০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দাগনভূঞা কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দিরে রাতের আঁধারে ত্রাণ লুটের অভিযোগ

  • সুমন পাটোয়ারী
  • প্রকাশিত : ০৮:২৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 30

দাগনভূঞা কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরে ত্রাণ লুটের অভিযোগ পাওয়া যায়।  গত মঙ্গলবার রাতে ত্রাণ কমিটি ও মন্দির  কমিটির লোকেরা মিলে ত্রাণগুলো লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। আশ্রিত মরন দাশ বলেন বলেন, রাতের আঁধারে ত্রাণ কমিটির ও মন্দির কমিটির মতি লাল দাস, অনিল দাস মিলে কয়েকটি ত্রানের বস্তা নিয়ে যাওয়ার সময় আমি দেখি।
প্রত্যক্ষদর্শী সুমন সাহা বলেন, আমার ঘরের জানালা দিয়ে রাতে অনিল দাস ও মতিলাল দাস মিলে রাতের আধারে ত্রাণের বস্তা নিয়ে যায়।

আশ্রিত বৃদ্ধা জ্যোস্না রাণী আমি আজকে অনেক দিন মন্দিরে আছি আমাকে ত্রাণের কোন কিছুই দেয়নি। আবার আশ্রিত অনেককে তারা মন্দিরে থেকে বের করে দিয়েছে।
প্রফেসার অজয় কুমার দেব বলেন  বিজয় বিহারী ভৌমিক   মন্দির কমিটির সম্পাদক, দিপন্কর দাস,অর্জুন দাস, অনিল দাশ, নিমাই দাস,  মতিলাল দাস –  এদের যোগসাজগে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে  মন্দির নির্মাণের অনুদান ও  বন্যা উপলক্ষে আসা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের অনিয়মের অভিযোগ আমরা শুনেছি। এরা বিগত সরকারের প্রভাব দেখিয়ে মন্দির জবরদখল করে রেখেছে। এরা মন্দিরে অন্যকোনো ব্যক্তিকে আসতে দেয় না।  তিনি আরও বলেন, তারা সবাই আওয়ামীলের পদপদবীতে আসীন ছিলেন, তারা দলীয় প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘদিন কমিটি দখল করে আছে। তিনি আরো বলেন তারা প্রভাব  খাটিয়ে জোরপূর্বক মন্দির দখল করে রেখেছে।  এরা সাধারণ হিন্দু জনগণকে মন্দিরে আসতে দেয় না। এদের সাথে জড়িত আছে অর্জুন চন্দ্র দাস ও পৌরসভার  স্টাফ দীপঙ্কর দাস। এর সাবেক পৌরমেয়রের প্রভাব খাটিয়ে মন্দির দখল করে রেখেছে,  মন্দিরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা বিভিন্ন সময় প্রচুর অনুদান দিয়েছে।  এরা সব দখল দেখেছে কোন সঠিক হিসাব এরা কাউকে দিতে পারেনি।

সাবেক পূজা কমিটির সভাপতি বিমল ভৌমিক বলেন,  কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটি ২০১২ সাল থেকে  অদ্যাবদি পালন করে আসছেন।  উক্ত কমিটি দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকায় গত মাসের মাঝামাঝি   উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর হিন্দু বৌদ্ধ  খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রসিক শেখর ভৌমিকের নেতৃত্বের নেতৃত্বে এলাকাবাসী  লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থিতিশীল অবস্থা  বজায় রাখার জন্য সবাইকে নির্দেশনা প্রদান করেন।  উভয় পক্ষকে নিয়ে পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি  ঘোষণা করবেন।

সংবাদ কর্মিরা উক্ত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মন্দির কমিটিকে জানালে তারা বলেন অভিযোগের সত্যতা পেলে মন্দিরের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে দাগনভূঞা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শহিদুল আলম মন্দির পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন করে তিনি অভিযোগের কথাগুলো শুনে তদন্ত করবেন বলেছেন এবং মন্দির কমিটিকে ত্রাণ সামগ্রী সঠিকভাবে বিতরণের কথা বলেন।

