০৫:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

পায়রা বন্দরে তায়েবুর রহমানের বিরুদ্ধে একক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ !

আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন সরকার দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন দূনীতির বিষয় সামনে আসছে। সর্বশেষ রাজস্বখাতে সৃজনকৃত ১৪ শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়মের তদন্ত আবার নতুন করে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ।

এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক ও গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব‍্যবহার করে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমান অর্থের মালিক বনে যাওয়া ও গুরুত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘসময় দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বিশেষ করে, ফ‍্যাসিষ্ট সরকারের আমলে যারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,চট্রগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর ও পায়রা বন্দরের উচ্চপদস্থ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন স্তরে পদোন্নতি নিয়েছেন ঐ সকল কর্মকর্তাদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থা গুলো ।

সাম্প্রতিক সময়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে পায়রা বন্দরের উপপরিচালক তায়েবুর রহমান (নিয়োগ ও সংস্থাপন) বিরুদ্ধে।

অভিযোগ আছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আশীর্বাদপুস্ট হয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ বানিজ্য পরিচালনা করে কোটিপতি বনে গেছেন ।ফ‍্যাসিস্ট সরকারে আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে খুব অল্প সময়ে নিয়েছেন পদোন্নতি।ফ‍্যাসিষ্ট সরকারের চলে গেলে ও অদৃশ্য সেই খুঁটির জোরে এখনও স্বপদে আছেন বহাল তবিয়তে ।

এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সীমাহীন দুর্নীতি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে মন্ত্রনালয় তদন্ত শুরু করলেও সাবেক ফ্যাসিস্ট নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের খুঁটির জোরে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। তৎকালীন ভুক্তভোগীরা বন্দর কর্তৃপক্ষের সৃজনকৃত ১৪ শূন্যপদের নিয়োগ নিয়ে বলেন, উপপরিচালক তায়েবুর রহমান,(নিয়োগ ও সংস্থাপন) ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব, তিনি অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে একটা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন এবং নিয়োগের নামে প্রার্থীদের সাথে আই ওয়াশ করছেন।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পায়রা বন্দরের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী বলেন তায়েবুর রহমান,উপপরিচালক(নিয়োগ ও সংস্থাপন) ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খানের ভাতিজা পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে পায়রা বন্দরে কোটি কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য ও একক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় তায়েবুর রহমানের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের টেকেরহাটে । নিজ এলাকায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করেছেন আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ি ।
বনশ্রীসহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তার একাধিক ফ্ল্যাট,জমি ও দুটি বিলাসবহুল গাড়ি ।

