পিবিআই প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি (চলতি দায়িত্বে) মোঃ মোস্তফা কামাল মহোদয়ের সার্বিক তত্বাবধানে, ডিআইজি, পিবিআই(পশ্চিমাঞ্চল)মোঃ সুজায়েত ইসলাম ও পিবিআই, রাজশাহী জেলার সুযোগ্য ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত)মোঃ মনিরুল ইসলাম মহোদয়ের সঠিক দিক—নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ সৈকত হাসান এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ—পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ মতিউর রহমান সহ পিবিআই, রাজশাহীর একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ইং গত ১৩ মে ২০২৫ ইং দুপুর ১২.৩০ ঘটিকার সময় রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন মোল্লাপাড়া গ্রামের জনৈক বেলালের মদিনা ইটভাটা হতে হত্যা কান্ডে জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামি শ্রী উত্তম কুমার সরকার (৩৭)’কে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহযোগীতায় গ্রেফতার করেন।
পরবর্তীতে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে গত ১৪ মে ২০২৫ তারিখ হাজির করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নিবীড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং আসামী ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক হত্যা কান্ডে নিজের জড়িত থাকার বিষয়ে স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, ভিকটিমের পুত্র মোঃ আতিকুর রহমান বাদী হয়ে গত ১৪ জুলাই ২০২১ তারিখ অজ্ঞাত নামা আাসামীর বিরুদ্ধে পিুঠয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে পিুঠয়া থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করেন।
পরবর্তীতে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত মামলাটির তদন্তের দায়িত্বভার পিবিআই, রাজশাহীর উপর অর্পণ করেন। বাদীর এজাহার থেকে জানা যায় যে, তার বাবার সঙ্গে তার মা আতেকার(৫০) প্রায় ৩৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বাদীরা ৪ ভাই—বোন। বড় বোন চম্পা(২৫), ছোট বোন আয়েশা(১৫), ছোট ভাই আলিফ(১৩)।বাদীর বড় বোন বিবাহিত।
প্রায় ৫ বছর পূর্বে বাদীর বাবা মৃত্যু বরণ করে। তারপর থেকে বাদীর মা অনেক কষ্ট করে বাদীদের নিয়ে তাদের বাড়ীতে কৃষি কাজ করে গরু—ছাগল পালন করে সংসার পরিচালনা করে। গত ১৩ জুলাই ২০২১ তারিখ বিকাল ৪.ঘটিকার সময় বাদীর মা পূর্ব ধোপাপাড়া কারিগড় পাড়া মাঠে ছাগল চরাইতে যায়।
তারপর আর বাড়ীতে ফিরে না আসলে বাদী সহ তার আত্মীয় স্বজন খোঁজাখোজির এক পর্যায়ে একই তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭. টার দিকে পূর্ব ধোপাপাড়া কারিগড় পাড়া মাঠের মধ্যে গেলে হাফিজুর রহমান হাফিজ মাষ্টারের জমিতে তার মায়ের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী শ্রী উত্তম কুমার সরকার(৩৭) পুঠিয়া থানাধীন পূর্ব ধোপাপাড়া কারিগড় পাড়া এলাকায় ভিকটিম আতেকার জমির উপর দিয়ে ট্রলি গাড়ি নিয়ে যাওয়ার কারণে আতেকা বেগম অকথ্য ভাষায় তাকে গালিগালাজ করে এবং হাঁসুয়া দ্বারা আঘাত করার জন্য আক্রমন করে। তখন থেকে আসামী ভিকটিমকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করে। এক পর্যায়ে অত্র মামলার ঘটনার দিন ইং—১৩ জুলাই ২০২১ তারিখ বিকাল অনুমান ৪.৩০ ঘটিকার সময় আসামী ভিকটিমকে ঘটনাস্থল পুঠিয়া থানাধীন ধোপাপাড়া কারিগরপাড়া হাফিজুর রহমান মাস্টারের জমিতে একা ছাগল চরাতে দেখতে পেয়ে বাঁশের মুগর দিয়ে ভিকটিমের মাথায় আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে আসামী শ্রী উত্তম কুমার সরকার ভিকটিমের নিকট হতে ধারালো হাঁসুয়া কেড়ে নিয়ে ভিকটিমের গলায় উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে এলাকা ছেড়ে পলাতক হয়।
আত্মগোপনে থেকে ঘন ঘন স্থান ত্যাগ করে অবশেষে প্রতিবেশি দেশে অবস্থান করে। পরবর্তীতে দেশে ফিরলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীকে ইং—১৩ মে ২০২৫ তারিখ দুপুর ১২.৩০ ঘটিকার সময় পিবিআই চৌকস টিম পুঠিয়া থানাধীন মোল্লাপাড়া গ্রামস্থ বেলালের ইট ভাটা হতে লোম হর্যক, আলোচিত ক্লুলেস আতেকা হত্যা মামলার একমাত্র আসামী উত্তম কুমার সরকারকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করলে সে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করে এবং হত্যা কান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
ডিএস./