অনিয়মের সত্যতা বলেন  আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

মামলার এজাহারে কারও নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়: ডিএমপি কমিশনার

দাগনভূঞা কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দিরে রাতের আঁধারে ত্রাণ লুটের অভিযোগ

প্রকাশিত : ০৮:২৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দাগনভূঞা কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরে ত্রাণ লুটের অভিযোগ পাওয়া যায়।  গত মঙ্গলবার রাতে ত্রাণ কমিটি ও মন্দির  কমিটির লোকেরা মিলে ত্রাণগুলো লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। আশ্রিত মরন দাশ বলেন বলেন, রাতের আঁধারে ত্রাণ কমিটির ও মন্দির কমিটির মতি লাল দাস, অনিল দাস মিলে কয়েকটি ত্রানের বস্তা নিয়ে যাওয়ার সময় আমি দেখি।
প্রত্যক্ষদর্শী সুমন সাহা বলেন, আমার ঘরের জানালা দিয়ে রাতে অনিল দাস ও মতিলাল দাস মিলে রাতের আধারে ত্রাণের বস্তা নিয়ে যায়।

আশ্রিত বৃদ্ধা জ্যোস্না রাণী আমি আজকে অনেক দিন মন্দিরে আছি আমাকে ত্রাণের কোন কিছুই দেয়নি। আবার আশ্রিত অনেককে তারা মন্দিরে থেকে বের করে দিয়েছে।
প্রফেসার অজয় কুমার দেব বলেন  বিজয় বিহারী ভৌমিক   মন্দির কমিটির সম্পাদক, দিপন্কর দাস,অর্জুন দাস, অনিল দাশ, নিমাই দাস,  মতিলাল দাস –  এদের যোগসাজগে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে  মন্দির নির্মাণের অনুদান ও  বন্যা উপলক্ষে আসা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের অনিয়মের অভিযোগ আমরা শুনেছি। এরা বিগত সরকারের প্রভাব দেখিয়ে মন্দির জবরদখল করে রেখেছে। এরা মন্দিরে অন্যকোনো ব্যক্তিকে আসতে দেয় না।  তিনি আরও বলেন, তারা সবাই আওয়ামীলের পদপদবীতে আসীন ছিলেন, তারা দলীয় প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘদিন কমিটি দখল করে আছে। তিনি আরো বলেন তারা প্রভাব  খাটিয়ে জোরপূর্বক মন্দির দখল করে রেখেছে।  এরা সাধারণ হিন্দু জনগণকে মন্দিরে আসতে দেয় না। এদের সাথে জড়িত আছে অর্জুন চন্দ্র দাস ও পৌরসভার  স্টাফ দীপঙ্কর দাস। এর সাবেক পৌরমেয়রের প্রভাব খাটিয়ে মন্দির দখল করে রেখেছে,  মন্দিরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা বিভিন্ন সময় প্রচুর অনুদান দিয়েছে।  এরা সব দখল দেখেছে কোন সঠিক হিসাব এরা কাউকে দিতে পারেনি।

সাবেক পূজা কমিটির সভাপতি বিমল ভৌমিক বলেন,  কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটি ২০১২ সাল থেকে  অদ্যাবদি পালন করে আসছেন।  উক্ত কমিটি দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকায় গত মাসের মাঝামাঝি   উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর হিন্দু বৌদ্ধ  খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রসিক শেখর ভৌমিকের নেতৃত্বের নেতৃত্বে এলাকাবাসী  লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থিতিশীল অবস্থা  বজায় রাখার জন্য সবাইকে নির্দেশনা প্রদান করেন।  উভয় পক্ষকে নিয়ে পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি  ঘোষণা করবেন।

সংবাদ কর্মিরা উক্ত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মন্দির কমিটিকে জানালে তারা বলেন অভিযোগের সত্যতা পেলে মন্দিরের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে দাগনভূঞা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শহিদুল আলম মন্দির পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন করে তিনি অভিযোগের কথাগুলো শুনে তদন্ত করবেন বলেছেন এবং মন্দির কমিটিকে ত্রাণ সামগ্রী সঠিকভাবে বিতরণের কথা বলেন।

অনিয়মের সত্যতা বলেন  আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।