১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

গ্রাহকদের হাতের মুঠোয় এসআইবিএল’র সেবা কার্যক্রম

রেমিট্যান্স আহরণে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ২০২২ সালে ১৮তম। আগের বছর ২৬ তম, ২০২৩ সালে দ্বিতীয় অবস্থান হয়। ইসলামী ব্যাংক নাম্বার ওয়ান, আমরা নাম্বার-টু।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) হচ্ছে বাংলাদেশের একটি শরিআহভিত্তিক পরিচালিত বাণিজ্যিক ব্যাংক। ১৯৯৫ সালে ব্যাংকটির যাত্রা। শুরু থেকেই ব্যাংকটি ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সূচকে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। এখন গ্রাহকের হাতের মুঠোয় রয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যাংকিং সেবা কার্যক্রম। বর্তমান ও আগামীর পদক্ষেপ নিয়ে আজকের বিজনেস বাংলাদেশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) জাফর আলম।  তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাজমুল ইসলাম।

২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তার মেধা, বিচক্ষণতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাংকটির নানা সাফল্য বয়ে এনেছেন। ব্যাংকটির আমানত, নিট মুনাফা, বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স প্রবাহ, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য এবং খেলাপি বিনিয়োগ আদায়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সূচকে অগ্রগতি হয়েছে।

জাফর আলম বলেন, খেলাপি ঋণ আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরে একটা বড় সমস্যা। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি য যতই শক্তিশালী ব্যাক্তি হোক, ব্যাংকের টাকা ব্যাংকে, জনগণের টাকা জনগণকে ফেরত দিতে হবে। এই মোটিভ নিয়ে আমরা নেমেছি। ব্যাংকটি সম্প্রতি বিভিন্ন সূচকে বিশেষ করে রেমিট্যান্স আহরণে এসআইবিএল’র প্রবৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে জাফর আলম বলেন, আমি এখানে জয়েন করার পরে কিছু লিখিত ও কিছু অলিখিত পরিকল্পনা হাতে নেই। আমি এর আগে ইসলামী ব্যাংকে প্রায় ২৬ বছর ছিলাম। তখন ২০১৭ সালে এখানে ডিএমডি হিসেবে আসি। ওই সময় ১০ মাসের মত এখানে ছিলাম। পরে মাঝখানে অন্য ব্যাংকে যাই। পরে আবার ২০২১ সালে আমাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। এখানে আগে কাজ করাতে একটা সুবিধা ছিল এখানকার জনবল তারা আমার আগে থেকেই জানাশোনা। ক্লায়েন্ট যারা তারাও জানাশোনা, ক্লায়েন্টের ব্যবসা সম্পর্কে জানা আছে। যারা খেলাপি গ্রাহক তাদের সম্পর্কেও আমি জানি। এইসব জিনিস জানা থাকায় কাজ করতে আমার বেশ সুবিধা হয়েছে। আমরা যে পরিকল্পনা নিয়েছিলাম অনেকাংশেই তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকিং করি, এটা কিন্তু একটা আর্ট। আমরা চিন্তা করেছি ব্যাংকটাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া যায়। প্রত্যেকটা ইন্ডিকেটরে আমরা যাতে ভালো করতে পারি। প্রত্যেক জিনিসের একটা টার্গেট থাকে। আমরা আমাদের বার্ষিক কনফারেন্সে একটা টার্গেট নির্ধারণ করি। ব্যাংকিং সেক্টর অনেকসময় কিছুটা নেতিবাচক অবস্থা ছিল। মাঝেমধ্যেই এগুলা আসে। প্রত্যেকের জীবনেও আসে, প্রতিষ্ঠানেও আসে। বিশেষকরে শ্রীলঙ্কার ঘটনার পরে আমাদেরও উপরও তার একটা প্রভাব পড়ে। তখন একটা রিউমার ছড়ানো হয় শ্রীলঙ্কার থেকেও আমাদের অবস্থা খারাপ হবে। সত্যিকার অর্থে ব্যাংকে যাদের টাকা আছে তারা এসব খবরে সাংঘাতিক ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায়। সে সময় অনেকেই টাকা তুলে বাসা বাড়িতে নিয়ে রাখে বা অন্য কোনোভাবে ইনভেস্ট করে। এখন এটা ধীরে ধীরে কেটে গেছে। পরে মানুষ আবার ব্যাংকের দিকেই ফিরেছে। আসলে মানুষেকে ব্যাংকের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। ব্যাংকের থেকে আস্থার আর কোনো জায়গা নাই।

