নতুন এক অধ্যায়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র। ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলাও। আরেকটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে এগিয়ে চলছে ভোটের কার্যক্রম। এরই মধ্যে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের বেশির ভাগ রাজ্যে ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয়ে গেছে গণনা। কয়েকটি রাজ্যে বুথ বন্ধ হয়ে যাবে আর কয়েক ঘণ্টা বাদেই। তবে, প্রাপ্ত বুথফেরত জরিপ থেকে দেখা যাচ্ছে, এরই মধ্যে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌঁড়ে ফিনিশিং লাইনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন ট্রাম্প।
অবশ্য, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে ভালোই টক্কর দিচ্ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা। বড় স্টেটগুলোতে জিতে হোয়াইট হাউস পুনরুদ্ধারের দৌঁড়ে থাকা সাবেক প্রেসিডেন্টের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিলেন ডেমোক্র্যাটদের নারী কাণ্ডারি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুইং স্টেটের ফলাফলই কমলাকে ছিটকে দিয়েছে দৌঁড় থেকে।
যাই হোক, এখন পর্যন্ত পাওয়া আপডেট অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেকটোরাল ভোটের বিপরীতে ইতোমধ্যে ২৬৭ ভোট পেয়ে গেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এখনও আটকে আছেন ২২৪টি ভোট।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে মোট ৫১৪টি ইলেকটোরাল ভোট আছে, যেখানে আর মাত্র ২৩টি ভোটের হিসাব বাকি। এখন পর্যন্ত কাগজে-কলমের হিসাবে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর জন্যই হোয়াইট হাউজের দুয়ার খোলা মনে হলেও বাস্তবে ব্যবধান গড়ে দিচ্ছে সাত সুইং স্টেটের ৯৩টি ইলেকটোরাল ভোট, যেখানে এরই মধ্যে নর্থ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া ও পেনসিলভানিয়ার ৫১টি ভোট দখলে নিয়ে নিয়েছেন ট্রাম্প।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের আপডেট দেখাচ্ছে, সুইং স্টেট খ্যাত মিশিগান এবং উইসকনসিনেও ভালোভাবেই এগিয়ে আছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। স্টেটগুলোর সবশেষ বুথফেরত জরিপ তার জয়ের আভাসই দিচ্ছে। মোট ২৬টি ইলেকটোরাল ভোট আছে স্টেট দুটিতে। এর মধ্যে মিশিগানে ১৫ এবং উইসকনসিনে ১০টি ইলেকটোরাল ভোট আছে। অন্য দুই সুইং স্টেট অ্যারিজোনা ও নেভাদায় ভোটগ্রহণ শেষ হতে এখনও অনেকখানি সময় বাকি। যথাক্রমে ১১টি ও ৬টি ইলেকটোরাল ভোট আছে স্টেট দুটিতে।
এনবিসির জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ শতাংশ ভোটার অর্থনীতি পরিচালনার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ওপরই আস্থা রাখছেন। যেখানে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করছেন ৪৭ শতাংশ ভোটার। একই জরিপ অনুযায়ী আবার ৭২ শতাংশ ভোটার দেশের অবস্থা নিয়ে ‘অসন্তুষ্ট’।
মূলত, বাইডেনের চার বছরের শাসনামলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কর্মসংস্থানের সংকট সৃষ্টির পাশাপাশি অব্যাহত মূল্যস্ফীতির কারণে পড়ে গেছে জীবনযাত্রার মান। অন্যদিকে, বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য নীতি ও অভ্যন্তরীণ কিছু নীতির কারণেও সেখানকার মুসলমান নাগরিকরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন ডেমোক্র্যাটদের প্রতি। বাইডেন প্রশাসনের বিগত দিনের ভুলগুলোর খেসারতই কমলাকে দিতে হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস























