০৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

‘‘মৃত্যুই যেন মুক্তি’’ জ্যামিতিক হারে বাড়ছে কিডনি রোগী, রাষ্ট্র ও মানবিক সমাজের যথোপযুক্ত পদক্ষেপ

বর্তমান বাংলাদেশে যে পরিমান কিডনি রোগের সংখ্যা ক্রমশই বেড়েই চলছে তা একসময় ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। হতদরিদ্র কিডনি রোগীদের জন্য যা মরণফাঁদ। প্রবাদ আছে; কিডনি রোগী মরেও যায় মেরেও যায়! বাস্তবে আমৃত্যু চিকিৎসার ভার ধনী-মধ্যবিত্ত কিংবা হতদরিদ্র কারো নেই। কিডনি রোগী ও ভুক্তভোগী পরিবারের বুকফাটা বোবা কান্না ও নির্মম কষ্টের আওয়াজ যা চার দেয়ালে সীমাদ্ধ। ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলায় ৯০ শতাংশ হতদরিদ্র কিডনি রোগী ব্যয়বহুল চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে অকাল মৃত্যু বরণ করছে। বর্তমান বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ও তার অধিক মানুষ কোন না কোন ভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের কিডনি বিকল, যারা ডায়ালাইসিস নিয়ে বেঁচে আছেন। একটি কিডনি রোগীকে প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ডাইলাইসিস করাতে হয় যা মাসে খরচ গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। যে হারে কিডনি রোগী বাড়ছে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ কিডনি রোগী উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে অগণিত ভাবে মৃত্যু বরণ করবে। এক সময় উন্নত চিকিৎসার অভাবে সামর্থ্য থাকলেও জীবন বাঁচানো যায়নি আর বর্তমান সময়ে দুনিয়ায় সর্বত্র উন্নত চিকিৎসা বিদ্যমান। মানুষ মরছে শুধু সামর্থ্যরে অভাবে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে। মরণঘাতি কিডনি রোগে বিনা চিকিৎসায় নীরবে নিঃশব্দে অসংখ্য মানুষের অকাল মৃত্যুর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে কিডনি বিকলের অন্যতম উপসর্গ হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস। মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচার সকল রোগের উৎপত্তির মূল উৎস। কিডনি বিকল হওয়ার ফলে রক্তে সংক্রমণ জনিত কারণে লিভার, ফুসফুস, হৃদরোগসহ শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে নানা রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে এবং বংশানুক্রমিক। মহান রব না করুক একই সময়ে একই পরিবারে একাধিক কিডনি রোগী এবং প্রজন্মন্তর কিডনি রোগীর মত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সাধ্য কারো নেই।
কিছুদিন আগে অজ্ঞাতনামা এক কিডনি রোগীর পরিবারের সাথে যোগাযাগ করি, জানতে চাই তার বাবার অসুস্থতার কথা তিনি বলেন “এই সপ্তাহে ২টি ডায়ালাইসিস করাইতে পারিনি, আব্বার শরীরে পানি জইমা গেছে, ডায়ালাইসিস করানোর মতো আমাদের আর সামর্থ্য নেই, ডায়ালাইসিস তো দূরের কথা রাতের খাবার রান্না হবে কিনা তারই নিশ্চয়তা নেই। আব্বার ডায়ালাইসিস খরচ জোগাইতে জোগাইতে জায়গা সম্পত্তি যা ছিল এবং আশ্রয়স্থলটুকু বিক্রি করে ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিয়েছি”। এমন কথা গুলো সত্যি হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে। বোধহয় রব এর দুনিয়ায় তাদের চেয়েও অসহায় আর নেই। প্রিয় মানুষদের বাঁচানোর জন্য পরিবার-পরিজনদের এমন ত্যাগ, সংগ্রাম, বুকফাটা বোবা কান্না ও নির্মম কষ্টের আওয়াজ চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে। এ রোগ একটা অভিশাপ। একটি পরিবারকে পথে বসাতে পরিবারে একজন কিডনি রোগীই যথেষ্ট।
কিডনি রোগীদের জীবন রক্ষায় স্বাস্থ্য বিষয়ক দপ্তর, এনজিও, মানবিক সংগঠন, ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ও দেশ-বিদেশের সহযোগিতায় সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোগীদের বিড়ম্বনা মুক্ত সাশ্রয়ী মূল্যে বা বিনা মূল্যে হাসপাতাল, ক্লিনিক, ল্যাব, ব্লাড ও অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, ন্যায্য-মূল্যে ডায়ালাইসিস, ঔষধসহ কিডনি-রোগীদের চিকিৎসার সু-ব্যবস্থার করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। একই সাথে জনসচেতনতার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যাবলি প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনসাধারণের অসচেতনতা, অসাবধানতা, রোগের লক্ষণ সম্পর্কে ধারণার অভাব, রোগ প্রতিকারক ও আক্রান্ত রোগীর করণীয় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানের যাবতীয় তথ্যাবলি সম্প্রচারে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে। তারই পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক সংগঠন গুলো জন সচেতনতা ভিত্তিক পোগ্রাম বা মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে পারে। এমন মরণঘাতি রোগকে অবহেলা করলে তার ফলাফল পুরো জাতিকে ভুগতে হতে পারে। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা আশংকাজনক মৃত্যুর হার সম্পর্কে অবগত নয়। উল্লেখ্য যে, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা একজন মানুষের মৃত্যু পরবর্তী শোকের মাতন, মেজবান এবং সামাজিক নানা আনুষ্ঠানিকতার পেছনে যে অর্থ ব্যয় করে থাকেন তার কিঞ্চিৎ পরিমাণ অর্থও যদি কিডনি রোগীদের চিকিৎসা খাতে ব্যয় করতো তাহলে অকাল মৃত্যু হত না।
প্রতিটি শিল্প প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি সমূহের কর্পোরেট দায়িত্ববোধ রয়েছে। সামাজিক এই দায়বদ্ধতা থেকেই তারা কিডনি রোগীদের সেবায় আয়ের একটা অংশ অনুদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। একটি নিরোগ সুস্থ জাতি গঠনে প্রতিটি ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক উপার্জনের একটি অংশ দান করা আইন দ্বারা বাধ্যতা মূলক করা প্রয়োজন। এমন মরণ ব্যাধি কিডনি চিকিৎসায় কঠিন বাস্তবতার সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করা মানুষ গুলোর পাশে রাষ্ট্রের যথোপযুক্ত পদক্ষেপ ও মানবিক সমাজের সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত না হলে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। কিডনি রোগের ব্যয় বহুল চিকিৎসায় ভুক্তভোগী এবং নির্মম বাস্তবতার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত হতদরিদ্র কিডনি রোগী ও ভুক্তভোগী পরিবারের বুকফাটা বোবা কান্না ও নির্মম কষ্টের আওয়াজ সরকার, সামর্থ্যবান ও মানবিক সমাজে ছড়িয়ে দিয়ে সর্বজনীন সহযোগিতা ও উদ্যোগের মাধ্যমে জীবন রক্ষার প্রয়োজন।
হৃদয় বড়ুয়া
(মানবাধিকার কর্মী ও আজীবন সদস্য, কিডনি রোগী কল্যাণ সংস্থা)
ট্যাগ :

‘‘মৃত্যুই যেন মুক্তি’’ জ্যামিতিক হারে বাড়ছে কিডনি রোগী, রাষ্ট্র ও মানবিক সমাজের যথোপযুক্ত পদক্ষেপ

প্রকাশিত : ০৭:১৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
বর্তমান বাংলাদেশে যে পরিমান কিডনি রোগের সংখ্যা ক্রমশই বেড়েই চলছে তা একসময় ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। হতদরিদ্র কিডনি রোগীদের জন্য যা মরণফাঁদ। প্রবাদ আছে; কিডনি রোগী মরেও যায় মেরেও যায়! বাস্তবে আমৃত্যু চিকিৎসার ভার ধনী-মধ্যবিত্ত কিংবা হতদরিদ্র কারো নেই। কিডনি রোগী ও ভুক্তভোগী পরিবারের বুকফাটা বোবা কান্না ও নির্মম কষ্টের আওয়াজ যা চার দেয়ালে সীমাদ্ধ। ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলায় ৯০ শতাংশ হতদরিদ্র কিডনি রোগী ব্যয়বহুল চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে অকাল মৃত্যু বরণ করছে। বর্তমান বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ও তার অধিক মানুষ কোন না কোন ভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের কিডনি বিকল, যারা ডায়ালাইসিস নিয়ে বেঁচে আছেন। একটি কিডনি রোগীকে প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ডাইলাইসিস করাতে হয় যা মাসে খরচ গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। যে হারে কিডনি রোগী বাড়ছে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ কিডনি রোগী উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে অগণিত ভাবে মৃত্যু বরণ করবে। এক সময় উন্নত চিকিৎসার অভাবে সামর্থ্য থাকলেও জীবন বাঁচানো যায়নি আর বর্তমান সময়ে দুনিয়ায় সর্বত্র উন্নত চিকিৎসা বিদ্যমান। মানুষ মরছে শুধু সামর্থ্যরে অভাবে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে। মরণঘাতি কিডনি রোগে বিনা চিকিৎসায় নীরবে নিঃশব্দে অসংখ্য মানুষের অকাল মৃত্যুর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে কিডনি বিকলের অন্যতম উপসর্গ হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস। মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচার সকল রোগের উৎপত্তির মূল উৎস। কিডনি বিকল হওয়ার ফলে রক্তে সংক্রমণ জনিত কারণে লিভার, ফুসফুস, হৃদরোগসহ শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে নানা রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে এবং বংশানুক্রমিক। মহান রব না করুক একই সময়ে একই পরিবারে একাধিক কিডনি রোগী এবং প্রজন্মন্তর কিডনি রোগীর মত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সাধ্য কারো নেই।