দেশে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের ইতিহাস ও অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন বড় বড় অর্থনীতিবিদসহ অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন ইসলামী ব্যাংক টিকবে কি না। কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের ইতিহাস খুব বেশি না। ৪২ বছরের ইতিহাস। ১৯৮২ সালে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয়। এবং তখন যেটা আশঙ্কা করা হয় ইসলামী ব্যাংক টিকবে কি না সেটা বিপরিতে ইসলামী ব্যাংক ভালো পারফরমেন্স করে। বর্তমানে ১০ পরিপূর্ণ ইসলামী ব্যাংক আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ইসলামী ব্যাংক করার জন্য এখনও কিছু আবেদন রয়েছে। অনেক ব্যাংক ইতোমধ্যে ইসলামী ব্যাংক হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকগুলো তুলনামূলকভাবে ভালো করতেছে। আমাদের যে ডিপোজিট আছে তার মধ্যে সাড়ে চার লক্ষ কোটি এই ইসলামী ব্যাংগুলো হোল্ড করে। যে রেমিট্যান্স আসে, এর ৫২ শতাংশ আসে ইসলামী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসে। এটা মানুষের একটা আস্থার কারণেই আস। মানুষের আস্থা না থাকলে এটা হত না।

জাফর আলম জানান, রেমিট্যান্স আহরণের ক্ষেত্রে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ২০২২ সালে আমাদের অবস্থান ছিল ১৮তম। তার আগের বছর ছিল ২৬ তম। ২০২৩ সালে আমাদের অবস্থান হয় দ্বিতীয়। ইসলামী ব্যাংক নাম্বার ওয়ান, আমরা নাম্বার-টু। এক্সপোর্ট এবং রেমিট্যান্সের গ্রোথটা খুব মার্জিনলি। আমাদের ২০০ পার্সেন্টের উপরে। আমাদের টার্গেট ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। এর আগের বছর আমরা এনেছিলাম চার হাজার কোটি টাকা। সেই বছর আমাদের টার্গেট ছিল তিন হাজার কোটি টাকা, আমরা এনেছিলাম চার হাজার দুইশ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে আমাদের টার্গেট অনুযায়ী আমরা ৬ হাজার কোটি টাকা করবো। সেক্ষেত্রে আমাদের এক বিলিয়ন পার হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে প্রথমত আমরা গ্রাহকদের জন্য ভালো কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছি। দ্বিতীয়ত আমাদের বাইরে যে দেড় কোটি প্রবাসী আছে আমরা তাদের কর্মস্থলে গিয়ে গিয়ে তাদেরকে কনভেন্স করেছি। আমি নিজেও অনেক জায়গায় গেছি, সমাবেশ করেছি। কারো সহায়তা ছাড়া একাউন্ট করার যে সিস্টেম আই ব্যাংকিং, সেটা আমরাই প্রথম চালু করি। এখন ৩৫টা দেশ থেকে আমাদের অ্যাকাউন্ট করা যায়।

