০১:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেয়ালে দেয়ালে নতুন শিল্পকর্ম শিক্ষার্থীদের

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে দেয়ালে দেয়ালে ছাত্র আন্দোলনের চিত্র ফুটিয়ে তুলছেন শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নবীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন দেয়ালে শিক্ষার্থীদের চিত্রকর্ম ফুটিয়ে তুলতে দেখা যায়। প্রায় এক শতাধিক শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা শহরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং শহরের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।

শহর ঘুরে দেখা গেছে, শহরের উপজেলা পরিষদের সম্মুখ দেয়ালে শিক্ষার্থীরা রং-তুলির মাধ্যমে আন্দোলনের বিভিন্ন দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলেন। এসব দৃশ্যে আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ, মুগ্ধ অন্য শহীদদের ছবি আঁকানো হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশকে নতুন করে সাজানোর স্লোগানও লেখা হয়েছে দেয়ালে। শিক্ষার্থীরা বলছেন দেয়ালে দেয়ালে যে ভাষা ফুটে উঠেছে তা তাদের প্রতিবাদের ভাষা। যে ভাই ও বোনেরা রক্ত দিয়েছে তাদের স্মরণ করে রাখতে তাদের এই কর্মসূচি। পাশাপাশি সুন্দর, সাম্য, বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়ার প্রাথমিক ধাপও তাদের এই কর্মসূচির অংশ।

দেয়াল লিখন কর্মসূচির পাশাপাশি একদল শিক্ষার্থী শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে দিনভর। শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দিয়েছে স্কাউটস, বিএনসিসির সদস্যরাও।

দেয়ালচিত্র ও গ্রাফিতি আয়োজকদের একজন সাহিদূর রহমান রাজু বলেন, আমাদের আয়োজনে সাধারণ মানুষও যুক্ত হয়েছিলেন। তাই শহীদ ও আন্দোলনের নানা স্মৃতি দেয়ালে তুলে ধরেছি। যাতে পথচলতি শিশু-কিশোর থেকে বয়স্ক সবাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতি ভুলে না যান, সে জন্য গ্রাফিতি আঁকছি।

দেয়াল লিখনে অংশগ্রহণকারী আরেক
কলেজ ছাত্র পারভেজ খাঁন বলেন, দেশের মধ্যে নানা অসঙ্গতি, বৈষম্য রয়েছে। এসব সংকট কাটিয়ে উঠতে পারলে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ পাবো। সেই প্রত্যাশা নিয়েই আমরা রঙ তুলি দিয়ে তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। এমনিভাবে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সবাই সোচ্চার হলে আমার সোনার বাংলা সত্যিকারের সোনার বাংলা হয়ে উঠবে। পথচারী মইনুল বলেন, রঙ-বেরঙের এই শিল্পকর্মগুলো কেবলই সুদৃশ্য নয় বরং সমাজের বিভিন্ন বার্তা পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতনের সাক্ষী বহন করছে এসব দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি। এছাড়াও উক্ত আয়োজনে সহায়তা করেন সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আসাদ ইকবাল সুমন, গৌতম দাশগুপ্ত, তারেক আহমেদ এবং বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

আমি কুমিল্লার মানুষের হৃদয়ে নাম লিখতে চাই : নবাগত জেলা প্রশাসক

দেয়ালে দেয়ালে নতুন শিল্পকর্ম শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত : ০৯:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে দেয়ালে দেয়ালে ছাত্র আন্দোলনের চিত্র ফুটিয়ে তুলছেন শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নবীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন দেয়ালে শিক্ষার্থীদের চিত্রকর্ম ফুটিয়ে তুলতে দেখা যায়। প্রায় এক শতাধিক শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা শহরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং শহরের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।

শহর ঘুরে দেখা গেছে, শহরের উপজেলা পরিষদের সম্মুখ দেয়ালে শিক্ষার্থীরা রং-তুলির মাধ্যমে আন্দোলনের বিভিন্ন দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলেন। এসব দৃশ্যে আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ, মুগ্ধ অন্য শহীদদের ছবি আঁকানো হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশকে নতুন করে সাজানোর স্লোগানও লেখা হয়েছে দেয়ালে। শিক্ষার্থীরা বলছেন দেয়ালে দেয়ালে যে ভাষা ফুটে উঠেছে তা তাদের প্রতিবাদের ভাষা। যে ভাই ও বোনেরা রক্ত দিয়েছে তাদের স্মরণ করে রাখতে তাদের এই কর্মসূচি। পাশাপাশি সুন্দর, সাম্য, বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়ার প্রাথমিক ধাপও তাদের এই কর্মসূচির অংশ।

দেয়াল লিখন কর্মসূচির পাশাপাশি একদল শিক্ষার্থী শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে দিনভর। শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দিয়েছে স্কাউটস, বিএনসিসির সদস্যরাও।

দেয়ালচিত্র ও গ্রাফিতি আয়োজকদের একজন সাহিদূর রহমান রাজু বলেন, আমাদের আয়োজনে সাধারণ মানুষও যুক্ত হয়েছিলেন। তাই শহীদ ও আন্দোলনের নানা স্মৃতি দেয়ালে তুলে ধরেছি। যাতে পথচলতি শিশু-কিশোর থেকে বয়স্ক সবাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতি ভুলে না যান, সে জন্য গ্রাফিতি আঁকছি।

দেয়াল লিখনে অংশগ্রহণকারী আরেক
কলেজ ছাত্র পারভেজ খাঁন বলেন, দেশের মধ্যে নানা অসঙ্গতি, বৈষম্য রয়েছে। এসব সংকট কাটিয়ে উঠতে পারলে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ পাবো। সেই প্রত্যাশা নিয়েই আমরা রঙ তুলি দিয়ে তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। এমনিভাবে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সবাই সোচ্চার হলে আমার সোনার বাংলা সত্যিকারের সোনার বাংলা হয়ে উঠবে। পথচারী মইনুল বলেন, রঙ-বেরঙের এই শিল্পকর্মগুলো কেবলই সুদৃশ্য নয় বরং সমাজের বিভিন্ন বার্তা পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতনের সাক্ষী বহন করছে এসব দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি। এছাড়াও উক্ত আয়োজনে সহায়তা করেন সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আসাদ ইকবাল সুমন, গৌতম দাশগুপ্ত, তারেক আহমেদ এবং বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা।