০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মঙ্গলে পানির সন্ধান পেলো বিজ্ঞানীরা

মঙ্গল গ্রহে তরল পানির সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা। এর আগের বিভিন্ন গবেষণায় মঙ্গলগ্রহের কোনো কোনো জায়গায় হঠাৎ হঠাৎ তরল পানির প্রবাহের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও এই প্রথম সেখানে স্থায়ী জলাধারের অস্তিত্ব পাওয়ার কথা বলা হচ্ছে।

মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুতে ২০ কিলোমিটার বরফে আচ্ছাদিত এই হ্রদের আয়তন। তবে বাতাসের ঘনত্ব কম হওয়ার কারণে ঠাণ্ডায় জলাধারটি বরফের নীচে আটকা পড়েছে।

মঙ্গলের কক্ষপথ পরিদর্শন করছে মার্শ এক্সপ্রেস নামে একটি নভোযান। নভোযানের ভেতরে মারসিস নামে একটি রাডার এই জলাধারের সন্ধান পেয়েছে। এই গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইতালির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অধ্যাপক রবার্তো ওরোসেই।

রবার্তো ওরোসেই বলেন, হ্রদটি আকারে তেমন বড় নয় তবে এটি একটি সত্যিকারের জলাধার। এটি এমন নয় যে পাথর বা বরফের খাঁজে কিছু পানি আটকে আছে। বরং এটি পুরাদস্তুর একটি হ্রদ।

ব্রিটেনের ওপেন ইউনিভার্সিটির ড. মনিশ প্যাটেল বলেন, আমরা জানি মঙ্গলগ্রহের উপরিভাগ প্রাণের জন্য অনুকূল নয়, ফলে এখন উপরিভাগের নীচে জীবনের সন্ধান করতে হবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর বাইরে অন্য কোথাও জীবনের অস্তিত্ব নির্ভর করে সেখানে পানি রয়েছে কিনা তার ওপর। মঙ্গলে সেই পানি থাকার সম্ভাব্য প্রমাণ এখন পাওয়া গেল।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, মঙ্গলের এই জলাধারে পানির তাপমাত্রা মাইনাস ১০ থেকে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই ঠাণ্ডাতেও যে জলাধারটি তরল রয়েছে তার অর্থ এতে প্রচুর লবণ রয়েছে।

ব্রিটেনের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ক্লেয়ার কাজিনস বলেন, এমন হতে পারে যে, ওই পানি খুবই ঠাণ্ডা এবং লবণ ভর্তি। এই অবস্থা যে কোনো প্রাণীর জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং।

ওপেন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ম্যাট বাম বলেছেন, হতে পারে, এখন মঙ্গলগ্রহে এমন একটি অভিযানের পরিকল্পনা করতে হবে যেখানে বরফ ড্রিল করে অর্থাৎ ফুটো করে ঐ জলাধারের পানি পরীক্ষা করতে হবে যেমনটি অতীতে অ্যান্টার্কটিকাতে করা হয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

মঙ্গলে পানির সন্ধান পেলো বিজ্ঞানীরা

প্রকাশিত : ১১:৪০:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই ২০১৮

মঙ্গল গ্রহে তরল পানির সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা। এর আগের বিভিন্ন গবেষণায় মঙ্গলগ্রহের কোনো কোনো জায়গায় হঠাৎ হঠাৎ তরল পানির প্রবাহের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও এই প্রথম সেখানে স্থায়ী জলাধারের অস্তিত্ব পাওয়ার কথা বলা হচ্ছে।

মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুতে ২০ কিলোমিটার বরফে আচ্ছাদিত এই হ্রদের আয়তন। তবে বাতাসের ঘনত্ব কম হওয়ার কারণে ঠাণ্ডায় জলাধারটি বরফের নীচে আটকা পড়েছে।

মঙ্গলের কক্ষপথ পরিদর্শন করছে মার্শ এক্সপ্রেস নামে একটি নভোযান। নভোযানের ভেতরে মারসিস নামে একটি রাডার এই জলাধারের সন্ধান পেয়েছে। এই গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইতালির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অধ্যাপক রবার্তো ওরোসেই।

রবার্তো ওরোসেই বলেন, হ্রদটি আকারে তেমন বড় নয় তবে এটি একটি সত্যিকারের জলাধার। এটি এমন নয় যে পাথর বা বরফের খাঁজে কিছু পানি আটকে আছে। বরং এটি পুরাদস্তুর একটি হ্রদ।

ব্রিটেনের ওপেন ইউনিভার্সিটির ড. মনিশ প্যাটেল বলেন, আমরা জানি মঙ্গলগ্রহের উপরিভাগ প্রাণের জন্য অনুকূল নয়, ফলে এখন উপরিভাগের নীচে জীবনের সন্ধান করতে হবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর বাইরে অন্য কোথাও জীবনের অস্তিত্ব নির্ভর করে সেখানে পানি রয়েছে কিনা তার ওপর। মঙ্গলে সেই পানি থাকার সম্ভাব্য প্রমাণ এখন পাওয়া গেল।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, মঙ্গলের এই জলাধারে পানির তাপমাত্রা মাইনাস ১০ থেকে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই ঠাণ্ডাতেও যে জলাধারটি তরল রয়েছে তার অর্থ এতে প্রচুর লবণ রয়েছে।

ব্রিটেনের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ক্লেয়ার কাজিনস বলেন, এমন হতে পারে যে, ওই পানি খুবই ঠাণ্ডা এবং লবণ ভর্তি। এই অবস্থা যে কোনো প্রাণীর জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং।

ওপেন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ম্যাট বাম বলেছেন, হতে পারে, এখন মঙ্গলগ্রহে এমন একটি অভিযানের পরিকল্পনা করতে হবে যেখানে বরফ ড্রিল করে অর্থাৎ ফুটো করে ঐ জলাধারের পানি পরীক্ষা করতে হবে যেমনটি অতীতে অ্যান্টার্কটিকাতে করা হয়েছে।