সম্প্রতি অনেক ব্যাংকে খুব সমালোচিত খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরে একটা বড় সমস্যা। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতেই শক্তিশালী ব্যাক্তি হোক, ব্যাংকের টাকা ব্যাংকে, জনগণের টাকা জনগণকে ফেরৎ দিতে হবে। এই মোটিভ নিয়ে আমরা নেমেছি। যার ফলাফল হচ্ছে ২০২১ সালে থেকে ২০২২ সালে, ২০২২ সালের থেকে ২০২৩ সালে আমার খেলাপি ঋণ কমে আসছে। গত বছর (২০২২ সাল) আমাদের পাঁচ শতাংশ ছিল। ২০২৩ সালে সেটা সাড়ে চারে নেমে এসেছে। পয়েন্ট ৫ কমানোই অনেক বড় ব্যপার। আগামীতে আমাদের পরিকল্পনা আছে আমরা এটা সাড়ে তিনে নিয়ে আসব।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সার্বিক পরিস্থিতি ও পরিকল্পনা নিয়ে জাফর আলম বলেন, গ্রাহকের হাতের মুঠোয় রয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যাংকিং সেবা। দেশ যেহেতু ডিজিটাল। তাই এর সুফল গ্রাহকরা যাতে ঘরে বসেই পেতে পারেন, এজন্য আধুনিক ও জীবনঘনিষ্ঠ ফিচারসম্বলিত মোবাইল অ্যাপস চালু করেছি যা ‘এসআইবিএল নাউ’ নামে গ্রাহকদের নিকট পরিচিতি পেয়েছে, এই অ্যাপসের মাধ্যমে গ্রাহকরা ঘরে বসেই ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে টাকা উত্তোলন, প্রেরণসহ অনেক কিছুই করতে পারেন। এছাড়া দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চালু রয়েছে ১৭৯টি শাখা, ১৬৩টি উপশাখা, ৩৩৮টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট ও ২০০টি এটিএম বুথ। এছাড়া অনলাইনেও আমাদের ব্যাংকের সেবা মিলছে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে। আমরাই এ দেশে প্রথম ক্যাশ ওয়াক্ফ চালু করেছি।

এসআইবিএল’র অগ্রযাত্রার পেছনে বেশ কিছু কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে জাফর আলম বলেন, আমরা গত বছর ১৪টি ডিপোজিট প্রোডাক্ট ও কিছু ইনভেস্টমেন্ট প্রোডাক্ট হাতে নিয়েছি। যেগুলো মার্কেটে একেবারেই ব্যতিক্রম এবং জনবান্ধব। যেগুলো ছিল সাধারণ মানুষের জন্য প্রযোজ্য। যারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে আমরা পরিকল্পনা করলাম, জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে ছাদ বাগানে আমরা বিনা জামানতে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ইনভেস্টমেন্ট করব। এটার একটা ভালো ফলাফল আমরা পেয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের এই ছাদকৃষিকে কৃষিতে অন্তর্ভূক্ত করেছে। আরেকটা আমাদের আরেকটা প্রোডাক্ট ছিল রিকন্ডিশন গাড়ির উপরে। সাধারণত ব্যাংকগুলো নতুন গাড়িতে ইনভেস্টমেন্ট করে। আমরা রিকন্ডিশন গাড়ির উপরে ইনভেস্ট করলাম। এটা সাধারণ মানুষের জন্য করা। এছাড়াও আমরা রিটায়ার্ড সিটিজেনদের জন্য একটা প্রোডাক্ট নিয়ে আসলাম। যারা রিটায়ার্ড করে তাদের নিয়ে অনেক ঘটনা ঘটে। অনেকে রিটায়ার্ডের টাকা পেয়ে প্রলোভনে পড়ে টাকা নষ্ট করে। আমরা তাদেরকে মাসিক ভিত্তিতে লাভ বেশি দেওয়ার প্রস্তাবনা দেই। এবং তাদেরকে কিছু সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি তা হচ্ছে আমাদের কিছু হাসপাতাল আছে, সেখানে তারা ভালো ডিসাকাউন্ট পেয়ে চিকিৎসা নিতে পারে। এমনকি আমরা তাকে আমাদের নিজস্ব গাড়ি দিয়ে বিনা খরচে হাসপাতালে নেওয়া আনা করব। এটাতেও আমরা বেশ ভালো সারা পেয়েছি। আমরা প্রবাসীদের জন্য একটা সুবিধা দিয়েছি, যারা আমাদের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাবে তারা যখন দেশে আসবে তাদেরকে বিমানবন্দর থেকে আমরা ঢাকা শহরের যে কোনো জায়গায় পৌঁছানোর ট্রান্সপোর্ট ব্যাস্থা করছি। এটাতেও ভালো সারা পেয়েছি। এছাড়াও হকার, ড্রাইভার তাদের জন্যও আমরা প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছি। অনেক ড্রাইভারকে আমরা গাড়ীর মালিক বানিয়ে দিচ্ছি। আরেকটা বড় বিষয় হচ্ছে বিদেশে যাওয়ার সময় একটা ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হয়। এটা সাধারণ মানুষের জন্য খুব কষ্টকর। আমরা একটা ন্যূনতম সার্ভিস চার্জের মাধ্যমে তাদেরকে এই বড় অ্যামাউন্ট দেখানোর সহযোগিতা করে থাকি।

