১০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুমিল্লায় সবজির দাম অপরিবর্তিত, পড়েনি বন্যার প্রভাব

কুমিল্লা বাজার গলোতে চলমান বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেও কাঁচাবাজারে সবজির দামে কোনো পরিবর্তন নেই, পড়েনি বন্যার কোন প্রভাব। কয়েকটি সবজি ছাড়া সব সবজির দাম রয়েছে আগের মতোই। এরইমধ্যে যেসব সবজির দাম বেড়েছে সেগুলো বন্যার কারণে বাড়েনি বলে দাবি বিক্রেতাদের। তবে সবজির ভান্ডার গোমতীর চর এবং বিভিন্ন উপজেলার বন্যার কারণে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে শহরের তুলনায় বন্যাকবলিত এলাকায় সবজির বাজার কিছুটা চড়া।

মঙ্গলবার ( ৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কাঁচাবাজারে সবজির দাম অপরিবর্তিত, নেই বন্যার কোন প্রভাব৷ সবজি বিক্রেতারা জানায়, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই জিনিসপত্রের দাম কমেছে। এখন সবজি বাজারও স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। অন্য সময় হলে বন্যার কারণে জিনিসপত্রের দান হু হু করে বাড়তো। আজকের বাজারে টমেটো ১৪০ টাকা, গত বছর এমন দিনে টমেটোর দাম ছিলো ৪০০ টাকা , কাঁচা মরিচের দাম ২৪০ টাকা,গত বছর এমন সময় ৭০০-৮০০ ছিলো কাচা মরিচের দাম, চায়না গাজর ১৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১০০ টাকা, শসা ৫০-৭০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০-৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০-৮০ টাকা, আনসৃজন হওয়ায় পাতা সিম ২০০ টাকা, করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ৩০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা করে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

কুমিল্লা নগরীর রানির বাজারের সবজি বিক্রেতা সুমন বলেন, এখন পর্যন্ত যেহেতু বন্যার প্রভাব পড়েনি, ইনশাআল্লাহ আশা করি সবজিতে বন্যার প্রভাব পড়বে না। সবজির দাম এরকমই থাকবে। তবে গোমতীর চর সহ কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা না হলে সবজির দাম অনেক কমে যেত। আর এখন তো ছাত্ররা মাঝে মধ্যে এসে বাজার মনিটরিং করে যার কারণে ভয়েও কেউ দাম বাড়ানোর সাহস করে না।

আরেক সবজি বিক্রেতা মো. আলম মিয়া বলেন, বাজারে এখন পর্যন্ত বন্যার কোনও প্রভাব পড়েনি। আন্দোলনের পরে সবজির দাম যেটা কমেছে বর্তমানে সেটাই আছে । অন্য সময় হলে সব কিছুর দাম নাগালের বাহিরে চলে যেত। কিছু দিন পরে হয়তো কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। বন্যা চলা অবস্থায় যেহেতু সবজির দাম বাড়েনি আশা করি আর বাড়বে না।

রানীর বাজারে বাজার করতে আশা আফরোজা সুলতানা বলেন, সবজির দাম মুটামুটি স্বাভাবিক আছে। বন্যার কারণে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম জিনিসপত্রের দাম না জানি হাতের নাগালের বাহিরে চলে যায়। যাক আলহামদুলিল্লাহ জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। গত সপ্তাহে যেই দাম ছিলো এখনো সেই দামই আছে। বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ নিত্যপণ্য জিনিসপত্রের দাম যেন সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, শুধু কাঁচাবাজারই না আমরা সব কিছুই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার চেষ্টা করবো। আমরা যৌথ বাহিনীর সাথে আলোচনা করে একটা টিম করবো যাতে কোন ব্যবসা সিন্ডিকেট করতে না পারে। এবং সেই টিমের মাধ্যমে বাজার গুলোকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

মামলার এজাহারে কারও নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়: ডিএমপি কমিশনার

কুমিল্লায় সবজির দাম অপরিবর্তিত, পড়েনি বন্যার প্রভাব

প্রকাশিত : ০৬:৩৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুমিল্লা বাজার গলোতে চলমান বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেও কাঁচাবাজারে সবজির দামে কোনো পরিবর্তন নেই, পড়েনি বন্যার কোন প্রভাব। কয়েকটি সবজি ছাড়া সব সবজির দাম রয়েছে আগের মতোই। এরইমধ্যে যেসব সবজির দাম বেড়েছে সেগুলো বন্যার কারণে বাড়েনি বলে দাবি বিক্রেতাদের। তবে সবজির ভান্ডার গোমতীর চর এবং বিভিন্ন উপজেলার বন্যার কারণে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে শহরের তুলনায় বন্যাকবলিত এলাকায় সবজির বাজার কিছুটা চড়া।

মঙ্গলবার ( ৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কাঁচাবাজারে সবজির দাম অপরিবর্তিত, নেই বন্যার কোন প্রভাব৷ সবজি বিক্রেতারা জানায়, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই জিনিসপত্রের দাম কমেছে। এখন সবজি বাজারও স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। অন্য সময় হলে বন্যার কারণে জিনিসপত্রের দান হু হু করে বাড়তো। আজকের বাজারে টমেটো ১৪০ টাকা, গত বছর এমন দিনে টমেটোর দাম ছিলো ৪০০ টাকা , কাঁচা মরিচের দাম ২৪০ টাকা,গত বছর এমন সময় ৭০০-৮০০ ছিলো কাচা মরিচের দাম, চায়না গাজর ১৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১০০ টাকা, শসা ৫০-৭০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০-৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০-৮০ টাকা, আনসৃজন হওয়ায় পাতা সিম ২০০ টাকা, করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ৩০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা করে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

কুমিল্লা নগরীর রানির বাজারের সবজি বিক্রেতা সুমন বলেন, এখন পর্যন্ত যেহেতু বন্যার প্রভাব পড়েনি, ইনশাআল্লাহ আশা করি সবজিতে বন্যার প্রভাব পড়বে না। সবজির দাম এরকমই থাকবে। তবে গোমতীর চর সহ কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা না হলে সবজির দাম অনেক কমে যেত। আর এখন তো ছাত্ররা মাঝে মধ্যে এসে বাজার মনিটরিং করে যার কারণে ভয়েও কেউ দাম বাড়ানোর সাহস করে না।

আরেক সবজি বিক্রেতা মো. আলম মিয়া বলেন, বাজারে এখন পর্যন্ত বন্যার কোনও প্রভাব পড়েনি। আন্দোলনের পরে সবজির দাম যেটা কমেছে বর্তমানে সেটাই আছে । অন্য সময় হলে সব কিছুর দাম নাগালের বাহিরে চলে যেত। কিছু দিন পরে হয়তো কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। বন্যা চলা অবস্থায় যেহেতু সবজির দাম বাড়েনি আশা করি আর বাড়বে না।

রানীর বাজারে বাজার করতে আশা আফরোজা সুলতানা বলেন, সবজির দাম মুটামুটি স্বাভাবিক আছে। বন্যার কারণে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম জিনিসপত্রের দাম না জানি হাতের নাগালের বাহিরে চলে যায়। যাক আলহামদুলিল্লাহ জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। গত সপ্তাহে যেই দাম ছিলো এখনো সেই দামই আছে। বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ নিত্যপণ্য জিনিসপত্রের দাম যেন সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, শুধু কাঁচাবাজারই না আমরা সব কিছুই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার চেষ্টা করবো। আমরা যৌথ বাহিনীর সাথে আলোচনা করে একটা টিম করবো যাতে কোন ব্যবসা সিন্ডিকেট করতে না পারে। এবং সেই টিমের মাধ্যমে বাজার গুলোকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস