০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আনোয়ারায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর নলকূপ

গরিবের জন্য লাগে মন্ত্রীর সুপারিশ – রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীর ঘরে ঘরে নলকূপ

মোঃ আবদুল হাকিম (৩৩) বৈরাগ ইউনিয়ন গুয়াপঞ্চক গ্রামের একজন স্থানীয় বাসিন্দার। পেশা একজন রাজমিস্ত্রী।পরিবারের এক মাত্র আয়ের উৎস তিনি।রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে যে টাকা আয় করেন – তা দিয়ে কোন রকমে চলে ২ মেয়ের পড়ালেখা আর নিজেদের সংসার।একদিন কাজ না করলে ধারদেনা করতে হয় বলে তিনি জানান। হাকিম আরো জানান, আমি দিনমজুর মানুষ।যা দৈনিক ইনকাম করি তা দিয়ে কোন রকমে আমাদের সংসার চলে।একদিন কাজ না করলে- করতে হয় ধারদেনা। আমাদের বাড়িতে পানি সংকট। একটা গভীর নলকূপের আশায় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরে অনেক বার ঘুরাঘুরি করেছি।একটা ফরম নিয়ে স্থানীয় ১০ জনের স্বাক্ষর নিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরে গিয়ে জমা দিতে গেলে দায়িত্বরত এক কর্মচারী জানান আপনার ফরম জামা দিলেও কোন কাজ হবে না।ফরমে স্থানীয় মন্ত্রীর সুপারিশ লাগবে। না হয় আপনি আপনার এলাকার চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করুন।কারণ স্থানীয় চেয়ারম্যানের জন্য কিছু গভীর নলকূপের বরাদ্দ থাকে। তিনি ফরম নিয়ে স্থানীয় মন্ত্রী আর এমপির সুপারিশের জন্য দিনের আয়ের কাজ বাদ দিয়ে ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা দার নিয়ে চাতরী চৌমুহনীসহ ২ টা  সমাবেশে যোগ দেয়, কিন্তু নেতা কর্মীদের ভিড়ে মন্ত্রীর কাছে যেতে পারেনি।হতাশা নিয়ে বাড়িতে ফিরে যায়। কিছুদিন পড়ে বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান নোয়াব আলীর সাথে নিজেদের পানি সংকটের বিষয়টি জানালে তিনি বলেন আসলে অনেক জন গভীর নলকূপের জন্য আবেদন করেছে। আপনি তবু বিষয়টি নিয়ে একটু আপনার এলাকার মেম্বার সাথে দেখা করুন। আমি বলছি বলিয়েন।তারপর মেম্বারের সাথে দেখা করলে তিনি জানান এখন তো বরাদ্দ নেই।বরাদ্দ আসলে জানাবো! বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকার অনুসন্ধানে জানা যায়- বৈরাগ ইউনিয়নে অবস্থিত কাফকো, সিইউএফএল,কোরিয়ান কেইপিজেট স্যূজ এবং গার্মেন্টস শিল্প কারখানার জন্য প্রতিনিয়ত যে পানি ব্যবহার হচ্ছে এতে বৈরাগ ইউনিয়নের পানির লেয়ার মাটির গভীরে চলে গেছে। সেই কারণে আশেপাশে এলাকা গুলোতে দেখা দিয়েছে পানি সংকট। যার কারণে এই সব এলাকা গুলোতে গভীর নলকূপ এর চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। এইদিকে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর থেকে যে নলকূপ গুলো বরাদ্দ  দেওয়া হচ্ছে সেগুলোতেও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসছে চ্যঞ্চলকর তথ্য। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি দশ পরিবার মিলে একটি নলকূপ পাওয়ার নিয়ম থাকলেও কোন নিময়নীতি তোয়াক্কা না করে বরাদ্দ দিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর।জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের গভীব নলকূপ গুলো আ.লীগ এবং জন প্রতিনিধিদের দখলে।কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে তদন্ত রির্পোট ছাড়া রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বাসায়,জনপ্রতিনিধিদের আত্নীয়- স্বজন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসানো হয়েছে।যারা আর্থিক সংকটের কারণে পানি ব্যবহার করতে পারতেছে না তাদের জন্য দেওয়া হয়নি কোন বরাদ্দ। জানা যায়- প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের দেওয়া গভীর নলকূপ দ্য কিং অব আনোয়ারা কনভেনশন হল নামে চেয়ারম্যানের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে বসানো হয়েছে। ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টের পিছনে বসানো হয়েছে গভীর নলকূপ। জনপ্রতিনিধির বাড়িতে বসানো হয়েছে এইসব সরকারি নলকূপ। আ.লীগের নেতাকর্মীদের এবং নিকট আত্নীয়দের জায়গায় কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বসানো হয়েছে সরকারি গভীর নলকূপ। বৈরাগে আ.লীগের এক নেতার বাড়ির সামনে বসানো হয়েছে সরকারি নলকূপ। সেই নলকূপটিতে শুধুমাত্র ব্যবহার করা হচ্ছে পুকুরের পানি সেচ দেওয়ার কাজে।অন্যদিকে সরকারি নলকূপ ব্যবহার হচ্ছে কৃষি ক্ষেত্রে পানি সেচ কাজে। যেখানে পানির সংকটে কষ্টকর জীবনযাপন করতে হচ্ছে গরীব অসহায় মানুষ জনদের। হয়রানির ভয়ে কোন প্রতিবাদ করতে পারতেছে না ভুক্তভোগীরা। আনোয়ারার সচেতন মহলের দাবি সরকারি বরাদ্দকৃত গভীর নলকূপ স্থাপনে অনিয়মের সাথে জড়িত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপের্কে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর সূত্র জানায়, সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পে আনোয়ারা উপজেলায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৮৬টি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নলকূপগুলোর মধ্যে ৫০ শতাংশ স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশে বাকিগুলো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশে তালিকাভুক্ত করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদ থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে কার্যাদেশ দেয়া হয়। সরকারী বরাদ্দ গভীর নলকূপ নিজ মালিকানাধীন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে বসানো যাবে কিনা জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী প্রিয়াংকা চাকমা জানান – এসব নলকূপ ব্যক্তিগত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে বসানোর নিয়ম নেই। দ্য কিং অব আনোয়ারা কনভেনশন হল,ভোজনবাড়ির রেস্টুরেন্টে পিছনে বসা হয়েছে গভীর নলকূপ এবং বৈরাগ ইউনিয়নের একটা পরিবারের জন্য গভীর নলকূপ।সেই নলকূপটি ব্যবহার করা হচ্ছে পুকুরের পানি দেওয়ার কাজে। আবার জনপ্রতিনিধিরা ব্যক্তিগত জায়গায় নলকূপ বসিয়ে কৃষি জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে।এই বিষয়ের আপনার মতামত জানতে চাইলে তিনি জানান স্থানীয় এমপি মহোদয় ও জনপ্রতিনিধিরা যেভাবে চাহিদাপত্র দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে আমরা সেভাবেই বরাদ্দ দিই। যেখানে উনারা ভালো মনে করেন সেখানেই বরাদ্দ দেন। এক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার থাকে না।এবিষয়ে আপনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন।অত্র অর্থ বছরে কয়টা সরকারি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান সেটা বলা যাবে।এটা আমাদের গোপনীয় বিষয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

মামলার এজাহারে কারও নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়: ডিএমপি কমিশনার

আনোয়ারায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর নলকূপ

গরিবের জন্য লাগে মন্ত্রীর সুপারিশ – রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীর ঘরে ঘরে নলকূপ

প্রকাশিত : ০৯:০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মোঃ আবদুল হাকিম (৩৩) বৈরাগ ইউনিয়ন গুয়াপঞ্চক গ্রামের একজন স্থানীয় বাসিন্দার। পেশা একজন রাজমিস্ত্রী।পরিবারের এক মাত্র আয়ের উৎস তিনি।রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে যে টাকা আয় করেন – তা দিয়ে কোন রকমে চলে ২ মেয়ের পড়ালেখা আর নিজেদের সংসার।একদিন কাজ না করলে ধারদেনা করতে হয় বলে তিনি জানান। হাকিম আরো জানান, আমি দিনমজুর মানুষ।যা দৈনিক ইনকাম করি তা দিয়ে কোন রকমে আমাদের সংসার চলে।একদিন কাজ না করলে- করতে হয় ধারদেনা। আমাদের বাড়িতে পানি সংকট। একটা গভীর নলকূপের আশায় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরে অনেক বার ঘুরাঘুরি করেছি।একটা ফরম নিয়ে স্থানীয় ১০ জনের স্বাক্ষর নিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরে গিয়ে জমা দিতে গেলে দায়িত্বরত এক কর্মচারী জানান আপনার ফরম জামা দিলেও কোন কাজ হবে না।ফরমে স্থানীয় মন্ত্রীর সুপারিশ লাগবে। না হয় আপনি আপনার এলাকার চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করুন।কারণ স্থানীয় চেয়ারম্যানের জন্য কিছু গভীর নলকূপের বরাদ্দ থাকে। তিনি ফরম নিয়ে স্থানীয় মন্ত্রী আর এমপির সুপারিশের জন্য দিনের আয়ের কাজ বাদ দিয়ে ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা দার নিয়ে চাতরী চৌমুহনীসহ ২ টা  সমাবেশে যোগ দেয়, কিন্তু নেতা কর্মীদের ভিড়ে মন্ত্রীর কাছে যেতে পারেনি।হতাশা নিয়ে বাড়িতে ফিরে যায়। কিছুদিন পড়ে বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান নোয়াব আলীর সাথে নিজেদের পানি সংকটের বিষয়টি জানালে তিনি বলেন আসলে অনেক জন গভীর নলকূপের জন্য আবেদন করেছে। আপনি তবু বিষয়টি নিয়ে একটু আপনার এলাকার মেম্বার সাথে দেখা করুন। আমি বলছি বলিয়েন।তারপর মেম্বারের সাথে দেখা করলে তিনি জানান এখন তো বরাদ্দ নেই।বরাদ্দ আসলে জানাবো! বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকার অনুসন্ধানে জানা যায়- বৈরাগ ইউনিয়নে অবস্থিত কাফকো, সিইউএফএল,কোরিয়ান কেইপিজেট স্যূজ এবং গার্মেন্টস শিল্প কারখানার জন্য প্রতিনিয়ত যে পানি ব্যবহার হচ্ছে এতে বৈরাগ ইউনিয়নের পানির লেয়ার মাটির গভীরে চলে গেছে। সেই কারণে আশেপাশে এলাকা গুলোতে দেখা দিয়েছে পানি সংকট। যার কারণে এই সব এলাকা গুলোতে গভীর নলকূপ এর চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। এইদিকে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর থেকে যে নলকূপ গুলো বরাদ্দ  দেওয়া হচ্ছে সেগুলোতেও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসছে চ্যঞ্চলকর তথ্য। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি দশ পরিবার মিলে একটি নলকূপ পাওয়ার নিয়ম থাকলেও কোন নিময়নীতি তোয়াক্কা না করে বরাদ্দ দিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর।জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের গভীব নলকূপ গুলো আ.লীগ এবং জন প্রতিনিধিদের দখলে।কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে তদন্ত রির্পোট ছাড়া রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বাসায়,জনপ্রতিনিধিদের আত্নীয়- স্বজন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসানো হয়েছে।যারা আর্থিক সংকটের কারণে পানি ব্যবহার করতে পারতেছে না তাদের জন্য দেওয়া হয়নি কোন বরাদ্দ। জানা যায়- প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের দেওয়া গভীর নলকূপ দ্য কিং অব আনোয়ারা কনভেনশন হল নামে চেয়ারম্যানের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে বসানো হয়েছে। ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টের পিছনে বসানো হয়েছে গভীর নলকূপ। জনপ্রতিনিধির বাড়িতে বসানো হয়েছে এইসব সরকারি নলকূপ। আ.লীগের নেতাকর্মীদের এবং নিকট আত্নীয়দের জায়গায় কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বসানো হয়েছে সরকারি গভীর নলকূপ। বৈরাগে আ.লীগের এক নেতার বাড়ির সামনে বসানো হয়েছে সরকারি নলকূপ। সেই নলকূপটিতে শুধুমাত্র ব্যবহার করা হচ্ছে পুকুরের পানি সেচ দেওয়ার কাজে।অন্যদিকে সরকারি নলকূপ ব্যবহার হচ্ছে কৃষি ক্ষেত্রে পানি সেচ কাজে। যেখানে পানির সংকটে কষ্টকর জীবনযাপন করতে হচ্ছে গরীব অসহায় মানুষ জনদের। হয়রানির ভয়ে কোন প্রতিবাদ করতে পারতেছে না ভুক্তভোগীরা। আনোয়ারার সচেতন মহলের দাবি সরকারি বরাদ্দকৃত গভীর নলকূপ স্থাপনে অনিয়মের সাথে জড়িত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপের্কে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর সূত্র জানায়, সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পে আনোয়ারা উপজেলায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৮৬টি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নলকূপগুলোর মধ্যে ৫০ শতাংশ স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশে বাকিগুলো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশে তালিকাভুক্ত করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদ থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে কার্যাদেশ দেয়া হয়। সরকারী বরাদ্দ গভীর নলকূপ নিজ মালিকানাধীন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে বসানো যাবে কিনা জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী প্রিয়াংকা চাকমা জানান – এসব নলকূপ ব্যক্তিগত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে বসানোর নিয়ম নেই। দ্য কিং অব আনোয়ারা কনভেনশন হল,ভোজনবাড়ির রেস্টুরেন্টে পিছনে বসা হয়েছে গভীর নলকূপ এবং বৈরাগ ইউনিয়নের একটা পরিবারের জন্য গভীর নলকূপ।সেই নলকূপটি ব্যবহার করা হচ্ছে পুকুরের পানি দেওয়ার কাজে। আবার জনপ্রতিনিধিরা ব্যক্তিগত জায়গায় নলকূপ বসিয়ে কৃষি জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে।এই বিষয়ের আপনার মতামত জানতে চাইলে তিনি জানান স্থানীয় এমপি মহোদয় ও জনপ্রতিনিধিরা যেভাবে চাহিদাপত্র দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে আমরা সেভাবেই বরাদ্দ দিই। যেখানে উনারা ভালো মনে করেন সেখানেই বরাদ্দ দেন। এক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার থাকে না।এবিষয়ে আপনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন।অত্র অর্থ বছরে কয়টা সরকারি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান সেটা বলা যাবে।এটা আমাদের গোপনীয় বিষয়।