ইসলামী ব্যাংক সার্বজনিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং কিন্তু সওয়াবের বিষয় এমনটা না। ধর্ম কিন্তু কল্যাণের জন্য। ইসলামী ব্যাংকিং সকল মানুষের জন্য গ্রহণযোগ্য। ইসলামী ব্যাংকিং বা ইসলামী অর্থনীতি সার্বজনিন। মাদক জাতীয় জিনিস বা তামাকে কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের এক টাকাও ইনভেস্টমেন্ট নাই। কারণ সেটা শুধু ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। তারপরে আপনি অসত্য বলে ব্যবসা করবেন এটা হবে না। মাপে কম দিতে পারবেন না। লাভের আশায় দীর্ঘদিন ধরে মজুদদারি করতে পারবেন না। একজন হীন্দু ব্যবসায়ীকেও যদি চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ দিতে হয় তাহলে মুসলাম, অমুসলমান সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সুতরাং ইসলামী ব্যাংকিংটা সার্বজনিন। যা সবার জন্য কল্যাণকর। আমি যদি একটা উদাহরণ দেই। আমাদের দেশের অনেক পরিচিত শ্যামলি পরিবহণ। তিনি কিন্তু একজন হীন্দু ব্যবসায়ি। তিনি শুরু থেকেই ইসলামী ব্যাংকের সাথে আছেন। তিনি কি সওয়াবের আশায় আছেন? তিনি ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোন থেকে আছেন। হয়তো বলতে পারেন এখানে অনেক মানুষ অনেস্ট ইত্যাদি এখানে অন্য কোনো ঝামেলা নাই। এই কারণে কিন্তু তিনি ইনভেস্ট করতেছেন। এবং অনেক হীন্দু ব্যবসায়ী আছে। এই কারণে অন্যান্য ব্যাংকগুলো আসতেছে।

দেশে ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য গাইডলাইন তৈরি করা প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক সূচনা হয় প্রাইভেট লিমিটেড থেকে। তখনকার আমলে কিছু লোক বিভিন্ন ছোট ছোট সেমিনার করতেন, মানুষকে বুঝাতেন, সেখান থেকে আস্তে আস্তে এগুলো প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরেও আমরাও মুরাবাহা কি জিনিস, মুদারাবা কি জিনিস ধীরে ধীরে শিখছি। কিন্তু এখন গ্রাহকরাও তা জানে। বর্তমানে ব্যাংগুলোতেও তো আছেই। সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনও ইসলামী ব্যাংকের আলাদা সুপারভাইজারি কমিটি আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চেষ্টা করতেছে আলাদা গাইডলাইন তৈরি করার জন্য। ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার বাড়ছে, সংখ্যা বাড়ছে। এজন্য আলাদা নীতিমালা দরকার।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

 

