এবার রাশিয়া থেকে নিজেদের যোগাযোগ স্যাটেলাইট নাহিদ-২ উৎক্ষেপণ করেছে ইরান। গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় নভোযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ভস্তোশ্নি কসমোড্রোম থেকে একটি রুশ সয়ুয রকেটের মাধমে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে এই স্যাটেলাইট।
ইরান এবং রাশিয়া উভয়েই নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নাহিদ-২ স্যাটেলাইটটির ওজন ১১০ কেজি। এই যোগাযোগ স্যাটেলাইটটি নিজস্ব প্রযুক্তি এবং নিজেদের প্রোকৌশলীদের মাধ্যমে তৈরি করেছে ইরান।
“নাহিদ-২ ইরানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার উচ্চাকাঙক্ষা ও সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। পৃথিবীর কক্ষপথের নিম্নস্তরে স্যাটেলাইটটি স্থাপন করা হবে। এটির নকশা সেভাবেই করা হয়েছে”, বলা হয়েছে প্রেস টিভির প্রতিবদেন।
স্যাটেলাইটটি তৈরিতে বিভিন্ন ভাবে ইরানকে সহযোগিতা করেছে রাশিয়া। এক প্রতিবেদনে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, শুক্রবার ভস্তোশ্নি কসমোড্রোম থেকে উৎক্ষিপ্ত সয়ুয রকেটটি ২টি রুশ স্যাটেলাইট, ১৮টি স্মল কমার্শিয়াল অরবিট এবং ইরানের স্যাটেলাইট নাহিদ-২— মোট ২০টি ‘পেলোড’ নিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।
গত জানুয়ারিতে ২০ বছর মেয়াদি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় মস্কো ও তেহরানের মধ্যে। সেই চুক্তির মূল বিষয় হলো জ্বালানি, বিজ্ঞান, প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ বিষয়ক গবেষণাসহ বিভিন্ন খাতে দুই দেশের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক। সেই চুক্তির আওতায়তেই ইরানের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে রাশিয়া।
রাশিয়া অবশ্য তার ‘সয়ুয মিশন’ এর আওতায় বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি ক্লায়েন্টদের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে থাকে। এর আগে গত বছর নভেম্বরে এই মিশনের আওতায় ইরান এবং জিম্বাবুয়ের দুটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে রাশিয়া।
পশ্চিমা বিশ্ব অবশ্য ইরানের মহাকাশ কর্মসূচি নিয়ে এর আগে উদ্বেগ জানিয়েছিল। ওয়াশিংটন এবং তার মিত্রদের সন্দেহ, মহাকাশ গবেষণা প্রকল্পের আড়ালে নিজেদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন প্রকল্প চালাচ্ছে তেহরান।
গত শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে নিজেদের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির সঙ্গে বৈঠকে বসেছে ইরান। সেই বৈঠক শুরুর কিছু সময় আগে রাশিয়া থেকে উৎক্ষিপ্ত হয়েছে ইরানের স্যাটেলাইটবাহী রকেটটি।
সূত্র : আলজাজিরা, আরটি
ডিএস./.




















