১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

প্রবাসীদের লাশ পরিবহন ও দাফন বাবদ গত অর্থবছরে ১৫ কোটি টাকার চেক বিতরণ

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মোট ৪,২৬১ জন প্রবাসী কর্মীর মৃতদেহ তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধিন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে প্রাপ্ত অর্থ থেকে প্রত্যেকের পরিবারকে ৩৫,০০০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবব্রত ঘোষ এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ৩৬৬টি লাশের বিপরীতে ১,২৮,১০,০০০ টাকা, আগস্ট মাসে ১,৫৪,০০,০০০ টাকা, সেপ্টেম্বরে ১,১৫,১৫,০০০ টাকা, অক্টোবরে ১,১৫,৮৫,০০০ টাকা, নভেম্বরে ১,৩০,২০,০০০ টাকা, ডিসেম্বরে ১,২২,১৫,০০০ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।

২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৩৬৩টি লাশের বিপরীতে ১,২৭,০৫,০০০ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ১,০৮,১৫,০০০ টাকা, মার্চ মাসে ১,২৩,৫৫,০০০ টাকা, এপ্রিলে ৯৯,৪০,০০০ টাকা, মে মাসে ১,৪৯,৮০,০০০ টাকা এবং জুন মাসে ১,১৭,৯৫,০০০ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। সর্বমোট ১৪,৯১,৩৫,০০০ টাকার চেক প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।

দেবব্রত ঘোষ জানান, বিভিন্ন এয়ারক্রাফটযোগে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসী কর্মীর মৃতদেহগুলো প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কার্গো শাখা থেকে গ্রহণপূর্বক দ্রুততম সময়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং লাশ পরিবহন ও দাফন খরচ বাবদ প্রত্যেক পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকার চেক স্বচ্ছতার সাথে প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে প্রবাসী কর্মীর মৃতদেহ গ্রহণ করতে আসা প্রবাসী কর্মীর পরিবারের সদস্যদের জন্য Waiting Room চালু করা হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধিন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ২টি এ্যাম্বুলেন্সযোগে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে প্রবাসে মৃত ৯৫ জন কর্মীর লাশ পরিবারের নিকট পৌঁছে দেওয়া হয় এবং গুরুতর অসুস্থ কর্মীকে গ্রহণ করে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের এ্যাম্বুলেন্সযোগে বিনা ভাড়ায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩ জনকে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়।

দেবব্রত ঘোষ আরও জানান, ১ জানুয়ারি ২০২৩ সাল থেকে যে সমস্ত কর্মী বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স নিয়ে বিদেশে চাকরি নিয়ে গিয়েছিলেন ৫ বছরের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ করলে তাদের প্রত্যেকের পরিবার ৩ লক্ষ টাকা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে এবং ১০ লক্ষ টাকা জীবন বিমা কর্পোরেশন থেকে প্রাপ্ত হবেন।

ট্যাগ :

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ‍দিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা

প্রবাসীদের লাশ পরিবহন ও দাফন বাবদ গত অর্থবছরে ১৫ কোটি টাকার চেক বিতরণ

প্রকাশিত : ০৯:৫৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মোট ৪,২৬১ জন প্রবাসী কর্মীর মৃতদেহ তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধিন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে প্রাপ্ত অর্থ থেকে প্রত্যেকের পরিবারকে ৩৫,০০০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবব্রত ঘোষ এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ৩৬৬টি লাশের বিপরীতে ১,২৮,১০,০০০ টাকা, আগস্ট মাসে ১,৫৪,০০,০০০ টাকা, সেপ্টেম্বরে ১,১৫,১৫,০০০ টাকা, অক্টোবরে ১,১৫,৮৫,০০০ টাকা, নভেম্বরে ১,৩০,২০,০০০ টাকা, ডিসেম্বরে ১,২২,১৫,০০০ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।

২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৩৬৩টি লাশের বিপরীতে ১,২৭,০৫,০০০ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ১,০৮,১৫,০০০ টাকা, মার্চ মাসে ১,২৩,৫৫,০০০ টাকা, এপ্রিলে ৯৯,৪০,০০০ টাকা, মে মাসে ১,৪৯,৮০,০০০ টাকা এবং জুন মাসে ১,১৭,৯৫,০০০ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। সর্বমোট ১৪,৯১,৩৫,০০০ টাকার চেক প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।

দেবব্রত ঘোষ জানান, বিভিন্ন এয়ারক্রাফটযোগে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসী কর্মীর মৃতদেহগুলো প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কার্গো শাখা থেকে গ্রহণপূর্বক দ্রুততম সময়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং লাশ পরিবহন ও দাফন খরচ বাবদ প্রত্যেক পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকার চেক স্বচ্ছতার সাথে প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে প্রবাসী কর্মীর মৃতদেহ গ্রহণ করতে আসা প্রবাসী কর্মীর পরিবারের সদস্যদের জন্য Waiting Room চালু করা হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধিন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ২টি এ্যাম্বুলেন্সযোগে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে প্রবাসে মৃত ৯৫ জন কর্মীর লাশ পরিবারের নিকট পৌঁছে দেওয়া হয় এবং গুরুতর অসুস্থ কর্মীকে গ্রহণ করে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের এ্যাম্বুলেন্সযোগে বিনা ভাড়ায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩ জনকে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়।

দেবব্রত ঘোষ আরও জানান, ১ জানুয়ারি ২০২৩ সাল থেকে যে সমস্ত কর্মী বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স নিয়ে বিদেশে চাকরি নিয়ে গিয়েছিলেন ৫ বছরের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ করলে তাদের প্রত্যেকের পরিবার ৩ লক্ষ টাকা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে এবং ১০ লক্ষ টাকা জীবন বিমা কর্পোরেশন থেকে প্রাপ্ত হবেন।