জনপ্রিয়

গ্রাহকদের হাতের মুঠোয় এসআইবিএল’র সেবা কার্যক্রম

প্রকাশিত : ০৮:৩০:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

রেমিট্যান্স আহরণে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ২০২২ সালে ১৮তম। আগের বছর ২৬ তম, ২০২৩ সালে দ্বিতীয় অবস্থান হয়। ইসলামী ব্যাংক নাম্বার ওয়ান, আমরা নাম্বার-টু।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) হচ্ছে বাংলাদেশের একটি শরিআহভিত্তিক পরিচালিত বাণিজ্যিক ব্যাংক। ১৯৯৫ সালে ব্যাংকটির যাত্রা। শুরু থেকেই ব্যাংকটি ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সূচকে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। এখন গ্রাহকের হাতের মুঠোয় রয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যাংকিং সেবা কার্যক্রম। বর্তমান ও আগামীর পদক্ষেপ নিয়ে আজকের বিজনেস বাংলাদেশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) জাফর আলম।  তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাজমুল ইসলাম।

২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তার মেধা, বিচক্ষণতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাংকটির নানা সাফল্য বয়ে এনেছেন। ব্যাংকটির আমানত, নিট মুনাফা, বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স প্রবাহ, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য এবং খেলাপি বিনিয়োগ আদায়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সূচকে অগ্রগতি হয়েছে।

জাফর আলম বলেন, খেলাপি ঋণ আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরে একটা বড় সমস্যা। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি য যতই শক্তিশালী ব্যাক্তি হোক, ব্যাংকের টাকা ব্যাংকে, জনগণের টাকা জনগণকে ফেরত দিতে হবে। এই মোটিভ নিয়ে আমরা নেমেছি। ব্যাংকটি সম্প্রতি বিভিন্ন সূচকে বিশেষ করে রেমিট্যান্স আহরণে এসআইবিএল’র প্রবৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে জাফর আলম বলেন, আমি এখানে জয়েন করার পরে কিছু লিখিত ও কিছু অলিখিত পরিকল্পনা হাতে নেই। আমি এর আগে ইসলামী ব্যাংকে প্রায় ২৬ বছর ছিলাম। তখন ২০১৭ সালে এখানে ডিএমডি হিসেবে আসি। ওই সময় ১০ মাসের মত এখানে ছিলাম। পরে মাঝখানে অন্য ব্যাংকে যাই। পরে আবার ২০২১ সালে আমাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। এখানে আগে কাজ করাতে একটা সুবিধা ছিল এখানকার জনবল তারা আমার আগে থেকেই জানাশোনা। ক্লায়েন্ট যারা তারাও জানাশোনা, ক্লায়েন্টের ব্যবসা সম্পর্কে জানা আছে। যারা খেলাপি গ্রাহক তাদের সম্পর্কেও আমি জানি। এইসব জিনিস জানা থাকায় কাজ করতে আমার বেশ সুবিধা হয়েছে। আমরা যে পরিকল্পনা নিয়েছিলাম অনেকাংশেই তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকিং করি, এটা কিন্তু একটা আর্ট। আমরা চিন্তা করেছি ব্যাংকটাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া যায়। প্রত্যেকটা ইন্ডিকেটরে আমরা যাতে ভালো করতে পারি। প্রত্যেক জিনিসের একটা টার্গেট থাকে। আমরা আমাদের বার্ষিক কনফারেন্সে একটা টার্গেট নির্ধারণ করি। ব্যাংকিং সেক্টর অনেকসময় কিছুটা নেতিবাচক অবস্থা ছিল। মাঝেমধ্যেই এগুলা আসে। প্রত্যেকের জীবনেও আসে, প্রতিষ্ঠানেও আসে। বিশেষকরে শ্রীলঙ্কার ঘটনার পরে আমাদেরও উপরও তার একটা প্রভাব পড়ে। তখন একটা রিউমার ছড়ানো হয় শ্রীলঙ্কার থেকেও আমাদের অবস্থা খারাপ হবে। সত্যিকার অর্থে ব্যাংকে যাদের টাকা আছে তারা এসব খবরে সাংঘাতিক ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায়। সে সময় অনেকেই টাকা তুলে বাসা বাড়িতে নিয়ে রাখে বা অন্য কোনোভাবে ইনভেস্ট করে। এখন এটা ধীরে ধীরে কেটে গেছে। পরে মানুষ আবার ব্যাংকের দিকেই ফিরেছে। আসলে মানুষেকে ব্যাংকের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। ব্যাংকের থেকে আস্থার আর কোনো জায়গা নাই।

দেশে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের ইতিহাস ও অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন বড় বড় অর্থনীতিবিদসহ অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন ইসলামী ব্যাংক টিকবে কি না। কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের ইতিহাস খুব বেশি না। ৪২ বছরের ইতিহাস। ১৯৮২ সালে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয়। এবং তখন যেটা আশঙ্কা করা হয় ইসলামী ব্যাংক টিকবে কি না সেটা বিপরিতে ইসলামী ব্যাংক ভালো পারফরমেন্স করে। বর্তমানে ১০ পরিপূর্ণ ইসলামী ব্যাংক আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ইসলামী ব্যাংক করার জন্য এখনও কিছু আবেদন রয়েছে। অনেক ব্যাংক ইতোমধ্যে ইসলামী ব্যাংক হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকগুলো তুলনামূলকভাবে ভালো করতেছে। আমাদের যে ডিপোজিট আছে তার মধ্যে সাড়ে চার লক্ষ কোটি এই ইসলামী ব্যাংগুলো হোল্ড করে। যে রেমিট্যান্স আসে, এর ৫২ শতাংশ আসে ইসলামী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসে। এটা মানুষের একটা আস্থার কারণেই আস। মানুষের আস্থা না থাকলে এটা হত না।

জাফর আলম জানান, রেমিট্যান্স আহরণের ক্ষেত্রে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ২০২২ সালে আমাদের অবস্থান ছিল ১৮তম। তার আগের বছর ছিল ২৬ তম। ২০২৩ সালে আমাদের অবস্থান হয় দ্বিতীয়। ইসলামী ব্যাংক নাম্বার ওয়ান, আমরা নাম্বার-টু। এক্সপোর্ট এবং রেমিট্যান্সের গ্রোথটা খুব মার্জিনলি। আমাদের ২০০ পার্সেন্টের উপরে। আমাদের টার্গেট ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। এর আগের বছর আমরা এনেছিলাম চার হাজার কোটি টাকা। সেই বছর আমাদের টার্গেট ছিল তিন হাজার কোটি টাকা, আমরা এনেছিলাম চার হাজার দুইশ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে আমাদের টার্গেট অনুযায়ী আমরা ৬ হাজার কোটি টাকা করবো। সেক্ষেত্রে আমাদের এক বিলিয়ন পার হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে প্রথমত আমরা গ্রাহকদের জন্য ভালো কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছি। দ্বিতীয়ত আমাদের বাইরে যে দেড় কোটি প্রবাসী আছে আমরা তাদের কর্মস্থলে গিয়ে গিয়ে তাদেরকে কনভেন্স করেছি। আমি নিজেও অনেক জায়গায় গেছি, সমাবেশ করেছি। কারো সহায়তা ছাড়া একাউন্ট করার যে সিস্টেম আই ব্যাংকিং, সেটা আমরাই প্রথম চালু করি। এখন ৩৫টা দেশ থেকে আমাদের অ্যাকাউন্ট করা যায়।

সম্প্রতি অনেক ব্যাংকে খুব সমালোচিত খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরে একটা বড় সমস্যা। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতেই শক্তিশালী ব্যাক্তি হোক, ব্যাংকের টাকা ব্যাংকে, জনগণের টাকা জনগণকে ফেরৎ দিতে হবে। এই মোটিভ নিয়ে আমরা নেমেছি। যার ফলাফল হচ্ছে ২০২১ সালে থেকে ২০২২ সালে, ২০২২ সালের থেকে ২০২৩ সালে আমার খেলাপি ঋণ কমে আসছে। গত বছর (২০২২ সাল) আমাদের পাঁচ শতাংশ ছিল। ২০২৩ সালে সেটা সাড়ে চারে নেমে এসেছে। পয়েন্ট ৫ কমানোই অনেক বড় ব্যপার। আগামীতে আমাদের পরিকল্পনা আছে আমরা এটা সাড়ে তিনে নিয়ে আসব।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সার্বিক পরিস্থিতি ও পরিকল্পনা নিয়ে জাফর আলম বলেন, গ্রাহকের হাতের মুঠোয় রয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যাংকিং সেবা। দেশ যেহেতু ডিজিটাল। তাই এর সুফল গ্রাহকরা যাতে ঘরে বসেই পেতে পারেন, এজন্য আধুনিক ও জীবনঘনিষ্ঠ ফিচারসম্বলিত মোবাইল অ্যাপস চালু করেছি যা ‘এসআইবিএল নাউ’ নামে গ্রাহকদের নিকট পরিচিতি পেয়েছে, এই অ্যাপসের মাধ্যমে গ্রাহকরা ঘরে বসেই ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে টাকা উত্তোলন, প্রেরণসহ অনেক কিছুই করতে পারেন। এছাড়া দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চালু রয়েছে ১৭৯টি শাখা, ১৬৩টি উপশাখা, ৩৩৮টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট ও ২০০টি এটিএম বুথ। এছাড়া অনলাইনেও আমাদের ব্যাংকের সেবা মিলছে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে। আমরাই এ দেশে প্রথম ক্যাশ ওয়াক্ফ চালু করেছি।

এসআইবিএল’র অগ্রযাত্রার পেছনে বেশ কিছু কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে জাফর আলম বলেন, আমরা গত বছর ১৪টি ডিপোজিট প্রোডাক্ট ও কিছু ইনভেস্টমেন্ট প্রোডাক্ট হাতে নিয়েছি। যেগুলো মার্কেটে একেবারেই ব্যতিক্রম এবং জনবান্ধব। যেগুলো ছিল সাধারণ মানুষের জন্য প্রযোজ্য। যারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে আমরা পরিকল্পনা করলাম, জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে ছাদ বাগানে আমরা বিনা জামানতে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ইনভেস্টমেন্ট করব। এটার একটা ভালো ফলাফল আমরা পেয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের এই ছাদকৃষিকে কৃষিতে অন্তর্ভূক্ত করেছে। আরেকটা আমাদের আরেকটা প্রোডাক্ট ছিল রিকন্ডিশন গাড়ির উপরে। সাধারণত ব্যাংকগুলো নতুন গাড়িতে ইনভেস্টমেন্ট করে। আমরা রিকন্ডিশন গাড়ির উপরে ইনভেস্ট করলাম। এটা সাধারণ মানুষের জন্য করা। এছাড়াও আমরা রিটায়ার্ড সিটিজেনদের জন্য একটা প্রোডাক্ট নিয়ে আসলাম। যারা রিটায়ার্ড করে তাদের নিয়ে অনেক ঘটনা ঘটে। অনেকে রিটায়ার্ডের টাকা পেয়ে প্রলোভনে পড়ে টাকা নষ্ট করে। আমরা তাদেরকে মাসিক ভিত্তিতে লাভ বেশি দেওয়ার প্রস্তাবনা দেই। এবং তাদেরকে কিছু সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি তা হচ্ছে আমাদের কিছু হাসপাতাল আছে, সেখানে তারা ভালো ডিসাকাউন্ট পেয়ে চিকিৎসা নিতে পারে। এমনকি আমরা তাকে আমাদের নিজস্ব গাড়ি দিয়ে বিনা খরচে হাসপাতালে নেওয়া আনা করব। এটাতেও আমরা বেশ ভালো সারা পেয়েছি। আমরা প্রবাসীদের জন্য একটা সুবিধা দিয়েছি, যারা আমাদের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাবে তারা যখন দেশে আসবে তাদেরকে বিমানবন্দর থেকে আমরা ঢাকা শহরের যে কোনো জায়গায় পৌঁছানোর ট্রান্সপোর্ট ব্যাস্থা করছি। এটাতেও ভালো সারা পেয়েছি। এছাড়াও হকার, ড্রাইভার তাদের জন্যও আমরা প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছি। অনেক ড্রাইভারকে আমরা গাড়ীর মালিক বানিয়ে দিচ্ছি। আরেকটা বড় বিষয় হচ্ছে বিদেশে যাওয়ার সময় একটা ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হয়। এটা সাধারণ মানুষের জন্য খুব কষ্টকর। আমরা একটা ন্যূনতম সার্ভিস চার্জের মাধ্যমে তাদেরকে এই বড় অ্যামাউন্ট দেখানোর সহযোগিতা করে থাকি।

