০৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

ইটের প্রাচীর নির্মাণ করে প্রতিবেশীর যাতায়াতের রাস্তা বন্ধের অভিযোগ

জামালপুরের সদর উপজেলার সিংহজানী মৌজার শেখের ভিটা এলাকায় মোঃ আব্দুল লথিফ এর বাসার যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ করে গেইট ইটের দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবেশীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মঞ্জুরুল ইসলামে ও তার শশুর মাহমুদুল হাসান এর বিরুদ্ধে।

রবিবার ১৩ই এপ্রিল সদর উপজেলার শেখের ভিটা গ্রামের প্রভাবশালী মঞ্জুরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ তারা এবিষয়ে সাবেক পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকে যাতায়াতের রাস্তাটির মিমাংসার দায়িত্ব দেন। কিন্তু সেখানে মিমাংসার পরিবর্তে স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাকে লাঞ্ছিত করে। একপর্যায়ে মিমাংসার জন্য সদর থানার ওসি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বিবাদী মঞ্জুরুল প্রভাবশালী লোকদের দিয়ে মারধর করান তাকে।

পরবর্তীতে সদর থানায় তদন্ত কর্মকর্তা বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষকে মিমাংসার জন্য থানায় ডাকলে বিবাদী তার পক্ষে কোন কাগজপত্র নিয়ে না যাওয়ায় সেখানেও মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি। বাদীকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য দক্ষিণ পাশে মঞ্জুরুল ইসলাম ইটের প্রাচীর তুলে হাঁটার পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়া বাড়ির পূর্ব,পশ্চিম ও উত্তর দিকে প্রতিবেশীদের বাড়ি থাকায় ওইদিকেও কোন যাতায়াতের ব্যবস্থা নেই।

জানা গেছে, দেয়াল নির্মাণ করায় ভুক্তভোগী পরিবার ও পরিবারের ভাড়াটিয়া রা চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বয়োজ্যেষ্ঠ ও অন্তসত্ত্বা নিয়ে বিপাকে পড়েছে পরিবারগুলো। কোন মতে পাশের একটি সরু পথ দিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন তারা। এছাড়া কেউ অসুস্থ হয়ে জরুরী অবস্থায় পড়লে দেয়াল বেদ করে পাকা রাস্তায় যাওয়ার কোন উপায় নেই।

ভুক্তভোগী মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, ‘গত ১৮ বছর আগে সিংহজানী মৌজায় সাব কবলায় জমিটি রমজান আলী খানের কাছ থেকে ক্রয় করার পর আমরা যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছিলাম। প্রতিবেশি মঞ্জুরুল ইসলাম স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের চলাচলের রাস্তাটি ইটের প্রাচীর দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। পাশের একটি সরু পথ দিয়ে যেতে হয়। যা খুবই কষ্টসাধ্য।’

এ বিষয়ে বিবাদী মঞ্জুরুল ইসলাম সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সে তার জমিতে যাওয়ার জন্য যে রাস্তাটি ব্যবহার করছেন সেই রাস্তাটি আমাদের। আমাদের প্রতি তার আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিক্তি হীন।

এবিষয়ে বাদীর বাসার ভাড়াটিয়া স্কুল শিক্ষক খায়রুল বলেন, আমাদের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটা খুবই অমানবিক। বিষয়টি সমাধানের জন্য পাশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসা হয়েছিল। কিন্তু তারা এর কোনো সমাধান করতে পারেনি। বিষয়টি সদর থানার ওসি স্যারকে জানিয়েছি।’বর্তমান জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জানান আমি যোগদান করার পূর্বে অভিযোগ করেন বাদী, যেহেতু মামলা হয়েছে,সেহেতু আদালতের সিদ্ধান্ত যা হবে সেটা উভয় পক্ষকে মানতে হবে। যাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা হবে।

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ইটের প্রাচীর নির্মাণ করে প্রতিবেশীর যাতায়াতের রাস্তা বন্ধের অভিযোগ

প্রকাশিত : ০৩:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

জামালপুরের সদর উপজেলার সিংহজানী মৌজার শেখের ভিটা এলাকায় মোঃ আব্দুল লথিফ এর বাসার যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ করে গেইট ইটের দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবেশীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মঞ্জুরুল ইসলামে ও তার শশুর মাহমুদুল হাসান এর বিরুদ্ধে।

রবিবার ১৩ই এপ্রিল সদর উপজেলার শেখের ভিটা গ্রামের প্রভাবশালী মঞ্জুরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ তারা এবিষয়ে সাবেক পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকে যাতায়াতের রাস্তাটির মিমাংসার দায়িত্ব দেন। কিন্তু সেখানে মিমাংসার পরিবর্তে স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাকে লাঞ্ছিত করে। একপর্যায়ে মিমাংসার জন্য সদর থানার ওসি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বিবাদী মঞ্জুরুল প্রভাবশালী লোকদের দিয়ে মারধর করান তাকে।

পরবর্তীতে সদর থানায় তদন্ত কর্মকর্তা বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষকে মিমাংসার জন্য থানায় ডাকলে বিবাদী তার পক্ষে কোন কাগজপত্র নিয়ে না যাওয়ায় সেখানেও মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি। বাদীকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য দক্ষিণ পাশে মঞ্জুরুল ইসলাম ইটের প্রাচীর তুলে হাঁটার পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়া বাড়ির পূর্ব,পশ্চিম ও উত্তর দিকে প্রতিবেশীদের বাড়ি থাকায় ওইদিকেও কোন যাতায়াতের ব্যবস্থা নেই।

জানা গেছে, দেয়াল নির্মাণ করায় ভুক্তভোগী পরিবার ও পরিবারের ভাড়াটিয়া রা চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বয়োজ্যেষ্ঠ ও অন্তসত্ত্বা নিয়ে বিপাকে পড়েছে পরিবারগুলো। কোন মতে পাশের একটি সরু পথ দিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন তারা। এছাড়া কেউ অসুস্থ হয়ে জরুরী অবস্থায় পড়লে দেয়াল বেদ করে পাকা রাস্তায় যাওয়ার কোন উপায় নেই।

ভুক্তভোগী মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, ‘গত ১৮ বছর আগে সিংহজানী মৌজায় সাব কবলায় জমিটি রমজান আলী খানের কাছ থেকে ক্রয় করার পর আমরা যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছিলাম। প্রতিবেশি মঞ্জুরুল ইসলাম স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের চলাচলের রাস্তাটি ইটের প্রাচীর দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। পাশের একটি সরু পথ দিয়ে যেতে হয়। যা খুবই কষ্টসাধ্য।’

এ বিষয়ে বিবাদী মঞ্জুরুল ইসলাম সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সে তার জমিতে যাওয়ার জন্য যে রাস্তাটি ব্যবহার করছেন সেই রাস্তাটি আমাদের। আমাদের প্রতি তার আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিক্তি হীন।

এবিষয়ে বাদীর বাসার ভাড়াটিয়া স্কুল শিক্ষক খায়রুল বলেন, আমাদের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটা খুবই অমানবিক। বিষয়টি সমাধানের জন্য পাশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসা হয়েছিল। কিন্তু তারা এর কোনো সমাধান করতে পারেনি। বিষয়টি সদর থানার ওসি স্যারকে জানিয়েছি।’বর্তমান জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জানান আমি যোগদান করার পূর্বে অভিযোগ করেন বাদী, যেহেতু মামলা হয়েছে,সেহেতু আদালতের সিদ্ধান্ত যা হবে সেটা উভয় পক্ষকে মানতে হবে। যাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা হবে।

ডিএস./