সদ্য সমাপ্ত জুলাই মাসে দেশের প্রধান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিদেশিদের লেনদেন কমেছে। বিদেশিরা মোট ৮৫৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা করেছেন। যার বড় অংশই বিক্রি। সার্বিক লেনদেনে বিদেশিদের লেনদেন ২ দশমিক ২৯ শতাংশে নেমেছে, যা গত জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।
তবে জুনের তুলনায় জুলাই মাসে দেশের দ্বিতীয় পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদেশিদের কেনাবেচা বেড়েছে। গত মাসে এ বাজারের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ২৭৫ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছেন, যা এ বাজারের মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এর আগে গত জুনে বিদেশিরা এ বাজারের মাধ্যমে মাত্র ১ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা করেছিলেন। প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত মাসে ডিএসইর মাধ্যমে বিদেশিরা ৪১২ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনেন। বিক্রি করেন ৪৪৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার। গত মাসে তারা মোট লেনদেন করেন ৮৫৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার। কেনার তুলনায় বিক্রি বেশি হয়েছে ৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার। জুনে ডিএসইর মাধ্যমে বিদেশিরা মোট ১ হাজার ৯৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা করেছিলেন।
এর মধ্যে ক্রয় ছিল ৪৪৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার। বিক্রি ছিল ৬৫৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার। ওই মাসে ডিএসইতে মোট ৯ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গত মাসে ডিএসইতে সর্বমোট ১৮ হাজার ৬৭৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়। শুধু ক্রয় বিবেচনায় ডিএসইতে বিদেশিদের অংশ ছিল মোটের ২ দশমিক ২১ শতাংশ এবং বিক্রির ক্ষে ত্রে তাদের অংশ ছিল ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ৩ হাজার ২১৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনেন বিদেশিরা। বিপরীতে ৩ হাজার ৫১৭ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেন। এর মধ্যে গত জানুয়ারি ও মার্চ মাসে বিক্রির তুলনায় ৩৪৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার বেশি কিনেছিলেন। বাকি পাঁচ মাসে কেনার তুলনায় ৬৪১ কোটি টাকার শেয়ার বেশি বিক্রি করেছেন।
পুঁজিবাজার সিএসইতে গত মাসে বিদেশিরা ১২টি ব্লক লেনদেনের মাধ্যমে পাঁচ কোম্পানির মোট ২৭৫ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা করেন। জুলাইতে সিএসইতে ১ হাজার ২৫৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। সিএসইর মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যে পাঁচ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা করেন, সেগুলো হলো- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, সামিট পাওয়ার এবং গ্রামীণফোন। এর মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর সর্বাধিক ৫ লাখ ২৫ হাজার ৮৬৪ শেয়ার মোট ১৭৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় লেনদেন হয়েছে। বিদেশিরা এ শেয়ারটি ৩ হাজার ২৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৪২০ টাকা মূল্যে কেনাবেচা করেছেন।
এছাড়া ২২৩ টাকা দরে অলিম্পিকের ৪০ লাখ শেয়ার ৮৯ কোটি ২০ লাখ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে। ২৮১ টাকা দরে স্কয়ার ফার্মার ২ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৬২ লাখ টাকায়। গ্রামীণফোনের ১ লাখ ২২ হাজার ৪৮৫টি শেয়ার ৩৮৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৩৯৬ টাকা দরে মোট ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে। আর ৩৯ টাকা ৮০ পয়সা দরে সামিট পাওয়ারের ৫ লাখ শেয়ার ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় কেনাবেচা হয়।

























