০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সংবাদ পাঠ আর্কষনীয় ও সম্মানজনক পেশা: সংবাদ পাঠক মৌসুমী

শৈশব থেকেই স্বপ্ন দেখতেন সংবাদ পাঠক হবেন। তার ভাবনার থাকতো পুরোটা সময় জুড়ে একজন উপস্থাপক কিভাবে শুদ্ধ উচ্চারন ও সাবলীল ভাষায় সংবাদ পড়ে সবাইকে মুগ্ধ করা। বিষয়টি মাথায় রেখে পড়াশুনা শেষ করার পর সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেন এশিয়ান টিভিতে সংবাদপাঠক হিসেবে যোগ দিয়ে। এরপাশাপাশি কাজ করছেন ব্রাক ব্যাংকে। পাঠক যার কথা বলছি তিনি হলেন স্বনামধন্য সংবাদ পাঠিকা গাজী ফারজানা জাহিদ মৌসুমী। ছোট নাম ‘মৌসী’ তার স্বাক্ষাতকার নিয়েছেন জ ই বুলবুল।

কেমন আছেন?

মৌসুমী: আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি,আপনি কেমন আছেন।

আপনার সংবাদ পাঠিকা হওয়ার শুরুর গল্পটা কিভাবে জানতে চাই।

মৌসুমী: ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতি অঙ্গনে জড়িত ছিলাম। গান, কবিতা আবৃত্তি করতাম এবং ইচ্ছেও ছিল টেলিভিশনে কাজ করবো। যেহেতু সংবাদ পাঠ আর্কষনীয় ও সম্মানজনক একটি পেশা। বিশেষ করে সংবাদ পাঠকদের বাচনভঙ্গি, ব্যক্তিত্ব আমাকে মুগ্ধ করতো। সেই ভালো লাগা থেকেই পরবর্তীতে সংবাদ উপস্থাপনায় আমার আসা। যদিও ছোটবেলায় আমি ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম। কাটা ছেড়াঁর ভয়ে যদিও সেটা আর হয়ে ওঠেনি। পরবর্তীতে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছি । তখন ব্যংকারই হতে স্বপ্ন বুনা শুরু আলহামদুলিল্লাহ তা হয়েছি।

এ ক্ষেত্রে আপনার পরিবারের সহযোগীতা কতটা ছিলো?

মৌসুমী: আমার বাবা-মা এবং পরিবারের কাছ থেকে আমি সবসময়ই ইতিবাচক সহযোগিতা ও উৎসাহ পেয়েছি । যেহেতু ছোটবেলা থেকেই আমি বেশ শান্ত ও বাধ্য ছিলাম। বাবা মা যা চাইতো তাই করেছি। এরফলে আমি যা চেয়েছি তারা সেটা করতেও সহযোগীতা করেছে। বিয়ের পরে হাসবেন্ড এর সেই রকম সহযোগীতা পেয়েছি।

সংবাদ পাঠক হতে কি কোন কোর্স করেছেন-

মৌসুমি : আমি চেয়েছিলাম শিখে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে। তাই বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ নিয়েছি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকেই। তবে টিএসসির শুদ্ধ উচ্চারণ এবং সংবাদ উপস্থাপনার সংগঠন “ঢাকা স্বরকল্পন”থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আসলে শেখার তো কোন শেষ নেই এখনও চর্চা করি।

আপনার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কোথায়-

মৌসুমি : আমার জন্ম মুন্সিগঞ্জ, যেহেতু আমাদের পারিবারিক ব্যবসা এবং আমি যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি। ঈদ ও বিশেষ দিনগুলিতে আমরা সব ভাই-বোনরা মিলে কালচারাল প্রোগ্রাম এর আয়োজন করতাম। বেশ আনন্দময় ছিল শৈশবের সেই দিনগুলি।

সংবাদ উপস্থাপনা ছাড়া আর কি করতে ভালোলাগে-

মৌসুমী: সংবাদ উপস্থাপনা ছাড়াও আমি গান গাইতে ভালোবাসি। ছায়ানট থেকে ক্লাসিক্যাল শিখেছি এবং নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে নজরুল গীতির উপরে ডিপ্লোমা করেছি, নিজের জন্য হলেও ভবিষ্যতে গানটা করতে চাই।

প্রিয় সংবাদ পাঠক কারা আপনার দৃষ্টিতে-

মৌসুমি : সামিয়া রহমান,ফারাবী হাফিজ, সৈয়দ মাহিউজ্জান, এছাড়া আরো অনেকই।

একজন সংবাদ পাঠকের কি কি গুণ ও যোগ্যতা থাকা দরকার বলে আপনি মনে করেন?

মৌসুমী: পড়াশোনার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস,সুন্দর বাচনভঙ্গি,সময়জ্ঞান, প্রবল ইচ্ছাশক্তি এবং কাজের প্রতি ডেডিকেশন থাকতে হবে।

ব্যক্তি ও কর্মজীবন দুটোকে কিভাবে ব্যালেঞ্জ করেন-

মৌসুমী: আমার কাছে মনে হয় পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া কেউ কর্মক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারে না,বিশেষ করে মেয়েরা; সংসার জীবনে পা রাখলে তাদের কর্তব্য সেখানে অনেক বেড়ে যায়। আমার কাছে সংসার ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আলহামদুলিল্লাহ আমার হাজব্যান্ড এবং পরিবারের সহযোগিতায় আমি ব্যক্তি জীবন এবং কর্মজীবনে সামঞ্জস্য রেখেই কাজ করতে চলেছি।

এবার দেশের নারীর অধিকার নিয়ে কিছু বলুন?

মৌসুমী: আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন নারী এবং নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। বর্তমানে নারীরা কর্মমুখী এবং সমাজে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে তাদের অবস্থান চোখে পড়ার মতো।

আপনার শখ?

মৌসুমী: গান গাওয়া, ঘুরে বেড়ানো,নতুন কিছু শেখা।

প্রিয় ফুল?

মৌসুমী: সাদা রঙের যেকোনো ফুল।

প্রিয় মুহূর্ত?

মৌসুমী: পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো

আপনার স্বপ্ন?

মৌসুমী: আলহামদুলিল্লাহ স্বপ্নের মধ্যেই তো বেঁচে আছি, স্বপ্ন অনেকটাই পূর্ণ হয়েছে, ভবিষ্যতে যদি বলেন মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে চাই মানবতার ব্রত হয়ে।

সময় দেবার জন্য ধন্যবাদ-
আপনাকে ও আপনার প্রতিষ্ঠানকেও ধন্যবাদ।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

 

ট্যাগ :

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

সংবাদ পাঠ আর্কষনীয় ও সম্মানজনক পেশা: সংবাদ পাঠক মৌসুমী

প্রকাশিত : ০৯:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

শৈশব থেকেই স্বপ্ন দেখতেন সংবাদ পাঠক হবেন। তার ভাবনার থাকতো পুরোটা সময় জুড়ে একজন উপস্থাপক কিভাবে শুদ্ধ উচ্চারন ও সাবলীল ভাষায় সংবাদ পড়ে সবাইকে মুগ্ধ করা। বিষয়টি মাথায় রেখে পড়াশুনা শেষ করার পর সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেন এশিয়ান টিভিতে সংবাদপাঠক হিসেবে যোগ দিয়ে। এরপাশাপাশি কাজ করছেন ব্রাক ব্যাংকে। পাঠক যার কথা বলছি তিনি হলেন স্বনামধন্য সংবাদ পাঠিকা গাজী ফারজানা জাহিদ মৌসুমী। ছোট নাম ‘মৌসী’ তার স্বাক্ষাতকার নিয়েছেন জ ই বুলবুল।

কেমন আছেন?

মৌসুমী: আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি,আপনি কেমন আছেন।

আপনার সংবাদ পাঠিকা হওয়ার শুরুর গল্পটা কিভাবে জানতে চাই।

মৌসুমী: ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতি অঙ্গনে জড়িত ছিলাম। গান, কবিতা আবৃত্তি করতাম এবং ইচ্ছেও ছিল টেলিভিশনে কাজ করবো। যেহেতু সংবাদ পাঠ আর্কষনীয় ও সম্মানজনক একটি পেশা। বিশেষ করে সংবাদ পাঠকদের বাচনভঙ্গি, ব্যক্তিত্ব আমাকে মুগ্ধ করতো। সেই ভালো লাগা থেকেই পরবর্তীতে সংবাদ উপস্থাপনায় আমার আসা। যদিও ছোটবেলায় আমি ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম। কাটা ছেড়াঁর ভয়ে যদিও সেটা আর হয়ে ওঠেনি। পরবর্তীতে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছি । তখন ব্যংকারই হতে স্বপ্ন বুনা শুরু আলহামদুলিল্লাহ তা হয়েছি।

এ ক্ষেত্রে আপনার পরিবারের সহযোগীতা কতটা ছিলো?

মৌসুমী: আমার বাবা-মা এবং পরিবারের কাছ থেকে আমি সবসময়ই ইতিবাচক সহযোগিতা ও উৎসাহ পেয়েছি । যেহেতু ছোটবেলা থেকেই আমি বেশ শান্ত ও বাধ্য ছিলাম। বাবা মা যা চাইতো তাই করেছি। এরফলে আমি যা চেয়েছি তারা সেটা করতেও সহযোগীতা করেছে। বিয়ের পরে হাসবেন্ড এর সেই রকম সহযোগীতা পেয়েছি।

সংবাদ পাঠক হতে কি কোন কোর্স করেছেন-

মৌসুমি : আমি চেয়েছিলাম শিখে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে। তাই বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ নিয়েছি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকেই। তবে টিএসসির শুদ্ধ উচ্চারণ এবং সংবাদ উপস্থাপনার সংগঠন “ঢাকা স্বরকল্পন”থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আসলে শেখার তো কোন শেষ নেই এখনও চর্চা করি।

আপনার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কোথায়-

মৌসুমি : আমার জন্ম মুন্সিগঞ্জ, যেহেতু আমাদের পারিবারিক ব্যবসা এবং আমি যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি। ঈদ ও বিশেষ দিনগুলিতে আমরা সব ভাই-বোনরা মিলে কালচারাল প্রোগ্রাম এর আয়োজন করতাম। বেশ আনন্দময় ছিল শৈশবের সেই দিনগুলি।

সংবাদ উপস্থাপনা ছাড়া আর কি করতে ভালোলাগে-

মৌসুমী: সংবাদ উপস্থাপনা ছাড়াও আমি গান গাইতে ভালোবাসি। ছায়ানট থেকে ক্লাসিক্যাল শিখেছি এবং নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে নজরুল গীতির উপরে ডিপ্লোমা করেছি, নিজের জন্য হলেও ভবিষ্যতে গানটা করতে চাই।

প্রিয় সংবাদ পাঠক কারা আপনার দৃষ্টিতে-

মৌসুমি : সামিয়া রহমান,ফারাবী হাফিজ, সৈয়দ মাহিউজ্জান, এছাড়া আরো অনেকই।

একজন সংবাদ পাঠকের কি কি গুণ ও যোগ্যতা থাকা দরকার বলে আপনি মনে করেন?

মৌসুমী: পড়াশোনার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস,সুন্দর বাচনভঙ্গি,সময়জ্ঞান, প্রবল ইচ্ছাশক্তি এবং কাজের প্রতি ডেডিকেশন থাকতে হবে।

ব্যক্তি ও কর্মজীবন দুটোকে কিভাবে ব্যালেঞ্জ করেন-

মৌসুমী: আমার কাছে মনে হয় পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া কেউ কর্মক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারে না,বিশেষ করে মেয়েরা; সংসার জীবনে পা রাখলে তাদের কর্তব্য সেখানে অনেক বেড়ে যায়। আমার কাছে সংসার ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আলহামদুলিল্লাহ আমার হাজব্যান্ড এবং পরিবারের সহযোগিতায় আমি ব্যক্তি জীবন এবং কর্মজীবনে সামঞ্জস্য রেখেই কাজ করতে চলেছি।

এবার দেশের নারীর অধিকার নিয়ে কিছু বলুন?

মৌসুমী: আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন নারী এবং নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। বর্তমানে নারীরা কর্মমুখী এবং সমাজে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে তাদের অবস্থান চোখে পড়ার মতো।

আপনার শখ?

মৌসুমী: গান গাওয়া, ঘুরে বেড়ানো,নতুন কিছু শেখা।

প্রিয় ফুল?

মৌসুমী: সাদা রঙের যেকোনো ফুল।

প্রিয় মুহূর্ত?

মৌসুমী: পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো

আপনার স্বপ্ন?

মৌসুমী: আলহামদুলিল্লাহ স্বপ্নের মধ্যেই তো বেঁচে আছি, স্বপ্ন অনেকটাই পূর্ণ হয়েছে, ভবিষ্যতে যদি বলেন মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে চাই মানবতার ব্রত হয়ে।

সময় দেবার জন্য ধন্যবাদ-
আপনাকে ও আপনার প্রতিষ্ঠানকেও ধন্যবাদ।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