০৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

মালা খানের ষড়যন্ত্রে গবেষক মশিউর রহমান মিথ্যা আসামি হিসেবে কারাবরণে সংবাদ সম্মেলন

তদন্তে বিলম্বের সুযোগে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মালা খান ও তার গং কর্তৃক গবেষক মশিউর রহমান মিথ্যা আসামি হিসেবে কারাবরণ করছে , এবং বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তারা।

শনিবার ২৫ জানুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর রুনি মিলনায়তনে স্বৈরাচারের দোসর, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মালা খান ও তার গং কর্তৃক গবেষক মশিউর রহমান মিথ্যা আসামি হিসেবে কারাবরণে প্রতিবাদে, বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন।

বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলেন,আমাদের সহকর্মী ও ফাসিস্ট সরকারের দোসর মালা খানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে বিআরআইসিএমের সকল বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা- কর্মচারী ও রিসার্চ ফেলোদের চলমান আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা ও গবেষক মশিউর রহমান মিথ্যা আসামি হিসেবে কারাবরণ করছেন। বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম) এর বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রিসার্চ ফেলোগণ ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ ও অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন মহাপরিচালক এবং অবৈধ পিএইচডি ডিগ্রিধারী, দুর্নীতিপরায়ণ গোপন আয়না ঘরের প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরাচারী মালা খানের বহাল তবিয়তে থেকে দৌরাত্মের ঘৃণিত চিত্র তুলে ধরার জন্য। কে এই মালা খান? বাংলাদেশের বিজ্ঞানী সমাজের এক কলঙ্ক ও অভিশাপ মালা খান। দেশের সচেতন গবেষক মহল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ তার ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়টি অবগত থাকলেও বিগত ১৫ বছর ধরে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের বিজ্ঞান মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শেখ তাপসের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে বিআরআইসিএম-এর চীফ সায়েন্টিফিক অফিসার পদে নিয়োগ পান, সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক পদটিও বাগিয়ে নেন। এই প্রতারক ব্যক্তিটি আওয়ামী সরকারের সাথে আতাত করে অত্যন্ত দাপটের সাথে শত কোটি টাকার প্রকল্প বাগিয়ে নিয়ে কোটি টাকা লুটপাট করেন।

তার বলেন ,মালা খান গিরগিটির মত রং পাল্টীয়ে অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের পিছনে ছুটছেন। এই প্রতারক, দুর্নীতিবাজ এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেয়ে লবিং করার চেষ্টা করছেন। তিনি যে আওয়ামীলীগ চাটুকার ছিলেন সেই পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে প্রিয়ভাজন হওয়ার চেষ্টায় আছেন।

তাঁরা আরো বলেন,তার দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছিলো। কিন্তু তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত কার্যক্রম বিলম্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে মালা খান তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাওয়া বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হয়রানি ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে । তার ধারাবাহিকতায় গত বুধবারে তার সাথে আপষের প্রস্তাব নাকোচ করায় সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে।

তারা বলেন,৫ ই আগস্ট পরবর্তী সময় যখন পতিত আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আওয়ামী সরকার তথা তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন নির্দোষ ও নিরপরাধী ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে মামলা বাণিজ্য শুরু করে। মালা খান সেই সকল মামলা বাণিজ্যকারীদের সাথে আঁতাত করেন এবং যারা তার অন্যায়, দুর্নীতি, স্বৈরাচারী, টেন্ডার বাণিজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে তাদেরকে হেনস্থা করতে অতি সুকৌশলে মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন। এই ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি স্বৈরাচারের দোসর, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মালা খান ও তার গং দের বিচারের দাবি জানাই ।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের দাবী সমূহ

১. অনতি বিলম্বে মালা খানকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে আনীত দূর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগের সুষ্ঠ তদন্ত ১০ কর্মদিবসেরে মধ্যে বিনা ব্যর্থতায় সম্পন্ন করে জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে ও অভিযোগ প্রমানীত হলে আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

২. অনতি বিলম্বে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত সকল হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহার করে তার নিঃশর্ত মুক্তি প্রদান করতে হবে

৩. মশিউর রহমান সহ বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি-হয়রানীর সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

৪.হয়রানী মূলক মামলা বাণিজ্য কারী ও তাদের সহযোগীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৫. বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি আমলে নিয়ে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা জাবেদ বিন আহমেদ, আয়েশা আক্তার লাভলী উপস্থিত ছিলেন গবেষক মশিউর রহমানের স্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক নাসরিন লিপি সহঅন্যান্য বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ

ডিএস../

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মনোনয়নপত্র জমা

মালা খানের ষড়যন্ত্রে গবেষক মশিউর রহমান মিথ্যা আসামি হিসেবে কারাবরণে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত : ০১:৩৯:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

তদন্তে বিলম্বের সুযোগে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মালা খান ও তার গং কর্তৃক গবেষক মশিউর রহমান মিথ্যা আসামি হিসেবে কারাবরণ করছে , এবং বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তারা।

শনিবার ২৫ জানুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর রুনি মিলনায়তনে স্বৈরাচারের দোসর, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মালা খান ও তার গং কর্তৃক গবেষক মশিউর রহমান মিথ্যা আসামি হিসেবে কারাবরণে প্রতিবাদে, বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন।

বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলেন,আমাদের সহকর্মী ও ফাসিস্ট সরকারের দোসর মালা খানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে বিআরআইসিএমের সকল বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা- কর্মচারী ও রিসার্চ ফেলোদের চলমান আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা ও গবেষক মশিউর রহমান মিথ্যা আসামি হিসেবে কারাবরণ করছেন। বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম) এর বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রিসার্চ ফেলোগণ ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ ও অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন মহাপরিচালক এবং অবৈধ পিএইচডি ডিগ্রিধারী, দুর্নীতিপরায়ণ গোপন আয়না ঘরের প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরাচারী মালা খানের বহাল তবিয়তে থেকে দৌরাত্মের ঘৃণিত চিত্র তুলে ধরার জন্য। কে এই মালা খান? বাংলাদেশের বিজ্ঞানী সমাজের এক কলঙ্ক ও অভিশাপ মালা খান। দেশের সচেতন গবেষক মহল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ তার ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়টি অবগত থাকলেও বিগত ১৫ বছর ধরে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের বিজ্ঞান মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শেখ তাপসের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে বিআরআইসিএম-এর চীফ সায়েন্টিফিক অফিসার পদে নিয়োগ পান, সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক পদটিও বাগিয়ে নেন। এই প্রতারক ব্যক্তিটি আওয়ামী সরকারের সাথে আতাত করে অত্যন্ত দাপটের সাথে শত কোটি টাকার প্রকল্প বাগিয়ে নিয়ে কোটি টাকা লুটপাট করেন।

তার বলেন ,মালা খান গিরগিটির মত রং পাল্টীয়ে অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের পিছনে ছুটছেন। এই প্রতারক, দুর্নীতিবাজ এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেয়ে লবিং করার চেষ্টা করছেন। তিনি যে আওয়ামীলীগ চাটুকার ছিলেন সেই পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে প্রিয়ভাজন হওয়ার চেষ্টায় আছেন।

তাঁরা আরো বলেন,তার দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছিলো। কিন্তু তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত কার্যক্রম বিলম্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে মালা খান তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাওয়া বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হয়রানি ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে । তার ধারাবাহিকতায় গত বুধবারে তার সাথে আপষের প্রস্তাব নাকোচ করায় সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে।

তারা বলেন,৫ ই আগস্ট পরবর্তী সময় যখন পতিত আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আওয়ামী সরকার তথা তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন নির্দোষ ও নিরপরাধী ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে মামলা বাণিজ্য শুরু করে। মালা খান সেই সকল মামলা বাণিজ্যকারীদের সাথে আঁতাত করেন এবং যারা তার অন্যায়, দুর্নীতি, স্বৈরাচারী, টেন্ডার বাণিজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে তাদেরকে হেনস্থা করতে অতি সুকৌশলে মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন। এই ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি স্বৈরাচারের দোসর, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মালা খান ও তার গং দের বিচারের দাবি জানাই ।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের দাবী সমূহ

১. অনতি বিলম্বে মালা খানকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে আনীত দূর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগের সুষ্ঠ তদন্ত ১০ কর্মদিবসেরে মধ্যে বিনা ব্যর্থতায় সম্পন্ন করে জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে ও অভিযোগ প্রমানীত হলে আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

২. অনতি বিলম্বে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত সকল হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহার করে তার নিঃশর্ত মুক্তি প্রদান করতে হবে

৩. মশিউর রহমান সহ বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি-হয়রানীর সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

৪.হয়রানী মূলক মামলা বাণিজ্য কারী ও তাদের সহযোগীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৫. বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি আমলে নিয়ে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা জাবেদ বিন আহমেদ, আয়েশা আক্তার লাভলী উপস্থিত ছিলেন গবেষক মশিউর রহমানের স্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক নাসরিন লিপি সহঅন্যান্য বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ

ডিএস../