০৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

বিপুল পরিমান ভারতীয় ব্যান্ডের মোবাইলসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৩ প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, কিশোর গ্যাং, ডাকাতি, মোবাইল চোরাকারবারী ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। দীর্ঘদিন যাবৎ র্যাব-৩ চোরাই মোবাইল ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের কার্যক্রমের উপর নজরদারী করে আসছে।এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে ভারত হতে কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ মোবাইলফোন বাংলাদেশে এনে তা কম দামে বিভিন্ন শ্রেনীর গ্রাহকের কাছে বিক্রয়কারী একটি মোবাইল চোরাকারবারীর চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান চোরাই মোবাইল উদ্ধারসহ উক্ত চক্রের ৪ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়। বিকালে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ ফিরোজ কবীর সাংবাদিকদের জানান, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৯ জুন ২০২৪ ইং রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় চোরাই মোবাইল চোরাকারবারী চক্রের মূলহোতা আবু তাহের (২৬) তার অন্যতম সহযোগী মোঃ মেহেদী হাসান (২২) মোঃ রুবেল হোসেন (২৯) মোঃ নূর নবী (৩২)’কে সেনবাগ, নোয়াখালীদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ৮০৮ টি চোরাই মোবাইলফোন, ২টি প্রাইভেটকার, এবং নগদ ৫,৩৬৯/-টাকা জব্দ করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩। তিনি আরো জানান,গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানায় যে, তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে চোরাইপথে কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় কারখানায় তৈরী আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন চোরাকারবারীর মাধ্যমে কুমিল্লা-ঢাকা রুট ব্যবহার করে রাজধানীতে নিয়ে আসে। মূলত সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কারনে অধিক লাভের আশায় গ্রাহকের কাছে কমদামে বিক্রয় করা হয় ফলে বাজারে এ সকল মোবাইল ফোনের অনেক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও এ সকল ফোনের ওগঊও নম্বর বিটিআরসির নথিভুক্ত না থাকায় অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য চোরাইপথে আসা ভারতীয় এধরনের মোবাইল ব্যবহার করে থাকে। ধৃত আসামিরা আরও জানায়, চোরাইপথে আনা এ সকল মোবাইল তারা রাজধানীর বিভিন্ন মোবাইল বিক্রয়কারী মার্কেটে সরবরাহ করত।গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

ট্যাগ :

বিপুল পরিমান ভারতীয় ব্যান্ডের মোবাইলসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

প্রকাশিত : ০৮:১২:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৩ প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, কিশোর গ্যাং, ডাকাতি, মোবাইল চোরাকারবারী ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। দীর্ঘদিন যাবৎ র্যাব-৩ চোরাই মোবাইল ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের কার্যক্রমের উপর নজরদারী করে আসছে।এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে ভারত হতে কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ মোবাইলফোন বাংলাদেশে এনে তা কম দামে বিভিন্ন শ্রেনীর গ্রাহকের কাছে বিক্রয়কারী একটি মোবাইল চোরাকারবারীর চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান চোরাই মোবাইল উদ্ধারসহ উক্ত চক্রের ৪ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়। বিকালে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ ফিরোজ কবীর সাংবাদিকদের জানান, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৯ জুন ২০২৪ ইং রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় চোরাই মোবাইল চোরাকারবারী চক্রের মূলহোতা আবু তাহের (২৬) তার অন্যতম সহযোগী মোঃ মেহেদী হাসান (২২) মোঃ রুবেল হোসেন (২৯) মোঃ নূর নবী (৩২)’কে সেনবাগ, নোয়াখালীদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ৮০৮ টি চোরাই মোবাইলফোন, ২টি প্রাইভেটকার, এবং নগদ ৫,৩৬৯/-টাকা জব্দ করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩। তিনি আরো জানান,গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানায় যে, তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে চোরাইপথে কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় কারখানায় তৈরী আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন চোরাকারবারীর মাধ্যমে কুমিল্লা-ঢাকা রুট ব্যবহার করে রাজধানীতে নিয়ে আসে। মূলত সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কারনে অধিক লাভের আশায় গ্রাহকের কাছে কমদামে বিক্রয় করা হয় ফলে বাজারে এ সকল মোবাইল ফোনের অনেক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও এ সকল ফোনের ওগঊও নম্বর বিটিআরসির নথিভুক্ত না থাকায় অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য চোরাইপথে আসা ভারতীয় এধরনের মোবাইল ব্যবহার করে থাকে। ধৃত আসামিরা আরও জানায়, চোরাইপথে আনা এ সকল মোবাইল তারা রাজধানীর বিভিন্ন মোবাইল বিক্রয়কারী মার্কেটে সরবরাহ করত।গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।