০৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

সাতকানিয়ায় পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহক

সাতকানিয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ এর অস্বাভাবিক বিলের কারণে প্রতিনিয়ত হয়রানির স্বীকার হচ্ছে গ্রাহকরা। একেক জনের একেক রকম সমস্যা, কারো অতিরিক্ত ইউনিটে বিদ্যুৎ বিল বেশি, আবার কেউ ব্যাংকে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার পরেও পরের মাসে যোগ হয় আগের মাসের বিল।
প্রতি মাসেই অনেক গ্রাহকের ভুতুড়ে বিল আসে বলে খবর পাওয়া যায়।এদিকে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে দেখা যায়  গ্রাহকরা বিলের কাগজ সঙ্গে নিয়ে এদিক ওদিক দৌড়াচ্ছেন, কেউ ক্যাশ কাউন্টারে,কেউ অভিযোগ ডেক্স, আবার কেউ কেউ বিদ্যুৎ ইউনিটের সংশোধন, সব মিলিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে গ্রাহকেরা ।  মাসের বিল পাওয়ার পর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অভিযোগ করেন অনেকেই । কারও কারও বিল শুধরে দেয়া হয়, আবার কারও কারও বিল জমা দেয়ার নির্দিষ্ট তারিখ শেষ হয়ে গেলে গুনতে হয় জরিমানা।
ঢেমশা এলাকার মুজিবুর রহমান সোহেল জানান, আমাদের বিদ্যুৎ বিলে গত জানুয়ারি মাসে মোট ব্যবহৃত ইউনিট ছিল ৫০ ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যবহৃত ইউনিট ছিল ৩৫ প্রতিমাসে এভাবে থাকে কিন্তু মার্চ মাসে এসে দেখা যায় ব্যবহৃত ইউনিট ৩৫৫ যা টাকার পরিমাণ ২৪৯৫।
অস্বাভাবিক বিল আসার পর চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১,সাতকানিয়া জোনাল অফিসে গেলে তারা অস্বাভাবিক আচরণ করেন বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেন, গ্রাহকদের কে ৩য় তলা ক্যাশ কাউন্টার থেকে বলেন ২য় তলায় যান ২য় তলায় কম্পিউটার অপারেটরে গেলে আবার বলেন বিদ্যুৎ রিডিং লাগবে মিটার থেকে বর্তমান রিডিং নিয়ে আসেন, মিটারের ভিডিও ফুটেজ দেখানোর পর বলে ৩য় তলায় যান বিল কমানোর জন্য আবেদন করতে হবে আগে আবেদন করেন।এভাবে কয়েক টেবিলে ঘুরতে হয় ভুক্তভোগী গ্রাহকদের। বিদ্যুৎ বিলের এমন হয়রানি বন্ধ চান ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
রুপকানিয়া ৮ নং ওয়ার্ডের মন্জুর আলম নামে ভুক্তভোগী একজন গ্রাহক জানান,তিনি ফেব্রুয়ারি মাসের বিল সাতকানিয়া সিটি ব্যাংকে দিয়েছেন কিন্তু আবারও মার্চ মাসের বিলে সেটি যোগ করে দিয়েছে এটি সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ অফিসে আসলে সেখানে বলেন ব্যাংক থেকে পোস্টিং দেয় নাই  বিল পোস্টিং দেওয়ার ডকুমেন্টস নিয়ে আসেন, আবারো সাতকানিয়া গিয়ে ডকুমেন্টস আনার পর ক্যাশ কাউন্টারে গেলে সেখানে বলেন বসেন যিনি চেক করবেন তিনি এখন নাই,এভাবে বিদ্যুৎ অফিসের ভুলের কারণে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হয়রানির শিকার হন তিনি।
সাতকানিয়া দক্ষিণ ঢেমশা এলাকার আশরাফ নামে একজন বলেন, ওনার বিলেও অতিরিক্ত ইউনিট এসেছে,  প্রতি মাসে একই নিয়মে বিল আসলেও হঠাৎ বিল আসে তিন গুন বেশি এটা নিয়ে বিদুৎ অফিসে গিয়ে ২য় তলা এবং ৩য়তলা অনেক দৌড়ার পর ঠিক করেন, তবে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীরা গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে মোটেও আন্তরিক নয় এবং ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন গ্রাহকের সাথে কথা হলে তারা বলেন এমন ভুল সব সময় করেন বিদ্যুৎ অফিসে অভিজ্ঞ লোক নিয়োগের দাবী জানান তারা।
এ ব্যাপারে সাতকানিয়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল ১ এর
ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার( ডিজিএম)মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,বিদ্যুৎ বিলে অস্বাভাবিক ইউনিট আসলে সেটা আমরা দেখব যদি আমাদের কর্মচারীরা ভুল করে আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
 এজিএম বলেন, ভুক্তভোগী গ্রাহকের বিল দেখেছি, তাদের কর্মচারীর কাজে গাফিলতি আছে এছাড়া নতুন লোক হওয়ায় ভুল হয়েছে  বলে স্বীকার করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিবেন বলে জানান তিনি। তবে এমন ভুলে প্রতিনিয়ত হয়রানির  শিকার হচ্ছে গ্রাহকরা  এটার নিয়ে কি ব্যবস্থা নিবেন জানতে চাইলে কোন জবাব দিতে পারেনি তারা।
ডিএস.
ট্যাগ :

আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

সাতকানিয়ায় পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহক

প্রকাশিত : ০২:১৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
সাতকানিয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ এর অস্বাভাবিক বিলের কারণে প্রতিনিয়ত হয়রানির স্বীকার হচ্ছে গ্রাহকরা। একেক জনের একেক রকম সমস্যা, কারো অতিরিক্ত ইউনিটে বিদ্যুৎ বিল বেশি, আবার কেউ ব্যাংকে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার পরেও পরের মাসে যোগ হয় আগের মাসের বিল।
প্রতি মাসেই অনেক গ্রাহকের ভুতুড়ে বিল আসে বলে খবর পাওয়া যায়।এদিকে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে দেখা যায়  গ্রাহকরা বিলের কাগজ সঙ্গে নিয়ে এদিক ওদিক দৌড়াচ্ছেন, কেউ ক্যাশ কাউন্টারে,কেউ অভিযোগ ডেক্স, আবার কেউ কেউ বিদ্যুৎ ইউনিটের সংশোধন, সব মিলিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে গ্রাহকেরা ।  মাসের বিল পাওয়ার পর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অভিযোগ করেন অনেকেই । কারও কারও বিল শুধরে দেয়া হয়, আবার কারও কারও বিল জমা দেয়ার নির্দিষ্ট তারিখ শেষ হয়ে গেলে গুনতে হয় জরিমানা।
ঢেমশা এলাকার মুজিবুর রহমান সোহেল জানান, আমাদের বিদ্যুৎ বিলে গত জানুয়ারি মাসে মোট ব্যবহৃত ইউনিট ছিল ৫০ ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যবহৃত ইউনিট ছিল ৩৫ প্রতিমাসে এভাবে থাকে কিন্তু মার্চ মাসে এসে দেখা যায় ব্যবহৃত ইউনিট ৩৫৫ যা টাকার পরিমাণ ২৪৯৫।
অস্বাভাবিক বিল আসার পর চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১,সাতকানিয়া জোনাল অফিসে গেলে তারা অস্বাভাবিক আচরণ করেন বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেন, গ্রাহকদের কে ৩য় তলা ক্যাশ কাউন্টার থেকে বলেন ২য় তলায় যান ২য় তলায় কম্পিউটার অপারেটরে গেলে আবার বলেন বিদ্যুৎ রিডিং লাগবে মিটার থেকে বর্তমান রিডিং নিয়ে আসেন, মিটারের ভিডিও ফুটেজ দেখানোর পর বলে ৩য় তলায় যান বিল কমানোর জন্য আবেদন করতে হবে আগে আবেদন করেন।এভাবে কয়েক টেবিলে ঘুরতে হয় ভুক্তভোগী গ্রাহকদের। বিদ্যুৎ বিলের এমন হয়রানি বন্ধ চান ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
রুপকানিয়া ৮ নং ওয়ার্ডের মন্জুর আলম নামে ভুক্তভোগী একজন গ্রাহক জানান,তিনি ফেব্রুয়ারি মাসের বিল সাতকানিয়া সিটি ব্যাংকে দিয়েছেন কিন্তু আবারও মার্চ মাসের বিলে সেটি যোগ করে দিয়েছে এটি সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ অফিসে আসলে সেখানে বলেন ব্যাংক থেকে পোস্টিং দেয় নাই  বিল পোস্টিং দেওয়ার ডকুমেন্টস নিয়ে আসেন, আবারো সাতকানিয়া গিয়ে ডকুমেন্টস আনার পর ক্যাশ কাউন্টারে গেলে সেখানে বলেন বসেন যিনি চেক করবেন তিনি এখন নাই,এভাবে বিদ্যুৎ অফিসের ভুলের কারণে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হয়রানির শিকার হন তিনি।
সাতকানিয়া দক্ষিণ ঢেমশা এলাকার আশরাফ নামে একজন বলেন, ওনার বিলেও অতিরিক্ত ইউনিট এসেছে,  প্রতি মাসে একই নিয়মে বিল আসলেও হঠাৎ বিল আসে তিন গুন বেশি এটা নিয়ে বিদুৎ অফিসে গিয়ে ২য় তলা এবং ৩য়তলা অনেক দৌড়ার পর ঠিক করেন, তবে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীরা গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে মোটেও আন্তরিক নয় এবং ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন গ্রাহকের সাথে কথা হলে তারা বলেন এমন ভুল সব সময় করেন বিদ্যুৎ অফিসে অভিজ্ঞ লোক নিয়োগের দাবী জানান তারা।
এ ব্যাপারে সাতকানিয়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল ১ এর
ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার( ডিজিএম)মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,বিদ্যুৎ বিলে অস্বাভাবিক ইউনিট আসলে সেটা আমরা দেখব যদি আমাদের কর্মচারীরা ভুল করে আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
 এজিএম বলেন, ভুক্তভোগী গ্রাহকের বিল দেখেছি, তাদের কর্মচারীর কাজে গাফিলতি আছে এছাড়া নতুন লোক হওয়ায় ভুল হয়েছে  বলে স্বীকার করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিবেন বলে জানান তিনি। তবে এমন ভুলে প্রতিনিয়ত হয়রানির  শিকার হচ্ছে গ্রাহকরা  এটার নিয়ে কি ব্যবস্থা নিবেন জানতে চাইলে কোন জবাব দিতে পারেনি তারা।
ডিএস.