০৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

কুলিয়ারচরের দ্বাড়িয়াকান্দি গ্রামের রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে হাজারও মানুষ

কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের দ্বাড়িয়াকান্দি গ্রামের পাশদিয়ে প্রবাহিত গলধরের খাল। ওই খালের পশ্চিম পাশ দিয়ে নীচু জমি। নীচু জমির পশ্চিম পাশদিয়ে ওই গ্রামের লোকজনের চলচলের একমাত্র একটি মাটির রাস্তা রয়েছে। যাহা দ্বাড়িয়াকান্দি ডিসি রোড (দ্বাড়িয়াকান্দি ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন) এর তায়েব উদ্দিন মিয়ার দোকান হইতে কমিউনিটি ক্লিনিক ভায়া বিশ্ব রোড পর্যন্ত ১.৩৫ কি.মি. রাস্তাটি ভেঙে নীচু জমিতে বিলিন হয়ে গেছে। এর মধ্যে যতটুকু রাস্তা দৃশ্যমান আছে তাও সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে।

২৩ মে শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে, কুলিয়ারচর-দ্বাড়িয়াকান্দি ডিসি রোডের তায়েব উদ্দিন মিয়ার দোকান হইতে কমিউনিটি ক্লিনিক ভায়া ভৈরব-ময়মনসিংহ বিশ্ব রোড পর্যন্ত ১.৩৫ কি.মি. রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাটি ও বৃষ্টির পানির সংমিশ্রণে কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অনেক ড্রেইন ও গর্তের। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করে থাকে। কিন্ত কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। ওই গ্রামের শতাধিক পরিবারের মানুষ এলাকার বাহিরে যাওয়ার অন্যতম রাস্তা এটি। ফলে চাকরিজীবী থেকে শুরু করে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সবাই এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। জরুরি রোগী নিয়ে যেতে হলে কোন যানবাহন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পারায় রোগী নিয়ে যেতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে রাস্তাটি সংস্কারকরণের জন্য দাবি জানিয়ে আসলেও কেউ কোনো কাজ করেননি। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে। তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে এ রাস্তাতে। অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই অনেক ভোগাস্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীর। বিশেষ করে বৃষ্টিতে রাস্তাটি একদম চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারপরও শত ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে গ্রামবাসীর। গ্রামের অনেকেই বলেন, এই গ্রামে ছয়সূতী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোসলিম উদ্দিন রতন মিয়ার বাড়ি। যে কারনে দীর্ঘ ১৭ বছর এই গ্রামের রাস্তাটির কোন কাজ বা সংস্কার করা হয়নি। বর্ষা বা সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি ভেঙ্গে প্রায় ৫-৭ হাজার মানুষের চলাচলের বিঘ্ন ঘটে। প্রতি বছর গ্রামবাসীর অর্থায়নে ভাঙ্গা রাস্তা কোনরকম সংস্কার করে পায়ে হাটার উপযোগী করা হয়। দ্রুত এ রাস্তাটি মেরামত করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবী জানান এলাকাবাসী।

দ্বাড়িয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও ছয়সূতী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোসলিম উদ্দিন রতন বলেন, ‘প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে। তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হয় এ রাস্তাতে। অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই অনেক ভোগাস্তি নিয়েই আমাদের এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এই রাস্তার পাশে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। ডাক্তার ও নার্স আস-যাওয়া, শিশুদের পলিও টিকাসহ গ্রামের সাধারণ মানুষের সর্দি, কাশি ও জ্বরের ঔষধ আনতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত এ রাস্তা মেরামত করার ব্যবস্থা করেন।’

একই গ্রামের বাসিন্দা ও ছয়সূতী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। বৃষ্টিতে রাস্তাটি একদম চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারপরও শত ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। রাস্তাটি সংস্কার করা অতিব জরুরি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ছয়সূতী ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মো. বুরহান উদ্দিন বলেন, ‘ ছয়সূতী ইউনিয়নের মধ্যে মনে হয় এতো খারাপ রাস্তা আর কোথাও নেই।

এরাস্তার মধ্যে সরকারি একোয়ার আছে আধা কিলোমিটার বাকি টুকু জনগনের দেওয়া। এ রাস্তাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার না হলে এলাকায় মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হবে।

এবিষয়ে ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম রুমানের সাথ যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাপ্তাহ খানেক আগে এ রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের একটি মিটিং-এ উপস্থাপন করা হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে আশ্বস্ত করেছেন কিছু দিনের মধ্যে এ রাস্তাটির সংস্কার কাজ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন।

এ বিষয়ে ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে ২৫০ কোটি টাকার চুক্তি বাতিল করল বাংলাদেশ

