জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ২ টায় এই অবরোধ শুরু হয়। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদশীদের সূত্রে জানা যায়, রাত প্রায় ২ টার দিকে আন্দোলনকারীরা হঠাৎ মহাসড়কে নেমে আসেন। তারা বিভিন্ন স্লোগানে শ্লোগানে ব্যারিকেড তৈরি করেন এবং স্লোগান দিতে থাকেন-‘দেশ রক্ষায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে’।
আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দেন হাফসা জাহান রাশেদুল হাসান, উজ্জল, আল-আমীন, মোস্তফা জিহাদ, রাকিবও জাবের । তাদের মধ্যে কয়েকজন জানান, আন্দোলনকারী হাফসা বেগম, রাশেদুল হাসান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আমরা জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের এতদিন পরেও কেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা হলো না! এই দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ না করলে দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
হাফসা জাহান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। জুলাইয়ের ছাত্র জনতার রক্তের উপর ভর করে আওয়ামী লীগকে এদেশে আবারো পুনর্ববিন্যাসের ষড়যন্ত্র আমরা আর মেনে নেব না, আমরা জুলাইয়ের গণঅভ্যর্থনে এদেশের যে স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই আমরা।
এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে মহাসড়ক অবরোধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চলছে।’পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আমরা মাঠে আছি।
ডিএস./