০২:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিও আবেদন শুরু ১৬ জানুয়ারি

পুঁজিবাজারে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন আগামী ১৬ জানুয়ারি শুরু হবে। চলবে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে কোম্পানির কাট-অব প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার শেয়ার বিক্রির নিলাম (বিডিং) শেষে কোম্পানির শেয়ারের কাট-অব প্রাইস দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা। আইপিওতে কাট-অব প্রাইজের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম দামে অর্থাৎ ৩৫ টাকা অথবা ২০ টাকা, যেটি কম সে মূল্যে শেয়ার পাবেন বিনিয়োগকারীরা। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের প্রতিটি শেয়ার ২০ টাকা করে কিনতে পারবেন।

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড পুঁজিবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। টাকা উত্তোলন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নিলাম আয়োজনের জন্য গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিকে অনুমতি দেয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১০ অক্টোবর বিকাল ৩টায় থেকে একটানা ১৩ অক্টোবর বিকাল ৩টা পর্যন্ত কোম্পানির বিডিং অনুষ্ঠিত হয়।

বিডিংয়ে প্রতিটি শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম উঠে ৫০ টাকা। আর সর্বনিম্ন দাম প্রস্তাব করা হয় ২০ টাকা। ৫০টাকা দরে এশিয়াটিক ল্যাবরেটিজের শেয়ার কেনার জন্য ১৬১টি প্রস্তাব জমা পড়ে। কেনার জন্য প্রস্তাবিত মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার, যা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের ১৭৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। অর্থাৎ সর্বোচ্চ দামে-ই প্রাতিষ্ঠনিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার প্রায় পৌনে দুইগুণ প্রস্তাব জমা পড়ে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ টাকা দরে শেয়ার কেনার জন্য দর প্রস্তাব করা হয় ১৪টি, মোট শেয়ার সংখ্যা ১৫ লাখ ৮২ হাজার। আর ৪০ টাকা দরে মোট ৮ লাখ ২৬ হাজার শেয়ার কেনার জন্য প্রস্তাব জমা পড়ে ৭টি।

নিলামে ৩৮ টাকা দরে শেয়ার কেনার জন্য ৯টি প্রস্তাব, ৩৭ টাকা দরে ৫টি, ৩৫ টাকা দরে ৬টি, ৩৪ টাকা দরে ২টি, ৩২ টাকা দরে ৯টি, ৩১ টাকা দরে ৫টি, ২৫ টাকা দরে ২টি ও ২০ টাকা দরে ১টি প্রস্তাব জমা পড়ে।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে পুনঃমূল্যায়ন পরবর্তী কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৫৬ টাকা ৬১ পয়সা। আর পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিলো ৩৫ টাকা ৪৮ পয়সা। পাঁচ বছরের ভারিত গড় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা।

আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেওয়া শর্ত অনুসারে, তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না। কোম্পানির আইপিওর ইস্যু ম্যানেজার হচ্ছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।

ট্যাগ :

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিও আবেদন শুরু ১৬ জানুয়ারি

প্রকাশিত : ১২:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

পুঁজিবাজারে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন আগামী ১৬ জানুয়ারি শুরু হবে। চলবে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে কোম্পানির কাট-অব প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার শেয়ার বিক্রির নিলাম (বিডিং) শেষে কোম্পানির শেয়ারের কাট-অব প্রাইস দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা। আইপিওতে কাট-অব প্রাইজের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম দামে অর্থাৎ ৩৫ টাকা অথবা ২০ টাকা, যেটি কম সে মূল্যে শেয়ার পাবেন বিনিয়োগকারীরা। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের প্রতিটি শেয়ার ২০ টাকা করে কিনতে পারবেন।

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড পুঁজিবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। টাকা উত্তোলন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নিলাম আয়োজনের জন্য গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিকে অনুমতি দেয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১০ অক্টোবর বিকাল ৩টায় থেকে একটানা ১৩ অক্টোবর বিকাল ৩টা পর্যন্ত কোম্পানির বিডিং অনুষ্ঠিত হয়।

বিডিংয়ে প্রতিটি শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম উঠে ৫০ টাকা। আর সর্বনিম্ন দাম প্রস্তাব করা হয় ২০ টাকা। ৫০টাকা দরে এশিয়াটিক ল্যাবরেটিজের শেয়ার কেনার জন্য ১৬১টি প্রস্তাব জমা পড়ে। কেনার জন্য প্রস্তাবিত মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার, যা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের ১৭৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। অর্থাৎ সর্বোচ্চ দামে-ই প্রাতিষ্ঠনিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার প্রায় পৌনে দুইগুণ প্রস্তাব জমা পড়ে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ টাকা দরে শেয়ার কেনার জন্য দর প্রস্তাব করা হয় ১৪টি, মোট শেয়ার সংখ্যা ১৫ লাখ ৮২ হাজার। আর ৪০ টাকা দরে মোট ৮ লাখ ২৬ হাজার শেয়ার কেনার জন্য প্রস্তাব জমা পড়ে ৭টি।

নিলামে ৩৮ টাকা দরে শেয়ার কেনার জন্য ৯টি প্রস্তাব, ৩৭ টাকা দরে ৫টি, ৩৫ টাকা দরে ৬টি, ৩৪ টাকা দরে ২টি, ৩২ টাকা দরে ৯টি, ৩১ টাকা দরে ৫টি, ২৫ টাকা দরে ২টি ও ২০ টাকা দরে ১টি প্রস্তাব জমা পড়ে।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে পুনঃমূল্যায়ন পরবর্তী কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৫৬ টাকা ৬১ পয়সা। আর পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিলো ৩৫ টাকা ৪৮ পয়সা। পাঁচ বছরের ভারিত গড় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা।

আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেওয়া শর্ত অনুসারে, তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না। কোম্পানির আইপিওর ইস্যু ম্যানেজার হচ্ছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।