তায়েবুর রহমানের নিকট আত্মীয় স্বজনে ঠাসা পুরো পায়রা বন্দর । সুইপার থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ প্রতিটি পদে রয়েছে তায়েবুর নিয়োগপ্রাপ্ত লোকজন ।পায়রা বন্দরের যেই সেক্টরে যাবেন সেই সেক্টরে রয়েছে তায়েবুর রহমানের নিয়ন্ত্রনে। নিজে যেমন গড়েছেন অঢেল ধন সম্পদ,তেমনি চাকরি দিয়েছেন তার অনেক নিকট আত্মীয় ও স্বজনদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে ,পায়রা বন্দরে কর্মরত কানুনগো জসিমুজ্জামান তার আপন শ্যালক , তত্ত্বাবধায়ক মশিউর রহমান তার আপন বোন জামাই, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কাজী সাইফুল ইসলাম ও কম্পিউটার অপারেটর লায়েক তার আপন খালাতো ভাই, প্রধান সহকারী শরাফাত হোসেন তার আপন মামাতো ভাই , এমএলএসএস জুয়েল মোল্লা ও সাইদুর রহমান তার শ্যালক কানুনগো জসিমুজ্জামানের শ্যালক,উপপরিচালক বাজেট শাহাদাত হোসেন ও যুগ্ন পরিকল্পনা প্রধান মোহাম্মদ আলী ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের তারই নিজ বিভাগের দুজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু, যাদের ভূয়া অভিজ্ঞতার সনদ দিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন,তত্বাবধায়ক শাহ আলম ও অডিট এসিস্ট্যান্ট আলিমুজ্জামান তুহিন তার রাজেন্দ্র কলেজের ছোটভাই যারা তার দীর্ঘদিনের ম্যাচমেট,তত্ত্বাবধায়ক আনোয়ার হোসেন তার রাজেন্দ্র কলেজের বড় ভাই,কম্পিউটার অপারেটর তানিয়া সুলতানা, প্রদীপ বিশ্বাস ও নিরাপত্তারক্ষী পাপিয়া বাড়ৌ তার বাড়ির পাশের প্রতিবেশী,যাদের গ্রামের বাড়ি মাদারিপুরের টেকেরহাটে, কম্পিউটার অপারেটর আজহার উদ্দিন ও খালাসী জাহিদ তার শ্যালক কানুনগো জসিমের উদ্দিনের বন্ধু। এছাড়াও তার অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রয়েছে যাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, উপপরিচালক বা ৬ষ্ঠ গ্রেডে যারা যোগদান করেছে তাদের প্রায় সবারই ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদ। সবারই অভিজ্ঞতার সনদ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান থেকে বানানো অথচ অন্যান্য সরকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সরাসরি উপপরিচালক বা ৬ষ্ঠ গ্রেডে যোগদান করার জন্য সরকারী বা স্বায়ত্ত্বশাসিত বা কোন সরকারী প্রকল্পে ৯ম গ্রেড পদে নূন্যতম ৫/৭ বছরের চাকরীর অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।কিন্তু এখানে তা মোটেও মানা হয়নি।

পুরো নিয়োগ বানিজ্যের কারসাজি, এর পিছনের মাস্টার মাইন্ড ও নেপথ্যের কারিগর তায়েবুর রহমান, উপপরিচালক(নিয়োগ ও সংস্থাপন)।

পায়রা বন্দরে নিজস্ব আত্নীয় স্বজন দিয়ে তায়েবুর রহমান একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে।আর এদের বাইরে কেউ গেলে তাদের এসিআর খারাপ দেয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য আরও যত প্রকার মানুষিক টর্চার আছে এই সিন্ডিকেট করে থাকে। এসবের ভয়ে কেউই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায়না।

নাম প্রকাচ্ছে অনিচ্ছুক একাধিক সিবিএ প্রার্থীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,পায়রা বন্দরের কর্মচারীরা তাদের সিবিএ গঠন করতে চাইলেও মাদারীপুরের সিন্ডিকেটের রোষানলে বার বার চেষ্টার পরেও কখনো আলোর মুখ দেখতে পারেনি। সিবিএ যাতে করে গঠন না করতে পারে সেজন্য মাদারীপুরের একটা গ্রুপ দিয়ে তাদের অগ্রগতিকে বার বার নস্যাৎ করে দিচ্ছে। তবে সিবিএ গঠন হলে এসকল দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দৌরাত্য কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করেন সিবিএ প্রার্থীরা।

বর্তমান সরকারের কাছে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পায়রা বন্দরস্থ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাবি পায়রা বন্দরকে বাঁচাতে এসকল ফ্যাসিস্ট দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে দ্রুত চাকরিচ্যুত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান ।তাহলে পায়রা বন্দর বেঁচে যাবে এবং খুব দ্রুত সময়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে পায়রা বন্দরে অপারেশন কার্যক্রম চালু হবে এবং বন্দরের লোকসান কমিয়ে লাভের মুখ দেখবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।

সরোজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সর্বশেষ ১৪ পদের নিয়োগের ১৪ জনই তার আশির্বাদপুস্ট। ২২.০৯.২০২২ খ্রি. ড. মোঃ ফরিদুর রহমান ( উপসচিব) এর স্বাক্ষরে সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ব্যতিত) সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে ৩০.০৬.২০২৩ খ্রি. পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়স ২৫.০৩.২০২০ খি. নির্ধারন করা হয়। কিন্তু ৩১.০৮.২০২৩ খি. ১৪ পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে করোনা কালের বয়স ছাড়ের প্রজ্ঞাপনের সময়সীমা পার হয়ে গেলেও সে প্রজ্ঞাপনের সময়সীমা যুক্ত করে দেয় যেন তার পছন্দের প্রার্থী আবেদন করতে পারে। অর্থাৎ সার্কুলারে করোনা কালের বয়স শিথিলের প্রজ্ঞাপনের সময় শেষ হলেও পছন্দের প্রার্থীর নিয়োগ দিতে সার্কুলারে ব্যাকডেট উল্লেখ করে বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে উপপরিচালক প্রশাসন তায়েবুর রহমান (নিয়োগ ও সংস্থাপন) সার্কুলার দেন এবং যারা কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের কম্পিউটার প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা সাদ্দাম হোসেন, স্টেনো টাইপিষ্ট দিয়ে দিয়েছেন।পায়রা বন্দরে উপপরিচালকদের অফিসিয়ালি পিএ না পেলেও আনঅফিসিয়ালি সাদ্দাম হোসেন, তায়েবুর রহমানের পিএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।পায়রা বন্দরের সবাই এই সাদ্দামকে ডিডি সাদ্দাম হিসেবেই চিনে।

পায়রা বন্দরে চাকরিরত একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে পায়রা বন্দরের রাজস্ব খাতে কর্মরত ৩৩০ জনের মধ্যে ২০০ জনেরও বেশি তায়েবুর রহমান, উপপরিচালক ( নিয়োগ ও সংস্থাপন) এর আশীর্বাদ নিয়ে এসেছে। আর এখানে সার্কুলার দেয়ার সময়ই ঠিক করে রাখা হয় কাকে কাকে নিয়োগ দেয়া হবে। আর যে সকল পদের প্রার্থী আগে থেকে পাওয়া যায়না তাদেরকে লিখিত পরীক্ষার পরে ভাইবার আগে তায়েবুর রহমান উপপরিচালক(নিয়োগ ও সংস্থাপন), সাদ্দাম হোসেনকে দিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করান।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কর্মচারী বলেন (কাজ নেই মজুরী নেই) অনেকেই বলেছেন তাদের কাছ থেকে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে রেখেছেন, তাদেরকে পায়রা বন্দরে চাকরী দিবেন বলে, এখন তারা টাকা চাইতেও ভয় পান যদি তাদের এই চাকরীটাও চলে যায়। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য লাইব্রেরী নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত সাত লক্ষ টাকা পুরোটাই তিনি আত্নসাত করেছেন।এখন পযর্ন্ত বন্দরের কোন লাইব্রেরী নির্মাণ করা হয়নি।

পায়রা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র, বন্দরের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য গাছ লাগানো,অফিসার্স ডরমিটরি, স্টাফ ডরমিটরি থেকে কোটি টাকার উপরে তসরুফ করেছেন। ৫ ই আগস্টের আগেও তিনি প্রতি মাসে ৫০ হাজারের উপরে টিএ ডিএ তুলতেন। তার এহেন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে পায়রা বন্দরের সবাই কমবেশি অবগত। এখানে তার একটা শক্তিশালী সিন্ডিকেড রয়েছে,যার ভয়ে সবাই চুপ থাকে। ৫ই আগস্ট স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি বোল পাল্টে এখন বিএনপির তকমা লাগিয়েছেন। পায়রা বন্দরকে আরও গতিশীল এবং দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে উপপরিচালক তায়েবুর রহমান(নিয়োগ ও সংস্থাপন) সহ পায়রা বন্দরে কর্মরত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের চাকুরী হতে অপসারন করলে বন্দরের কাজ আরও বেগবান হবে বলে বন্দর সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন ২য় শ্রেণির কর্মচারী থেকে ২০১৩ সালে পায়রা বন্দরে যোগদান পর থেকে তায়েবুর রহমানের আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পায়রা বন্দরে চাকুরী তো নয় তায়েবুর রহমান যেনো আলাউদ্দিনের আশ্চর্য প্রদীপ পেয়ে গেছেন বলে মনে করেছেন অনেকে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সাংবাদিদের বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেই তাকে বদলি করা, বরখাস্ত বা বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের মতো বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখাকেই স্বাভাবিকতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দুর্নীতির জন্য কার্যকর জবাবদিহিতা ও প্রতিরোধের সম্ভাবনার মানদণ্ডে যা একেবারেই যথেষ্ট নয়। দুর্নীতির মতো অপরাধ জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে ।প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী দুর্নীতি করলে দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।

অভিযোগের বিষয়ে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন আপনাদের মাধ‍্যমে আমরা জানতে পেরেছি লিখিত অভিযোগ আসলে আমরা পূণতদন্ত করবো।

পায়রা বন্দরের চেয়ারম‍্যান রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবালের কাছে তায়েবুর রহমানের অভিযোগের বিষয়ে অবগ্রত আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি পায়রা বন্দরে দায়িত্ববার গ্রহন করেছি মাত্র একমাস হয়েছে ।

আমাদের পুরোট্রিম নতুন তার বিষয়ে আমি অবগ্রত নই।আপনাদের কাছে তথ‍্য থাকলে সংবাদ প্রকাশ করতে পারেন।

অভিযোগের বিষয়ে তায়েবুর রহমানের কাছে জানতে তার নাম্বারে একাদিক বার ফোন ও মেসেজ করে ও উত্তর দেননি।

 

ডিএস…

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

অস্ত্রসহ বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সভাপতি গ্রেফতার

পায়রা বন্দরে তায়েবুর রহমানের বিরুদ্ধে একক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ !

প্রকাশিত : ০৩:৪৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন সরকার দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন দূনীতির বিষয় সামনে আসছে। সর্বশেষ রাজস্বখাতে সৃজনকৃত ১৪ শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়মের তদন্ত আবার নতুন করে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ।

এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক ও গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব‍্যবহার করে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমান অর্থের মালিক বনে যাওয়া ও গুরুত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘসময় দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বিশেষ করে, ফ‍্যাসিষ্ট সরকারের আমলে যারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,চট্রগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর ও পায়রা বন্দরের উচ্চপদস্থ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন স্তরে পদোন্নতি নিয়েছেন ঐ সকল কর্মকর্তাদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থা গুলো ।

সাম্প্রতিক সময়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে পায়রা বন্দরের উপপরিচালক তায়েবুর রহমান (নিয়োগ ও সংস্থাপন) বিরুদ্ধে।

অভিযোগ আছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আশীর্বাদপুস্ট হয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ বানিজ্য পরিচালনা করে কোটিপতি বনে গেছেন ।ফ‍্যাসিস্ট সরকারে আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে খুব অল্প সময়ে নিয়েছেন পদোন্নতি।ফ‍্যাসিষ্ট সরকারের চলে গেলে ও অদৃশ্য সেই খুঁটির জোরে এখনও স্বপদে আছেন বহাল তবিয়তে ।

এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সীমাহীন দুর্নীতি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে মন্ত্রনালয় তদন্ত শুরু করলেও সাবেক ফ্যাসিস্ট নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের খুঁটির জোরে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। তৎকালীন ভুক্তভোগীরা বন্দর কর্তৃপক্ষের সৃজনকৃত ১৪ শূন্যপদের নিয়োগ নিয়ে বলেন, উপপরিচালক তায়েবুর রহমান,(নিয়োগ ও সংস্থাপন) ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব, তিনি অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে একটা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন এবং নিয়োগের নামে প্রার্থীদের সাথে আই ওয়াশ করছেন।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পায়রা বন্দরের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী বলেন তায়েবুর রহমান,উপপরিচালক(নিয়োগ ও সংস্থাপন) ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খানের ভাতিজা পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে পায়রা বন্দরে কোটি কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য ও একক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় তায়েবুর রহমানের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের টেকেরহাটে । নিজ এলাকায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করেছেন আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ি ।
বনশ্রীসহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তার একাধিক ফ্ল্যাট,জমি ও দুটি বিলাসবহুল গাড়ি ।

তায়েবুর রহমানের নিকট আত্মীয় স্বজনে ঠাসা পুরো পায়রা বন্দর । সুইপার থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ প্রতিটি পদে রয়েছে তায়েবুর নিয়োগপ্রাপ্ত লোকজন ।পায়রা বন্দরের যেই সেক্টরে যাবেন সেই সেক্টরে রয়েছে তায়েবুর রহমানের নিয়ন্ত্রনে। নিজে যেমন গড়েছেন অঢেল ধন সম্পদ,তেমনি চাকরি দিয়েছেন তার অনেক নিকট আত্মীয় ও স্বজনদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে ,পায়রা বন্দরে কর্মরত কানুনগো জসিমুজ্জামান তার আপন শ্যালক , তত্ত্বাবধায়ক মশিউর রহমান তার আপন বোন জামাই, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কাজী সাইফুল ইসলাম ও কম্পিউটার অপারেটর লায়েক তার আপন খালাতো ভাই, প্রধান সহকারী শরাফাত হোসেন তার আপন মামাতো ভাই , এমএলএসএস জুয়েল মোল্লা ও সাইদুর রহমান তার শ্যালক কানুনগো জসিমুজ্জামানের শ্যালক,উপপরিচালক বাজেট শাহাদাত হোসেন ও যুগ্ন পরিকল্পনা প্রধান মোহাম্মদ আলী ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের তারই নিজ বিভাগের দুজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু, যাদের ভূয়া অভিজ্ঞতার সনদ দিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন,তত্বাবধায়ক শাহ আলম ও অডিট এসিস্ট্যান্ট আলিমুজ্জামান তুহিন তার রাজেন্দ্র কলেজের ছোটভাই যারা তার দীর্ঘদিনের ম্যাচমেট,তত্ত্বাবধায়ক আনোয়ার হোসেন তার রাজেন্দ্র কলেজের বড় ভাই,কম্পিউটার অপারেটর তানিয়া সুলতানা, প্রদীপ বিশ্বাস ও নিরাপত্তারক্ষী পাপিয়া বাড়ৌ তার বাড়ির পাশের প্রতিবেশী,যাদের গ্রামের বাড়ি মাদারিপুরের টেকেরহাটে, কম্পিউটার অপারেটর আজহার উদ্দিন ও খালাসী জাহিদ তার শ্যালক কানুনগো জসিমের উদ্দিনের বন্ধু। এছাড়াও তার অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রয়েছে যাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, উপপরিচালক বা ৬ষ্ঠ গ্রেডে যারা যোগদান করেছে তাদের প্রায় সবারই ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদ। সবারই অভিজ্ঞতার সনদ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান থেকে বানানো অথচ অন্যান্য সরকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সরাসরি উপপরিচালক বা ৬ষ্ঠ গ্রেডে যোগদান করার জন্য সরকারী বা স্বায়ত্ত্বশাসিত বা কোন সরকারী প্রকল্পে ৯ম গ্রেড পদে নূন্যতম ৫/৭ বছরের চাকরীর অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।কিন্তু এখানে তা মোটেও মানা হয়নি।