ইসলামী ব্যাংক সার্বজনিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং কিন্তু সওয়াবের বিষয় এমনটা না। ধর্ম কিন্তু কল্যাণের জন্য। ইসলামী ব্যাংকিং সকল মানুষের জন্য গ্রহণযোগ্য। ইসলামী ব্যাংকিং বা ইসলামী অর্থনীতি সার্বজনিন। মাদক জাতীয় জিনিস বা তামাকে কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের এক টাকাও ইনভেস্টমেন্ট নাই। কারণ সেটা শুধু ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। তারপরে আপনি অসত্য বলে ব্যবসা করবেন এটা হবে না। মাপে কম দিতে পারবেন না। লাভের আশায় দীর্ঘদিন ধরে মজুদদারি করতে পারবেন না। একজন হীন্দু ব্যবসায়ীকেও যদি চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ দিতে হয় তাহলে মুসলাম, অমুসলমান সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সুতরাং ইসলামী ব্যাংকিংটা সার্বজনিন। যা সবার জন্য কল্যাণকর। আমি যদি একটা উদাহরণ দেই। আমাদের দেশের অনেক পরিচিত শ্যামলি পরিবহণ। তিনি কিন্তু একজন হীন্দু ব্যবসায়ি। তিনি শুরু থেকেই ইসলামী ব্যাংকের সাথে আছেন। তিনি কি সওয়াবের আশায় আছেন? তিনি ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোন থেকে আছেন। হয়তো বলতে পারেন এখানে অনেক মানুষ অনেস্ট ইত্যাদি এখানে অন্য কোনো ঝামেলা নাই। এই কারণে কিন্তু তিনি ইনভেস্ট করতেছেন। এবং অনেক হীন্দু ব্যবসায়ী আছে। এই কারণে অন্যান্য ব্যাংকগুলো আসতেছে।

দেশে ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য গাইডলাইন তৈরি করা প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক সূচনা হয় প্রাইভেট লিমিটেড থেকে। তখনকার আমলে কিছু লোক বিভিন্ন ছোট ছোট সেমিনার করতেন, মানুষকে বুঝাতেন, সেখান থেকে আস্তে আস্তে এগুলো প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরেও আমরাও মুরাবাহা কি জিনিস, মুদারাবা কি জিনিস ধীরে ধীরে শিখছি। কিন্তু এখন গ্রাহকরাও তা জানে। বর্তমানে ব্যাংগুলোতেও তো আছেই। সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনও ইসলামী ব্যাংকের আলাদা সুপারভাইজারি কমিটি আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চেষ্টা করতেছে আলাদা গাইডলাইন তৈরি করার জন্য। ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার বাড়ছে, সংখ্যা বাড়ছে। এজন্য আলাদা নীতিমালা দরকার।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