দিনাজপুরে চেকপোস্ট বসিয়ে বিপুল পরিমান নেশা জাতীয় অবৈধ মাদকদ্রব্য এ্যাম্পুল ইনজেকশনসহ শীর্ষ ২ মাদক কারবারীকে বুধবার ২২ মে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১৩। বৃহস্পতিবার ২৩ মে গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-১৩,র উপপরিচালক মিডিয়া মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-১, দিনাজপুরের একটি চৌকশ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ২২ মে বিকেলে দিনাজপুরের কোতয়ালি থানার ৮নং শংকরপুর ইউনিয়নস্থ ২নং ওয়ার্ডের অর্ন্তগত পূর্ব মোহনপুর টোল প্লাজা সংলগ্ন ফাতেমা মর্টস এর সামনে ফুলবাড়ি টু দিনাজপুরগামী পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। চেকপোস্ট অভিযানের সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বিরামপুর থানার ৫ নং বিলাইল ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আসামী , জাহাঙ্গীর আলম (২৮) ও একই থানার চৌঠা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২৪) দ্বয় মোটর সাইকেলসহ পালানোর চেষ্টাকালে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় উপস্থিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে মোটর সাইকেলের বাম হ্যান্ডেলে ঝুলানো একটি লাল-হলুদ মিশ্র রংয়ের বাজার করা প্লাষ্টিকের ব্যাগ এবং ১টি খাঁকি মিশ্র রংয়ের প্যারাসুট কাপড়ের তৈরী বাজার করা ব্যাগের মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় মোট ১২৪০ পিস অবৈধ নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য এ্যাম্পল (Buprenorphine injection) ও নগদ ৫ হাজার ৩১০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় আসামীর ব্যবহৃত একটি ১৫০ সিসি পালসার মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় এলাকার মাদক সিন্ডিকেটের মধ্যে অন্যতম। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ভারতীয় সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে মাদক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আমদানী নিষিদ্ধ সর্বনাশা মাদক Buprenorphine injection সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে মোটর সাইকেল যোগে সরবরাহ করে আসছে। আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে দিনাজপুর জেলার কোতয়ালি থানায় র্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করেছে। তাদের ২৩ মে বুধবার জেল হাজতে পাঠানোর জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব ১৩র অধিনায়ক কমান্ডার কামরুল হাসান জানান, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারী, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আসছে। এই অভিযান সব সময় অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।