ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার চেচুয়া বাজার এলাকার নড়কোনার সরিষা ক্ষেত থেকে পুঁতে রাখা এক ভ্যান চালকের গলাকাটা অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার।
উদ্ধার হওয়া লাশটি পরিচয় উপজেলার নড়কোণা গ্রামের আরিফুলের পুত্র রিফাত( ১৪)৭ দিন আগে ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা বেলায় রিফাত ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
পরবর্তীতে ঐদিন রাতে রিফাতের ভাই বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করে।
রিফাতের সন্ধানে এলাকায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি । দিনের পর দিন অতিবাহিত হলেও যখন রিফাতের কোন সন্ধান মিলছে না। একপর্যায়ে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মিরাজ (২০) নামের ঐএলাকার এক যুবককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে যুবক রিফাত হত্যার দায় স্বীকার করে বলে, ঘটনার দিন সন্ধ্যা বেলা তারা কয়েকজন মিলে রিফাতের ভ্যান গাড়িটি ভাড়া করে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে। পরবর্তীতে রিফাতের ভ্যান গাড়িটি ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে রিফাতকে গলা কেটে হত্যা করে নির্জন সরিষা খেতে গর্ত খনন করে বস্তাবন্দী করে মাটিতে পুতে রাখে।
মিরাজের দেওয়া তথ্য সূত্রে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ সোমবার ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি খুঁড়ে বস্তা বন্দী রিফাতের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে।
এ সময় অর্ধ গলিত লাশ দেখে রিফাতের পরিবার ও স্বজনদের আর্তচিৎকারে ঐ এলাকার আকাশ বাড়ি হয়ে ওঠে।
এলাকাবাসী মনে একটাই প্রশ্ন সামান্য একটি ভ্যানের জন্য ছিনতাইকারীরা কিভাবে রিফাত কে মেরে ফেলতে পারলো। এই নির্মম হত্যাকান্ডের জন্য রিফাতের এলাকাবাসী খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে ।
হত দরিদ্র পরিবারের স্কুল পড়ুয়া এই ভ্যানচালক রিফাত স্কুলের ফাঁকে ফাঁকে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতো তার তো কোনো শত্রু থাকতে পারে না।
এ ব্যাপারে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ দৈনিক এশিয়া বাণীর ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিকে জানান, রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিরাজের সহযোগী ঐ এলাকার সিদ্দিকের পুত্র মনির (২২) জড়িত ছিল। এছাড়া তিনি আরো জানান,এ ঘটনায় আরো যারা জড়িত ছিল তাদের ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।