কুলিয়ারচরের দ্বাড়িয়াকান্দি গ্রামের রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে হাজারও মানুষ

প্রকাশিত : ০৫:০৩:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের দ্বাড়িয়াকান্দি গ্রামের পাশদিয়ে প্রবাহিত গলধরের খাল। ওই খালের পশ্চিম পাশ দিয়ে নীচু জমি। নীচু জমির পশ্চিম পাশদিয়ে ওই গ্রামের লোকজনের চলচলের একমাত্র একটি মাটির রাস্তা রয়েছে। যাহা দ্বাড়িয়াকান্দি ডিসি রোড (দ্বাড়িয়াকান্দি ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন) এর তায়েব উদ্দিন মিয়ার দোকান হইতে কমিউনিটি ক্লিনিক ভায়া বিশ্ব রোড পর্যন্ত ১.৩৫ কি.মি. রাস্তাটি ভেঙে নীচু জমিতে বিলিন হয়ে গেছে। এর মধ্যে যতটুকু রাস্তা দৃশ্যমান আছে তাও সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে।

২৩ মে শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে, কুলিয়ারচর-দ্বাড়িয়াকান্দি ডিসি রোডের তায়েব উদ্দিন মিয়ার দোকান হইতে কমিউনিটি ক্লিনিক ভায়া ভৈরব-ময়মনসিংহ বিশ্ব রোড পর্যন্ত ১.৩৫ কি.মি. রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাটি ও বৃষ্টির পানির সংমিশ্রণে কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অনেক ড্রেইন ও গর্তের। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করে থাকে। কিন্ত কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। ওই গ্রামের শতাধিক পরিবারের মানুষ এলাকার বাহিরে যাওয়ার অন্যতম রাস্তা এটি। ফলে চাকরিজীবী থেকে শুরু করে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সবাই এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। জরুরি রোগী নিয়ে যেতে হলে কোন যানবাহন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পারায় রোগী নিয়ে যেতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে রাস্তাটি সংস্কারকরণের জন্য দাবি জানিয়ে আসলেও কেউ কোনো কাজ করেননি। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে। তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে এ রাস্তাতে। অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই অনেক ভোগাস্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীর। বিশেষ করে বৃষ্টিতে রাস্তাটি একদম চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারপরও শত ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে গ্রামবাসীর। গ্রামের অনেকেই বলেন, এই গ্রামে ছয়সূতী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোসলিম উদ্দিন রতন মিয়ার বাড়ি। যে কারনে দীর্ঘ ১৭ বছর এই গ্রামের রাস্তাটির কোন কাজ বা সংস্কার করা হয়নি। বর্ষা বা সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি ভেঙ্গে প্রায় ৫-৭ হাজার মানুষের চলাচলের বিঘ্ন ঘটে। প্রতি বছর গ্রামবাসীর অর্থায়নে ভাঙ্গা রাস্তা কোনরকম সংস্কার করে পায়ে হাটার উপযোগী করা হয়। দ্রুত এ রাস্তাটি মেরামত করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবী জানান এলাকাবাসী।

দ্বাড়িয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও ছয়সূতী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোসলিম উদ্দিন রতন বলেন, ‘প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে। তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হয় এ রাস্তাতে। অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই অনেক ভোগাস্তি নিয়েই আমাদের এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এই রাস্তার পাশে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। ডাক্তার ও নার্স আস-যাওয়া, শিশুদের পলিও টিকাসহ গ্রামের সাধারণ মানুষের সর্দি, কাশি ও জ্বরের ঔষধ আনতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত এ রাস্তা মেরামত করার ব্যবস্থা করেন।’

একই গ্রামের বাসিন্দা ও ছয়সূতী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। বৃষ্টিতে রাস্তাটি একদম চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারপরও শত ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। রাস্তাটি সংস্কার করা অতিব জরুরি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ছয়সূতী ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মো. বুরহান উদ্দিন বলেন, ‘ ছয়সূতী ইউনিয়নের মধ্যে মনে হয় এতো খারাপ রাস্তা আর কোথাও নেই।

এরাস্তার মধ্যে সরকারি একোয়ার আছে আধা কিলোমিটার বাকি টুকু জনগনের দেওয়া। এ রাস্তাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার না হলে এলাকায় মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হবে।

এবিষয়ে ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম রুমানের সাথ যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাপ্তাহ খানেক আগে এ রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের একটি মিটিং-এ উপস্থাপন করা হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে আশ্বস্ত করেছেন কিছু দিনের মধ্যে এ রাস্তাটির সংস্কার কাজ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন।

এ বিষয়ে ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ডিএস./