০৫:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪

রংপুরে কুয়ায় পরে মা-ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যু

রংপুরের মিঠাপুকুরের শালটি গোপালপুরে কুয়ায় পড়ে মা-ছেলে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয়রা জানান প্রথমে মা-লাউশাক পারতে গিয়ে কুয়ার মধ্যে পড়ে যায়।পরে মা দেলোয়ারা বেগমকে বাঁচাতে  গিয়ে ছেলে ইদুল মিয়া পরে তার ভাতিজা  ইবনুল ইসলাম উদ্ধার করতে গেলে সেও কুয়ার ভেতরে পড়ে যায়।এসময় ঘটনাস্থলে তিনজন মৃত্যু হয় বলে ফায়ার সাভিস জানান।

 

বৃহস্পাতিবার সকালে মিঠাপুকুর উপজেলা শালটি গোপালপুরের ধাপ উদয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান,বাড়ির পিচনে থাকা কুয়ায় মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে।এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।একটি পরিত্যক্ত কুয়ায়  থেকে তিনজনকে উদ্ধার করেন।এ ঘটনায় শোকের মাতল চলছে ওই গ্রামে।

স্থানীয় শাহিন মিয়া,মামুন মিয়া বলেন-মা-ছেলে ও ভাতিজার মারা যায় এঘটনাটি কেউ মেনে নিতে পারছেন না।তারা বলেন বাড়ির  পাশে কুয়ায় পরে একই পরিবারে তিন জন মারা যায়।অসাবধানত এই ঘটনা ঘটেছে।পরে য়ায়ার সাভিসকে খবর দিলে দুইটি ইউনিট ১ঘন্টার চেষ্টায় তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেন।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম (৫৫),দেলোয়ারা বেগমের ছেলে ইদুল মিয়া (৩৫) এবং তোবারক হোসেনের ছেলে ইবলুল মিয়া (৩৫)।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দেলোয়ারা বেগমের বাড়ির পেছনে গরুর মলমূত্র যাওয়ার জন্য একটা কুয়া খোঁড়া হয়েছিল। ওই কুয়ায় পাশে মই দিয়ে ঘরের সান শেটের ওপর লাউয়ের পাতা তুলছিলেন দেলোয়ারা বেগম।এ সময় মই পিছলে নিচে কুয়ার ভিতরে  পড়ে যান তিনি।

পরে তার মা-কে বাঁচাতে এগিয়ে এসে তার ছেলে ইদল মিয়াও সেখানে পড়ে যান। এরপর ওই দুজনকে বাঁচাতে প্রতিবেশী ভাতিজা ইবলুল মিয়া গেলে তিনিও ওই কুয়ায় পড়েন এবং তিনজনই সেখানে মারা যান।

মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান বলেন, কুয়াটি সরু ও গভীর ২০-২৫ফুট ছিল।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান,তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় কুয়ায় পড়ে মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অসাবধানতার কারণে ঘটনা ঘটেছে।এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গ্রামের লোকজন ছাড়াও আশপাশের গ্রামের লোকজন এমন খবরে গ্রামটিতে ছুটে গিয়ে নিহতের স্বজনদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন।

রংপুর বিভাগের ফায়ার সাভিস ও ডিফেন্স উপ-পরিচালক  কাজী নজমুজ্জামান,জানান উপজেলার ধাপ উদয়পুর গ্রামে লাউশাক পারতে গিয়ে কুয়ার মধ্যে পড়ে যায় দোলেয়ারা বেগম নামের এক নারী,পরে মা-কে বাঁচাতে  গিয়ে ছেলে ইদুল মিয়া ও তার ভাতিজা ইবনুল ইসলাম উদ্ধার করতে গেলে সেও কুয়ায় ভেতরে পড়ে যায়।এসময় ঘটনাস্থলে তিনজন মৃত্যু হয় বলেন ফায়ার সাভিস।কুয়ার ভিতরে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস হওয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে জানান ফায়ার সাভিস বলছেন।ফায়ার সার্ভিসের এক ঘন্টার চেষ্টায় তিন মরদেহ উদ্ধার করা হয়।ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা বলছেন পরিত্যক্ত একটি কুয়ার মধ্যে পরে এ,ঘটনায় তিনজন মারা যায।

ট্যাগ :

দুই মাসে পিয়াজের দাম বেড়েছে ৮০  শতাংশ , আলু ৫৫ শতাংশ

রংপুরে কুয়ায় পরে মা-ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৭:১২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

রংপুরের মিঠাপুকুরের শালটি গোপালপুরে কুয়ায় পড়ে মা-ছেলে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয়রা জানান প্রথমে মা-লাউশাক পারতে গিয়ে কুয়ার মধ্যে পড়ে যায়।পরে মা দেলোয়ারা বেগমকে বাঁচাতে  গিয়ে ছেলে ইদুল মিয়া পরে তার ভাতিজা  ইবনুল ইসলাম উদ্ধার করতে গেলে সেও কুয়ার ভেতরে পড়ে যায়।এসময় ঘটনাস্থলে তিনজন মৃত্যু হয় বলে ফায়ার সাভিস জানান।

 

বৃহস্পাতিবার সকালে মিঠাপুকুর উপজেলা শালটি গোপালপুরের ধাপ উদয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান,বাড়ির পিচনে থাকা কুয়ায় মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে।এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।একটি পরিত্যক্ত কুয়ায়  থেকে তিনজনকে উদ্ধার করেন।এ ঘটনায় শোকের মাতল চলছে ওই গ্রামে।

স্থানীয় শাহিন মিয়া,মামুন মিয়া বলেন-মা-ছেলে ও ভাতিজার মারা যায় এঘটনাটি কেউ মেনে নিতে পারছেন না।তারা বলেন বাড়ির  পাশে কুয়ায় পরে একই পরিবারে তিন জন মারা যায়।অসাবধানত এই ঘটনা ঘটেছে।পরে য়ায়ার সাভিসকে খবর দিলে দুইটি ইউনিট ১ঘন্টার চেষ্টায় তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেন।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম (৫৫),দেলোয়ারা বেগমের ছেলে ইদুল মিয়া (৩৫) এবং তোবারক হোসেনের ছেলে ইবলুল মিয়া (৩৫)।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দেলোয়ারা বেগমের বাড়ির পেছনে গরুর মলমূত্র যাওয়ার জন্য একটা কুয়া খোঁড়া হয়েছিল। ওই কুয়ায় পাশে মই দিয়ে ঘরের সান শেটের ওপর লাউয়ের পাতা তুলছিলেন দেলোয়ারা বেগম।এ সময় মই পিছলে নিচে কুয়ার ভিতরে  পড়ে যান তিনি।

পরে তার মা-কে বাঁচাতে এগিয়ে এসে তার ছেলে ইদল মিয়াও সেখানে পড়ে যান। এরপর ওই দুজনকে বাঁচাতে প্রতিবেশী ভাতিজা ইবলুল মিয়া গেলে তিনিও ওই কুয়ায় পড়েন এবং তিনজনই সেখানে মারা যান।

মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান বলেন, কুয়াটি সরু ও গভীর ২০-২৫ফুট ছিল।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান,তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় কুয়ায় পড়ে মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অসাবধানতার কারণে ঘটনা ঘটেছে।এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গ্রামের লোকজন ছাড়াও আশপাশের গ্রামের লোকজন এমন খবরে গ্রামটিতে ছুটে গিয়ে নিহতের স্বজনদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন।

রংপুর বিভাগের ফায়ার সাভিস ও ডিফেন্স উপ-পরিচালক  কাজী নজমুজ্জামান,জানান উপজেলার ধাপ উদয়পুর গ্রামে লাউশাক পারতে গিয়ে কুয়ার মধ্যে পড়ে যায় দোলেয়ারা বেগম নামের এক নারী,পরে মা-কে বাঁচাতে  গিয়ে ছেলে ইদুল মিয়া ও তার ভাতিজা ইবনুল ইসলাম উদ্ধার করতে গেলে সেও কুয়ায় ভেতরে পড়ে যায়।এসময় ঘটনাস্থলে তিনজন মৃত্যু হয় বলেন ফায়ার সাভিস।কুয়ার ভিতরে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস হওয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে জানান ফায়ার সাভিস বলছেন।ফায়ার সার্ভিসের এক ঘন্টার চেষ্টায় তিন মরদেহ উদ্ধার করা হয়।ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা বলছেন পরিত্যক্ত একটি কুয়ার মধ্যে পরে এ,ঘটনায় তিনজন মারা যায।