০১:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪

বরিশালে ৬ ফুট উঁচুতে নদীর পানি, কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি

ঘূর্ণিঝড় রেমাল রোববার রাত সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূলে আঘাত হেনে দক্ষিণাঞ্চলে সারারাত তাণ্ডব চালিয়েছে। এখন এটি স্থলভাগ অতিক্রম করছে। ফলে তেতুলিয়া, কীর্তনখোলা ও মেঘনা নদীর পানি জোয়ারের সময় ৬ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর নিকটবর্তী এলাকাগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

সোমবার (২৭ মে) এসব তথ্য জানান বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল।

তিনি বলেন, আরও দু-এক ঘণ্টা সময় নেবে স্থলভাগ অতিক্রম করতে। এরপরে ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাবে। রোববার রাতেই বরিশাল স্থলভাগে ঢুকে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ। তখন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৮ কিলোমিটার। বর্তমানে বায়ুর চাপ কমে আসায় ৩৫ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫৯ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা টানা ও ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বরিশাল শহরে জোয়ারের পানি ঢুকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শহরের উপকণ্ঠ, জেলার বিভিন্ন উপজেলা সদর ও আশপাশের ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের বাড়িঘর সব তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি আর বাতাসে ঘর, গাছপালা ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে।’

এ দিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরিশালে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। পুরো জেলা ৩ থেকে ৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। চার উপজেলা দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিভাগের সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিভাগে ছয় জেলায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তেতুলিয়া, কীর্তনখোলা ও মেঘনা নদীর পানি জোয়ারের সময় ৬ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে প্রবাহিত হয়। যে কারণে এই নদীর নিকটবর্তী এলাকা বেশ প্লাবিত হয়েছে। এর সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত আরও পানি বাড়িয়েছে। পানি নামতে সপ্তাহখানেক সময় লেগে যেতে পারে।’

বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করবো।’

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

বরিশালে ৬ ফুট উঁচুতে নদীর পানি, কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশিত : ১১:৩৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমাল রোববার রাত সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূলে আঘাত হেনে দক্ষিণাঞ্চলে সারারাত তাণ্ডব চালিয়েছে। এখন এটি স্থলভাগ অতিক্রম করছে। ফলে তেতুলিয়া, কীর্তনখোলা ও মেঘনা নদীর পানি জোয়ারের সময় ৬ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর নিকটবর্তী এলাকাগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

সোমবার (২৭ মে) এসব তথ্য জানান বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল।

তিনি বলেন, আরও দু-এক ঘণ্টা সময় নেবে স্থলভাগ অতিক্রম করতে। এরপরে ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাবে। রোববার রাতেই বরিশাল স্থলভাগে ঢুকে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ। তখন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৮ কিলোমিটার। বর্তমানে বায়ুর চাপ কমে আসায় ৩৫ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫৯ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা টানা ও ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বরিশাল শহরে জোয়ারের পানি ঢুকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শহরের উপকণ্ঠ, জেলার বিভিন্ন উপজেলা সদর ও আশপাশের ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের বাড়িঘর সব তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি আর বাতাসে ঘর, গাছপালা ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে।’

এ দিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরিশালে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। পুরো জেলা ৩ থেকে ৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। চার উপজেলা দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিভাগের সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিভাগে ছয় জেলায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তেতুলিয়া, কীর্তনখোলা ও মেঘনা নদীর পানি জোয়ারের সময় ৬ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে প্রবাহিত হয়। যে কারণে এই নদীর নিকটবর্তী এলাকা বেশ প্লাবিত হয়েছে। এর সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত আরও পানি বাড়িয়েছে। পানি নামতে সপ্তাহখানেক সময় লেগে যেতে পারে।’

বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করবো।’

বিজনেস বাংলাদেশ/একে