পুরো নিয়োগ বানিজ্যের কারসাজি, এর পিছনের মাস্টার মাইন্ড ও নেপথ্যের কারিগর তায়েবুর রহমান, উপপরিচালক(নিয়োগ ও সংস্থাপন)।

পায়রা বন্দরে নিজস্ব আত্নীয় স্বজন দিয়ে তায়েবুর রহমান একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে।আর এদের বাইরে কেউ গেলে তাদের এসিআর খারাপ দেয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য আরও যত প্রকার মানুষিক টর্চার আছে এই সিন্ডিকেট করে থাকে। এসবের ভয়ে কেউই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায়না।

নাম প্রকাচ্ছে অনিচ্ছুক একাধিক সিবিএ প্রার্থীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,পায়রা বন্দরের কর্মচারীরা তাদের সিবিএ গঠন করতে চাইলেও মাদারীপুরের সিন্ডিকেটের রোষানলে বার বার চেষ্টার পরেও কখনো আলোর মুখ দেখতে পারেনি। সিবিএ যাতে করে গঠন না করতে পারে সেজন্য মাদারীপুরের একটা গ্রুপ দিয়ে তাদের অগ্রগতিকে বার বার নস্যাৎ করে দিচ্ছে। তবে সিবিএ গঠন হলে এসকল দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দৌরাত্য কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করেন সিবিএ প্রার্থীরা।

বর্তমান সরকারের কাছে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পায়রা বন্দরস্থ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাবি পায়রা বন্দরকে বাঁচাতে এসকল ফ্যাসিস্ট দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে দ্রুত চাকরিচ্যুত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান ।তাহলে পায়রা বন্দর বেঁচে যাবে এবং খুব দ্রুত সময়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে পায়রা বন্দরে অপারেশন কার্যক্রম চালু হবে এবং বন্দরের লোকসান কমিয়ে লাভের মুখ দেখবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।

সরোজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সর্বশেষ ১৪ পদের নিয়োগের ১৪ জনই তার আশির্বাদপুস্ট। ২২.০৯.২০২২ খ্রি. ড. মোঃ ফরিদুর রহমান ( উপসচিব) এর স্বাক্ষরে সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ব্যতিত) সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে ৩০.০৬.২০২৩ খ্রি. পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়স ২৫.০৩.২০২০ খি. নির্ধারন করা হয়। কিন্তু ৩১.০৮.২০২৩ খি. ১৪ পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে করোনা কালের বয়স ছাড়ের প্রজ্ঞাপনের সময়সীমা পার হয়ে গেলেও সে প্রজ্ঞাপনের সময়সীমা যুক্ত করে দেয় যেন তার পছন্দের প্রার্থী আবেদন করতে পারে। অর্থাৎ সার্কুলারে করোনা কালের বয়স শিথিলের প্রজ্ঞাপনের সময় শেষ হলেও পছন্দের প্রার্থীর নিয়োগ দিতে সার্কুলারে ব্যাকডেট উল্লেখ করে বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে উপপরিচালক প্রশাসন তায়েবুর রহমান (নিয়োগ ও সংস্থাপন) সার্কুলার দেন এবং যারা কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের কম্পিউটার প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা সাদ্দাম হোসেন, স্টেনো টাইপিষ্ট দিয়ে দিয়েছেন।পায়রা বন্দরে উপপরিচালকদের অফিসিয়ালি পিএ না পেলেও আনঅফিসিয়ালি সাদ্দাম হোসেন, তায়েবুর রহমানের পিএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।পায়রা বন্দরের সবাই এই সাদ্দামকে ডিডি সাদ্দাম হিসেবেই চিনে।

