চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দ্য নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল স্টুডেন্টস চবি চ্যাপ্টার ও লিগ্যাল এম্পাওয়ারমেন্ট বাংলাদেশ- এর যৌথ উদ্যেগে দুই দিনব্যাপী দেশের প্রথমবারের মতো ছায়া জাতীয় আইনসভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ. কে. খান আইন অনুষদ অডিটোরিয়ামে প্রথম দিনের সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহই্য়া আখতার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এ. কে. এম. আসাদুজ্জামান। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, এ. বি. এম. আবু নোমান, অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, মো. সাইফুল ইসলাম শান্ত বিপিএম প্রমুখ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “শিক্ষার্থীরা সংসদে কীভাবে আইন তৈরি হয়, সে সম্পর্কে অবগত নয়। নিলস-এলইবি- এর এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদেরকে আইন প্রণয়ন এবং সংসদীয় বিভিন্ন কাজের বাস্তব জ্ঞান প্রদান করবে, যার জন্য আমি নিলস-এলইবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতে নিলস-এলইবি- এর এমন আরও উদ্যোগকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস জানিয়ে উক্ত অনুষ্ঠানের সার্বিক সফলতা কামনা করেন তিনি।
এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আইনের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি বাস্তবধর্মী আইন প্রণয়ন ও বিতর্কচর্চার অভিজ্ঞতা সৃষ্টি হবে, যা দেশের আইনশিক্ষা এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বিকাশে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এই ছায়া জাতীয় আইনসভার মূল লক্ষ্য হলো দেশের আইন সংস্কার প্রক্রিয়ায় তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। আইন সংস্কারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় হাউজ এই আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
এখানে মূল আলোচনার বিষয় হবে পুরোনো ও অপ্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন, বিচার বিভাগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং আইনকে আরও কার্যকর ও সময়োপযোগী করার প্রস্তাবনা। এই আলোচনার জন্য দুটি আইন সংস্কার বিষয়ক সংসদীয় হাউজ এবং একটি সামাজিক ন্যায়বিচার বিষয়ক হাউজ থাকছে।
প্রথম হাউজে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ আইনটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় সংসদীয় হাউজে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ আইনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ হাউজের প্রেক্ষাপটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ আইন বিশেষভাবে আলোচিত হবে। এ ছাড়াও সামাজিক ন্যায়বিচার বিষয়ক সংসদীয় হাউজ আইন ও সমাজকল্যাণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে। এই ছায়া জাতীয় আইনসভা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গবেষণার আগ্রহ, যুক্তিবোধ, নেতৃত্বের গুণাবলি এবং আইনগত বিশ্লেষণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ডিএস./