০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

চবির ৯ শিক্ষার্থীর অনশন, দাবি চারুকলা মূল ক্যাম্পাসে আনার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন চারুকলা ইনস্টিটিউটকে পূর্ব ঘোষিত সময়ে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত না করার প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসেছেন ইনস্টিটিউটটির ৯ জন শিক্ষার্থী। সিন্ডিকেট থেকে রায় না আসা পর্যন্ত এ কর্মসূচী চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

অনশনরত চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান বলেন, “চারুকলা ইনস্টিটিউট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। আমরা মূল ক্যাম্পাসে থাকতে চাই। এজন্য আমরণ অনশনে বসেছি।”

অনশনরত চারুকলা ইনস্টিটিউটের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মাসরুল আল ফাহিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেটা ভঙ্গ করেছে। ১ এপ্রিল থেকে আমাদের মূল ক্যাম্পাসে ক্লাস করার কথা ছিল কিন্তু সেটা হয়নি। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের বলেছেন চারুকলার পরিচালক-শিক্ষকরা সহযোগিতা না করায় এ বিষয়ে নাকি তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

তিনি আরো বলেন, চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে আনার আন্দোলন দীর্ঘদিনের। তিলেতিলে আমরা আর মরতে চাই না। হয় সিন্ডিকেট সভা থেকে রায় আসবে, নয় অনশনের মাধ্যম আমাদের মৃত্যু হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, “আমরা তো পহেলা এপ্রিল থেকে চারুকলার ক্লাস মূল ক্যাম্পাসে করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু অফিসিয়াল কিছু কাজের জন্য একটু দেরি হচ্ছে। তবে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি পাশ হয়েছে। খুব শীঘ্রই আমরা চারুকলাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসতে পারব।”

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছিল এ বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে আনা হবে এবং ১ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারবে।

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে আন্দোলন করছে বিএনপি : উপদেষ্টা আসিফ

চবির ৯ শিক্ষার্থীর অনশন, দাবি চারুকলা মূল ক্যাম্পাসে আনার

প্রকাশিত : ০১:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন চারুকলা ইনস্টিটিউটকে পূর্ব ঘোষিত সময়ে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত না করার প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসেছেন ইনস্টিটিউটটির ৯ জন শিক্ষার্থী। সিন্ডিকেট থেকে রায় না আসা পর্যন্ত এ কর্মসূচী চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

অনশনরত চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান বলেন, “চারুকলা ইনস্টিটিউট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। আমরা মূল ক্যাম্পাসে থাকতে চাই। এজন্য আমরণ অনশনে বসেছি।”

অনশনরত চারুকলা ইনস্টিটিউটের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মাসরুল আল ফাহিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেটা ভঙ্গ করেছে। ১ এপ্রিল থেকে আমাদের মূল ক্যাম্পাসে ক্লাস করার কথা ছিল কিন্তু সেটা হয়নি। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের বলেছেন চারুকলার পরিচালক-শিক্ষকরা সহযোগিতা না করায় এ বিষয়ে নাকি তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

তিনি আরো বলেন, চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে আনার আন্দোলন দীর্ঘদিনের। তিলেতিলে আমরা আর মরতে চাই না। হয় সিন্ডিকেট সভা থেকে রায় আসবে, নয় অনশনের মাধ্যম আমাদের মৃত্যু হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, “আমরা তো পহেলা এপ্রিল থেকে চারুকলার ক্লাস মূল ক্যাম্পাসে করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু অফিসিয়াল কিছু কাজের জন্য একটু দেরি হচ্ছে। তবে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি পাশ হয়েছে। খুব শীঘ্রই আমরা চারুকলাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসতে পারব।”

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছিল এ বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে আনা হবে এবং ১ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারবে।

ডিএস./