পায়রা বন্দরে চাকরিরত একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে পায়রা বন্দরের রাজস্ব খাতে কর্মরত ৩৩০ জনের মধ্যে ২০০ জনেরও বেশি তায়েবুর রহমান, উপপরিচালক ( নিয়োগ ও সংস্থাপন) এর আশীর্বাদ নিয়ে এসেছে। আর এখানে সার্কুলার দেয়ার সময়ই ঠিক করে রাখা হয় কাকে কাকে নিয়োগ দেয়া হবে। আর যে সকল পদের প্রার্থী আগে থেকে পাওয়া যায়না তাদেরকে লিখিত পরীক্ষার পরে ভাইবার আগে তায়েবুর রহমান উপপরিচালক(নিয়োগ ও সংস্থাপন), সাদ্দাম হোসেনকে দিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করান।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কর্মচারী বলেন (কাজ নেই মজুরী নেই) অনেকেই বলেছেন তাদের কাছ থেকে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে রেখেছেন, তাদেরকে পায়রা বন্দরে চাকরী দিবেন বলে, এখন তারা টাকা চাইতেও ভয় পান যদি তাদের এই চাকরীটাও চলে যায়। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য লাইব্রেরী নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত সাত লক্ষ টাকা পুরোটাই তিনি আত্নসাত করেছেন।এখন পযর্ন্ত বন্দরের কোন লাইব্রেরী নির্মাণ করা হয়নি।

পায়রা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র, বন্দরের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য গাছ লাগানো,অফিসার্স ডরমিটরি, স্টাফ ডরমিটরি থেকে কোটি টাকার উপরে তসরুফ করেছেন। ৫ ই আগস্টের আগেও তিনি প্রতি মাসে ৫০ হাজারের উপরে টিএ ডিএ তুলতেন। তার এহেন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে পায়রা বন্দরের সবাই কমবেশি অবগত। এখানে তার একটা শক্তিশালী সিন্ডিকেড রয়েছে,যার ভয়ে সবাই চুপ থাকে। ৫ই আগস্ট স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি বোল পাল্টে এখন বিএনপির তকমা লাগিয়েছেন। পায়রা বন্দরকে আরও গতিশীল এবং দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে উপপরিচালক তায়েবুর রহমান(নিয়োগ ও সংস্থাপন) সহ পায়রা বন্দরে কর্মরত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের চাকুরী হতে অপসারন করলে বন্দরের কাজ আরও বেগবান হবে বলে বন্দর সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন ২য় শ্রেণির কর্মচারী থেকে ২০১৩ সালে পায়রা বন্দরে যোগদান পর থেকে তায়েবুর রহমানের আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পায়রা বন্দরে চাকুরী তো নয় তায়েবুর রহমান যেনো আলাউদ্দিনের আশ্চর্য প্রদীপ পেয়ে গেছেন বলে মনে করেছেন অনেকে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সাংবাদিদের বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেই তাকে বদলি করা, বরখাস্ত বা বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের মতো বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখাকেই স্বাভাবিকতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দুর্নীতির জন্য কার্যকর জবাবদিহিতা ও প্রতিরোধের সম্ভাবনার মানদণ্ডে যা একেবারেই যথেষ্ট নয়। দুর্নীতির মতো অপরাধ জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে ।প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী দুর্নীতি করলে দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।

অভিযোগের বিষয়ে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন আপনাদের মাধ‍্যমে আমরা জানতে পেরেছি লিখিত অভিযোগ আসলে আমরা পূণতদন্ত করবো।

পায়রা বন্দরের চেয়ারম‍্যান রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবালের কাছে তায়েবুর রহমানের অভিযোগের বিষয়ে অবগ্রত আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি পায়রা বন্দরে দায়িত্ববার গ্রহন করেছি মাত্র একমাস হয়েছে ।

আমাদের পুরোট্রিম নতুন তার বিষয়ে আমি অবগ্রত নই।আপনাদের কাছে তথ‍্য থাকলে সংবাদ প্রকাশ করতে পারেন।

অভিযোগের বিষয়ে তায়েবুর রহমানের কাছে জানতে তার নাম্বারে একাদিক বার ফোন ও মেসেজ করে ও উত্তর দেননি।

 

ডিএস…