০১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ

জয়টা আসতে পারতো আরও সহজে, ব্যবধান হতে পারতো আরও বেশি; কিন্তু ব্যাটিংয়ে শেষ দিকে রান তোলার গতি হয়ে পড়েছিল মন্থর। অন্যদিকে, ১৪তম ওভারে সাইফ হাসানের কাছ থেকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২০ রান নিয়ে ম্যাচের গতিই যেন ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন।

কিন্তু তাসকিন, নাসুম আর মোস্তাফিজুর রহমানের শেষ মুহূর্তের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে আর পেরে ওঠেনি আফগান ব্যাটাররা। জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুললেও ৮ রান দূরে থাকতে থেমে যেতে হয়েছে তাদের।

জয়ের জন্য ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৪৬ রানে অলআউট হয়েছে আফগানরা। ফলে ৮ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে সুপার ফোরে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখলো বাংলাদেশ দল। জয়ের ব্যবধানটা আরেকটু বেশি হলে রানরেটটাও বাড়তে পারতো বাংলাদেশের।

আফাগানিস্তানকে হারালেও বাংলাদেশের সুপার ফোর এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ, ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা জয় পেয়েছে ২টি করে। আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ বাকি এখনও। ওই ম্যাচে আফগানরা জিতলে তাদেরও জয় হবে ২টি। তখন তিন দলের জয় সমান, পয়েন্ট সমান। ফলে রানরেটে এগিয়ে থাকা দল উঠবে সুপার ফোরে।

এ জায়গায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়েই রয়েছে আফগানরা। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ২য় স্থানে থাকলেও বাংলাদেশের রানরেট ঋণাত্মক (-০.২৭০)। অন্যদিকে ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকলেও আফগানিস্তানের রানরেট ধনাত্মক (+২.১৫০)। এর অর্থ, শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলেই আফগানিস্তান উঠে যাবে সুপার ফোরে, বাংলাদেশ বিদায় নেবে।

জয়ের জন্য ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাফল্য এনে দেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। ইনিংসের প্রথম বলেই সেদিকুল্লাহ অটলকে এলবিডব্লিউ করে দেন তিনি। পাওয়ারপ্লের প্রথম ছয় ওভারে মাত্র ২৭ রানেই ২ উইকেট হারায় আফগানরা। সেখান থেকেই বাংলাদেশ ম্যাচরে নিয়ন্ত্রণ নেয়।

যদিও একপ্রান্ত ধরে রেখে রহমানউল্লাহ গুরবাজ (৩৫) চেষ্টা করেন দলকে জয় এনে দিতে; কিন্তু পানি পানের বিরতির পরপরই তার বিদায়ে ভেঙে পড়ে আফগানিস্তানের রান তাড়া। নাসুম (২/৯) ও রিশাদ (২/১৮) মাঝের ওভারে রাশ টেনে ধরেন। তাসকিন আহমেদও ফেরান দুই ব্যাটারকে। তবে সবচেয়ে কার্যকর ছিলেন অভিজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমান। ৩/২৮ নিয়ে শেষ ওভারের চাপ সামলে নেন তিনি।

এর আগে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন তানজিদ হাসান। তার ৩১ বলে ৫২ রানের ইনিংসই আসলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। যদিও মাঝের ওভারে রশিদ খান ও নূর আহমেদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বাংলাদেশ প্রত্যাশার চেয়ে ২০ রান কম তোলে।

তবুও বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেটিই হয়ে ওঠে জয়ের জন্য যথেষ্ট। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তানজিদ হাসান।

ডিএস../

জনপ্রিয়

অটোরিকশা চালক আকরাম হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় রহস্য উদঘাটনে গ্রেফতার:২

আফগানিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১০:০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জয়টা আসতে পারতো আরও সহজে, ব্যবধান হতে পারতো আরও বেশি; কিন্তু ব্যাটিংয়ে শেষ দিকে রান তোলার গতি হয়ে পড়েছিল মন্থর। অন্যদিকে, ১৪তম ওভারে সাইফ হাসানের কাছ থেকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২০ রান নিয়ে ম্যাচের গতিই যেন ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন।

কিন্তু তাসকিন, নাসুম আর মোস্তাফিজুর রহমানের শেষ মুহূর্তের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে আর পেরে ওঠেনি আফগান ব্যাটাররা। জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুললেও ৮ রান দূরে থাকতে থেমে যেতে হয়েছে তাদের।

জয়ের জন্য ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৪৬ রানে অলআউট হয়েছে আফগানরা। ফলে ৮ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে সুপার ফোরে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখলো বাংলাদেশ দল। জয়ের ব্যবধানটা আরেকটু বেশি হলে রানরেটটাও বাড়তে পারতো বাংলাদেশের।

আফাগানিস্তানকে হারালেও বাংলাদেশের সুপার ফোর এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ, ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা জয় পেয়েছে ২টি করে। আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ বাকি এখনও। ওই ম্যাচে আফগানরা জিতলে তাদেরও জয় হবে ২টি। তখন তিন দলের জয় সমান, পয়েন্ট সমান। ফলে রানরেটে এগিয়ে থাকা দল উঠবে সুপার ফোরে।

এ জায়গায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়েই রয়েছে আফগানরা। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ২য় স্থানে থাকলেও বাংলাদেশের রানরেট ঋণাত্মক (-০.২৭০)। অন্যদিকে ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকলেও আফগানিস্তানের রানরেট ধনাত্মক (+২.১৫০)। এর অর্থ, শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলেই আফগানিস্তান উঠে যাবে সুপার ফোরে, বাংলাদেশ বিদায় নেবে।

জয়ের জন্য ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাফল্য এনে দেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। ইনিংসের প্রথম বলেই সেদিকুল্লাহ অটলকে এলবিডব্লিউ করে দেন তিনি। পাওয়ারপ্লের প্রথম ছয় ওভারে মাত্র ২৭ রানেই ২ উইকেট হারায় আফগানরা। সেখান থেকেই বাংলাদেশ ম্যাচরে নিয়ন্ত্রণ নেয়।

যদিও একপ্রান্ত ধরে রেখে রহমানউল্লাহ গুরবাজ (৩৫) চেষ্টা করেন দলকে জয় এনে দিতে; কিন্তু পানি পানের বিরতির পরপরই তার বিদায়ে ভেঙে পড়ে আফগানিস্তানের রান তাড়া। নাসুম (২/৯) ও রিশাদ (২/১৮) মাঝের ওভারে রাশ টেনে ধরেন। তাসকিন আহমেদও ফেরান দুই ব্যাটারকে। তবে সবচেয়ে কার্যকর ছিলেন অভিজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমান। ৩/২৮ নিয়ে শেষ ওভারের চাপ সামলে নেন তিনি।

এর আগে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন তানজিদ হাসান। তার ৩১ বলে ৫২ রানের ইনিংসই আসলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। যদিও মাঝের ওভারে রশিদ খান ও নূর আহমেদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বাংলাদেশ প্রত্যাশার চেয়ে ২০ রান কম তোলে।

তবুও বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেটিই হয়ে ওঠে জয়ের জন্য যথেষ্ট। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তানজিদ হাসান।

ডিএস../