০৪:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
গাজায় গণহত্যা বন্ধে দাউদকান্দিতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও র‌্যালি

‘ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা’

  • ইমরান মাসুদ
  • প্রকাশিত : ০৭:০২:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • 23
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি ।
বিএনপির নির্বাহি কমিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেনের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে দাউদকান্দি বিশ্বরোডে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দাউদকান্দি মডেল মসজিদের সামনের বিশ্বরোড থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়ে পৌরসভায় অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
দাউদকান্দি উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভার ও কুমিল্লা উত্তর জেলার বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীসহ স্থানীয় জনতার বিপুল অংশগ্রহণ দেখা যায় মিছিলে।
সভায় র‌্যালি-মিছিলের মাধ্যমে গাজায় গণহত্যা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে ইসরাইলের ওপর অব্যাহত চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন । এ সময় মারুফ হোসেন বলেন, ‘মুখে মানবাধিকারের কথা বলে ইসরায়েল চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধৃষ্টতা দেখিয়ে চলেছে।’
এ সময় বিরোধী মতকে থামাতে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করে আড়িপাতার বিভিন্ন প্রযুক্তি কেনায় শেখ হাসিনার সমালোচনাও করেন তিনি। সে সব চুক্তি প্রকাশের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারকে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান। গাজায় গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বিএনপির এ নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের হৃদয় আজ ক্ষতবিক্ষত, আমাদের কলিজায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। বর্বর ইসরায়েল মুসলমানদের ওপর অবৈধ অন্যায়ভাবে হত্যা করছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি আরো বলেন , ‌‌‌‌‌‌‌‌আমরা বাংলাদেশের নাগরিক সকল দেশে যাব , ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট সরকার হাসিনা। খুনি হাসিনা সরকার ই-পাসপোর্টরি মাধ্যমে ইসরায়েলকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। সেখানে দেখবেন, ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌অল কান্ট্রিস অ্যাকসেপ্ট ইসরায়েল কথাটা লেখা নেই। অর্থাৎ সে ইসরায়েলকে বৈধতা দিতে চেয়েছিল। ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে এটা কী এটা হতে পারে? কিন্তু শেখ হাসিনা যেহেতু ইসলামবিরোধী ছিল, গণবিরোধী ছিল, তাই তারা আমাদের পার্শ্ববর্তী একটি দেশের পরামর্শে ইসরায়েলকে সমর্থন করেছিল।
এ সময় অনতিবিলম্বে তিনি তার নিজের পাসপোর্টসহ যেসব পাসপোর্টে ‌অল কান্ট্রিস অ্যাকসেপ্ট ইসরায়েল লেখা নাই সেগুলো বাতিল করে, আবারও অল কান্ট্রিস অ্যাকসেপ্ট ইসরায়েল লেখাটি সংযোজন করে তা চূড়ান্ত করার জোর দাবি জানান।
উক্ত প্রতিবাদ র‌্যালিতে দাউদকান্দি উপজেলা মহিলাদল ,পৌর মহিলাদল এবং কুমিল্লা উত্তর মহিলাদেলের নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এম এ লতিফ ভূইঁয়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকার । কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি ভিপি সাহাবুদ্দিন ভূইঁয়া , বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো.  আব্দুস সাত্তার, সদস্য সচিব  কাউসার আলম সরকার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শওগাত চৌধুরী পিটার, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার বিল্লাল হোসেন সুমন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাক সরকার, সাবেক কাউন্সিলর সালাউদ্দিন সরকার, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন মোল্লা, পৌর জাসাস আহ্বায়ক মোল্লা সোহেলসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে নেতাকর্মীবৃন্দ ।
ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ভুটানের পথে সানজিদারা

গাজায় গণহত্যা বন্ধে দাউদকান্দিতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও র‌্যালি

‘ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা’

প্রকাশিত : ০৭:০২:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি ।
বিএনপির নির্বাহি কমিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেনের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে দাউদকান্দি বিশ্বরোডে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দাউদকান্দি মডেল মসজিদের সামনের বিশ্বরোড থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়ে পৌরসভায় অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
দাউদকান্দি উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভার ও কুমিল্লা উত্তর জেলার বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীসহ স্থানীয় জনতার বিপুল অংশগ্রহণ দেখা যায় মিছিলে।
সভায় র‌্যালি-মিছিলের মাধ্যমে গাজায় গণহত্যা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে ইসরাইলের ওপর অব্যাহত চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন । এ সময় মারুফ হোসেন বলেন, ‘মুখে মানবাধিকারের কথা বলে ইসরায়েল চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধৃষ্টতা দেখিয়ে চলেছে।’
এ সময় বিরোধী মতকে থামাতে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করে আড়িপাতার বিভিন্ন প্রযুক্তি কেনায় শেখ হাসিনার সমালোচনাও করেন তিনি। সে সব চুক্তি প্রকাশের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারকে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান। গাজায় গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বিএনপির এ নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের হৃদয় আজ ক্ষতবিক্ষত, আমাদের কলিজায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। বর্বর ইসরায়েল মুসলমানদের ওপর অবৈধ অন্যায়ভাবে হত্যা করছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি আরো বলেন , ‌‌‌‌‌‌‌‌আমরা বাংলাদেশের নাগরিক সকল দেশে যাব , ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট সরকার হাসিনা। খুনি হাসিনা সরকার ই-পাসপোর্টরি মাধ্যমে ইসরায়েলকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। সেখানে দেখবেন, ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌অল কান্ট্রিস অ্যাকসেপ্ট ইসরায়েল কথাটা লেখা নেই। অর্থাৎ সে ইসরায়েলকে বৈধতা দিতে চেয়েছিল। ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে এটা কী এটা হতে পারে? কিন্তু শেখ হাসিনা যেহেতু ইসলামবিরোধী ছিল, গণবিরোধী ছিল, তাই তারা আমাদের পার্শ্ববর্তী একটি দেশের পরামর্শে ইসরায়েলকে সমর্থন করেছিল।
এ সময় অনতিবিলম্বে তিনি তার নিজের পাসপোর্টসহ যেসব পাসপোর্টে ‌অল কান্ট্রিস অ্যাকসেপ্ট ইসরায়েল লেখা নাই সেগুলো বাতিল করে, আবারও অল কান্ট্রিস অ্যাকসেপ্ট ইসরায়েল লেখাটি সংযোজন করে তা চূড়ান্ত করার জোর দাবি জানান।
উক্ত প্রতিবাদ র‌্যালিতে দাউদকান্দি উপজেলা মহিলাদল ,পৌর মহিলাদল এবং কুমিল্লা উত্তর মহিলাদেলের নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এম এ লতিফ ভূইঁয়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকার । কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি ভিপি সাহাবুদ্দিন ভূইঁয়া , বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো.  আব্দুস সাত্তার, সদস্য সচিব  কাউসার আলম সরকার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শওগাত চৌধুরী পিটার, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার বিল্লাল হোসেন সুমন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাক সরকার, সাবেক কাউন্সিলর সালাউদ্দিন সরকার, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন মোল্লা, পৌর জাসাস আহ্বায়ক মোল্লা সোহেলসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে নেতাকর্মীবৃন্দ ।