কিছুদিন আগে অজ্ঞাতনামা এক কিডনি রোগীর পরিবারের সাথে যোগাযাগ করি, জানতে চাই তার বাবার অসুস্থতার কথা তিনি বলেন “এই সপ্তাহে ২টি ডায়ালাইসিস করাইতে পারিনি, আব্বার শরীরে পানি জইমা গেছে, ডায়ালাইসিস করানোর মতো আমাদের আর সামর্থ্য নেই, ডায়ালাইসিস তো দূরের কথা রাতের খাবার রান্না হবে কিনা তারই নিশ্চয়তা নেই। আব্বার ডায়ালাইসিস খরচ জোগাইতে জোগাইতে জায়গা সম্পত্তি যা ছিল এবং আশ্রয়স্থলটুকু বিক্রি করে ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিয়েছি”। এমন কথা গুলো সত্যি হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে। বোধহয় রব এর দুনিয়ায় তাদের চেয়েও অসহায় আর নেই। প্রিয় মানুষদের বাঁচানোর জন্য পরিবার-পরিজনদের এমন ত্যাগ, সংগ্রাম, বুকফাটা বোবা কান্না ও নির্মম কষ্টের আওয়াজ চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে। এ রোগ একটা অভিশাপ। একটি পরিবারকে পথে বসাতে পরিবারে একজন কিডনি রোগীই যথেষ্ট।
কিডনি রোগীদের জীবন রক্ষায় স্বাস্থ্য বিষয়ক দপ্তর, এনজিও, মানবিক সংগঠন, ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ও দেশ-বিদেশের সহযোগিতায় সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোগীদের বিড়ম্বনা মুক্ত সাশ্রয়ী মূল্যে বা বিনা মূল্যে হাসপাতাল, ক্লিনিক, ল্যাব, ব্লাড ও অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, ন্যায্য-মূল্যে ডায়ালাইসিস, ঔষধসহ কিডনি-রোগীদের চিকিৎসার সু-ব্যবস্থার করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। একই সাথে জনসচেতনতার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যাবলি প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনসাধারণের অসচেতনতা, অসাবধানতা, রোগের লক্ষণ সম্পর্কে ধারণার অভাব, রোগ প্রতিকারক ও আক্রান্ত রোগীর করণীয় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানের যাবতীয় তথ্যাবলি সম্প্রচারে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে। তারই পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক সংগঠন গুলো জন সচেতনতা ভিত্তিক পোগ্রাম বা মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে পারে। এমন মরণঘাতি রোগকে অবহেলা করলে তার ফলাফল পুরো জাতিকে ভুগতে হতে পারে। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা আশংকাজনক মৃত্যুর হার সম্পর্কে অবগত নয়। উল্লেখ্য যে, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা একজন মানুষের মৃত্যু পরবর্তী শোকের মাতন, মেজবান এবং সামাজিক নানা আনুষ্ঠানিকতার পেছনে যে অর্থ ব্যয় করে থাকেন তার কিঞ্চিৎ পরিমাণ অর্থও যদি কিডনি রোগীদের চিকিৎসা খাতে ব্যয় করতো তাহলে অকাল মৃত্যু হত না।
প্রতিটি শিল্প প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি সমূহের কর্পোরেট দায়িত্ববোধ রয়েছে। সামাজিক এই দায়বদ্ধতা থেকেই তারা কিডনি রোগীদের সেবায় আয়ের একটা অংশ অনুদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। একটি নিরোগ সুস্থ জাতি গঠনে প্রতিটি ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক উপার্জনের একটি অংশ দান করা আইন দ্বারা বাধ্যতা মূলক করা প্রয়োজন। এমন মরণ ব্যাধি কিডনি চিকিৎসায় কঠিন বাস্তবতার সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করা মানুষ গুলোর পাশে রাষ্ট্রের যথোপযুক্ত পদক্ষেপ ও মানবিক সমাজের সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত না হলে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। কিডনি রোগের ব্যয় বহুল চিকিৎসায় ভুক্তভোগী এবং নির্মম বাস্তবতার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত হতদরিদ্র কিডনি রোগী ও ভুক্তভোগী পরিবারের বুকফাটা বোবা কান্না ও নির্মম কষ্টের আওয়াজ সরকার, সামর্থ্যবান ও মানবিক সমাজে ছড়িয়ে দিয়ে সর্বজনীন সহযোগিতা ও উদ্যোগের মাধ্যমে জীবন রক্ষার প্রয়োজন।
হৃদয় বড়ুয়া
(মানবাধিকার কর্মী ও আজীবন সদস্য, কিডনি রোগী কল্যাণ সংস্থা)