১টার দিকে বাকৃবিতে অবস্থিত রেল যোগাযোগ অবরোধ করে মুহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বন্ধ করে দেন। বাকৃবির শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে শিক্ষকদের কর্মসূচিতে প্রায় শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এসময় অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান বলেন, চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। প্রত্যয় স্কীম বাতিল না হলে অথবা বিদ্যমান পেনশন স্কীম থেকে ভালো অন্য কোন স্কীম না আসা পর্যন্ত শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

বাকৃবির ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা আগামীকাল পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাবো। আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ও প্রশাসনিক ভবন বন্ধ থাকবে। আমরা অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করলাম। কোটা আন্দোলনে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী মো. ইরান মিয়া বলেন, কোটা পদ্ধতির নামে বৈষম্য সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ কখনোই মানবে না।

গণপ্রজাতন্ত্রী  বাংলাদেশ সরকারের মহান সংবিধানে চাকুরির ক্ষেত্রে সুযোগের সমতার কথা বলা হয়েছে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোটা পদ্ধতির পুনর্বহাল সংবিধানের লংঘন। তাই সরকারি চাকরির  ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির বিলুপ্তি না হলে ছাত্রসমাজ ছেড়ে কথা বলবে না।

ট্যাগ :

শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ

চতুর্মুখী আন্দোলনে উত্তাল বাকৃবি

প্রকাশিত : ০৪:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

সর্বজনীন পেনশনে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক, কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা। অন্যদিকে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। ফলে চতুর্মুখী আন্দোলনে অচলাবস্থা বাকৃবি ক্যাম্পাস।

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ১১ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ করিডোরের বিভিন্ন অংশে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সর্বাত্মক কর্মবিরতির সঙ্গে পৃথকভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এসময় চলমান আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কুশপুত্তলিকা আগুনে পোড়ায় তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীবৃন্দ।

অন্যদিকে দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমতা প্রত্যেকের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালকে সংবিধানের লংঘন বলে মন্তব্য করেছেন বাকৃবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বিলুপ্তি না হলে ছাত্র সমাজ কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন করবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এসময় ১টার দিকে বাকৃবিতে অবস্থিত রেল যোগাযোগ অবরোধ করে মুহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বন্ধ করে দেন। বাকৃবির শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে শিক্ষকদের কর্মসূচিতে প্রায় শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এসময় অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান বলেন, চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। প্রত্যয় স্কীম বাতিল না হলে অথবা বিদ্যমান পেনশন স্কীম থেকে ভালো অন্য কোন স্কীম না আসা পর্যন্ত শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

বাকৃবির ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা আগামীকাল পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাবো। আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ও প্রশাসনিক ভবন বন্ধ থাকবে। আমরা অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করলাম। কোটা আন্দোলনে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী মো. ইরান মিয়া বলেন, কোটা পদ্ধতির নামে বৈষম্য সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ কখনোই মানবে না।

গণপ্রজাতন্ত্রী  বাংলাদেশ সরকারের মহান সংবিধানে চাকুরির ক্ষেত্রে সুযোগের সমতার কথা বলা হয়েছে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোটা পদ্ধতির পুনর্বহাল সংবিধানের লংঘন। তাই সরকারি চাকরির  ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির বিলুপ্তি না হলে ছাত্রসমাজ ছেড়ে কথা বলবে না।