চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় এবারের বোরো চাষে ভালো হয়েছে ফলন । আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তেমন কোন ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি কৃষক।
ইতোমধ্যে সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি ক্ষেতে শুরু হয়েছে আগাম বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। কেউ ধান কাটছেন আবার কেউ ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ধানের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার কেওঁচিয়া,ঢেমশা, ছদাহা,কালিয়াইশ সহ বেশ কিছু জায়গায় করা হয়েছে চাষ।বোরো ধানের সোনালী শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। দিগন্ত জুড়ে সোনালী ধানে কৃষকের চোখে মুখে ছড়াচ্ছে হাসির ঝিলিক। প্রচন্ড গরম এবং রোদ থাকায় আগেভাগেই ফেঁকে গেছে ধান, উপজেলায় প্রায় ৬০ ভাগ ধান কাটার উপযোগী
কেওঁচিয়া ইউনিয়নের হরিণতোয়া ৩ নং ওয়ার্ডের কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, ৪ কাণি ৩ গন্ডা জমিতে চাষ করেছেন এবং কাটাও শুরু করেছেন তিনি, কিছু কেটেছেন আবার কিছু পাকার অপেক্ষায় আছেন সপ্তাহ পরে কাটতে পারবেন।খরচ বাচাঁনোর জন্য জমিতে প্রচণ্ড গরমেও মা এবং নিজে ধান কাটছেন, বোরো চাষে ৪০০০ কেজি (১০০ মণ) ধান পাবেন বলে আশাবাদী তিনি।প্রতি কেজি ধান ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, এখন চাষাবাদে খরচ বেশি হয়, বীজ, পানি সেচ, চারা রোপণ,সার, এবং পরিচর্চা করতে অনেক খরচ করেছেন যেটার কোন হিসেব নাই, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা পায়নি, সহযোগিতা পেলে চাষাবাদ আরো বেশি করে করতে পারবেন তাই উপজেলা কৃষি অফিসারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা চেয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, এবারে মোট ৭৩৪৩ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ফসল কর্তন কেবল শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ফলন ভালো মনে হচ্ছে। প্রণোদনা পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ৫৮৭০ জন কৃষককে ৫ কেজি করে উফশী বোরো ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার এবং ৪৫০০ জন কৃষককে ২ কেজি করে হাইব্রিড বোরো ধান বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
ডিএস./