০৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

ঈদের আগে বেতন-বোনাস না হলে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুমকি

ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এবং একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা না দেওয়া হলে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে র‍্যালি এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ হুমকি দেওয়া হয়।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিনের সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, শ্রমিক নেতা মো. কবির হোসেন, জেসমিন আক্তার, সীমা আক্তার, আলেয়া বেগম, মো. রিয়াদ হোসেন, মো. লোকমান আলী, মনিরা মুন্নি প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতি বছরই ঈদ আসলে শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার সময় মালিকরা মায়াকান্না শুরু করেন। সরকার থেকে নানারকম সুবিধা নেন তারা—ভ্যাট ছাড়, ব্যাংক ঋণ, রপ্তানিতে প্রণোদনা। কিন্তু, শ্রমিকদের বেতনের অর্ধেক বা নামমাত্র ঈদ বোনাস দেওয়ার ফন্দি করেন। অনেক কারখানা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস পরিশোধ না করার পাঁয়তারা করে। পোশাক কারখানার মালিকদের এমন কর্মকাণ্ডে এই সেক্টরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

তারা বলেন, কারখানার মালিকরা ঈদ আসলেই অর্থনৈতিক সংকটের গল্প শোনাতে শুরু করেন। রপ্তানি কম, ব্যাংক ঋণ পায়নি, প্রোডাকশন কম এসব বলতে থাকেন। অথচ, বাস্তবতা হলো—এই মালিকরা শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা না দিয়ে বছরের পর বছর মুনাফা করে নতুন নতুন কারখানা করে গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রির মালিক হচ্ছেন, বিলাসবহুল গাড়ি ও বাড়ির মালিক হচ্ছেন, কেউ কেউ দেশের বাইরেও সেকেন্ড হোম বানিয়েছেন।

তারা আরো বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করেন ৪২ লাখ শ্রমিক। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী। এই সেক্টর থেকে দেশের ৮৪ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। তাই, ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের এক মাসের বেতনের সমান ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।

রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু, গার্মেন্টস শ্রমিকরা ১৫ বছর আগে যে জীবনযাপন করত, এখনো তেমনই জীবনযাপন করছে। গত ১০ মাসে শ্রমিকদের জন্য দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন আসেনি।

আমিরুল হক আমিন বলেন, ৩০ মে র মধ্যে ঈদ বোনাস ও বেতন-ভাতা দেখতে চাই। বেতন-বোনাস না হলে শ্রম উপদেষ্টা বা দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ঈদ করতে পারবেন কি না, সেটা আমরা জানি না।

ডিএস./

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে ২৫০ কোটি টাকার চুক্তি বাতিল করল বাংলাদেশ

ঈদের আগে বেতন-বোনাস না হলে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুমকি

প্রকাশিত : ০৩:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এবং একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা না দেওয়া হলে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে র‍্যালি এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ হুমকি দেওয়া হয়।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিনের সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, শ্রমিক নেতা মো. কবির হোসেন, জেসমিন আক্তার, সীমা আক্তার, আলেয়া বেগম, মো. রিয়াদ হোসেন, মো. লোকমান আলী, মনিরা মুন্নি প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতি বছরই ঈদ আসলে শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার সময় মালিকরা মায়াকান্না শুরু করেন। সরকার থেকে নানারকম সুবিধা নেন তারা—ভ্যাট ছাড়, ব্যাংক ঋণ, রপ্তানিতে প্রণোদনা। কিন্তু, শ্রমিকদের বেতনের অর্ধেক বা নামমাত্র ঈদ বোনাস দেওয়ার ফন্দি করেন। অনেক কারখানা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস পরিশোধ না করার পাঁয়তারা করে। পোশাক কারখানার মালিকদের এমন কর্মকাণ্ডে এই সেক্টরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

তারা বলেন, কারখানার মালিকরা ঈদ আসলেই অর্থনৈতিক সংকটের গল্প শোনাতে শুরু করেন। রপ্তানি কম, ব্যাংক ঋণ পায়নি, প্রোডাকশন কম এসব বলতে থাকেন। অথচ, বাস্তবতা হলো—এই মালিকরা শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা না দিয়ে বছরের পর বছর মুনাফা করে নতুন নতুন কারখানা করে গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রির মালিক হচ্ছেন, বিলাসবহুল গাড়ি ও বাড়ির মালিক হচ্ছেন, কেউ কেউ দেশের বাইরেও সেকেন্ড হোম বানিয়েছেন।

তারা আরো বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করেন ৪২ লাখ শ্রমিক। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী। এই সেক্টর থেকে দেশের ৮৪ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। তাই, ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের এক মাসের বেতনের সমান ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।

রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু, গার্মেন্টস শ্রমিকরা ১৫ বছর আগে যে জীবনযাপন করত, এখনো তেমনই জীবনযাপন করছে। গত ১০ মাসে শ্রমিকদের জন্য দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন আসেনি।

আমিরুল হক আমিন বলেন, ৩০ মে র মধ্যে ঈদ বোনাস ও বেতন-ভাতা দেখতে চাই। বেতন-বোনাস না হলে শ্রম উপদেষ্টা বা দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ঈদ করতে পারবেন কি না, সেটা আমরা জানি না।

ডিএস./