০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

অবৈধ যৌন ঔষধ-প্রসাধনী বিক্রি,তামান্না ফার্মেসিকে লাখ টাকা জরিমানা

আমদানি নিষিদ্ধ, লাগেজে করে আনা অবৈধ যৌন উত্তেজক ঔষুধ, আমদানিকারক ছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা বিভিন্ন প্রসাধনী, শিশুখাদ্য গুড়া দুধ বিক্রি এবং অবৈধ ভাবে সংরক্ষণ করার অপরাধে রাজধানীর গুলশানের তামান্না ফার্মেসিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এছাড়া, বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ঔষুধ, প্রসাধনী, শিশুখাদ্য গুড় দুধ জব্দ করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর। পাশিপাশি তামান্না ফার্মেসীর মালিককে ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ভোক্তা স্বার্থবিরোধী এসব কাজ থেকে আগামীতে বিরত থাকবে এমন লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-১ এ অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিদপ্তর।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস এবং ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

অভিযানে দেখা যায়, তামান্না ফার্মেসী আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা অননুমোদিত যৌন উত্তেজক ঔষুধ বিক্রি করছে। এসব ঔষধের কোনো আমদানিকারক নেই। যা বাংলাদেশে বিক্রির কোনো বৈধতা নেই। ফার্মেসীর প্রত্যেকটি ড্রয়ারে গোপনে এসব ঔষধ সংরক্ষণ করে বিক্রি করছিল। ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে প্রায় ২০ থেকে ২২ প্রকারের যৌন উত্তেজক ঔষুধ পাওয়া যায়। এছাড়া, বিদেশি প্রসাধনী এবং শিশুখাদ্য গুড়া দুধ অবৈধ প্রক্রিয়ায় লাগেজে করে এনে বিক্রি করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

ভোক্তা স্বার্থবিরোধী এসব অপরাধে তামান্না ফার্মেসিকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ ঔষধ, প্রসাধনী, শিশুখাদ্য গুড়া দুধ জব্দ করা হয়।

অভিযানের বিষয়ে মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে আজ গুলশান-১ এ বরিশাল ফার্মেসী, গুলশান ফার্মা এবং তামান্না ফার্মেসিতে তদারকি করা হয়। এই তিনটি ফার্মেসীতে অননুমোদিত, বিদেশ থেকে চোরাই পথে লাগেজ পার্টির মাধ্যমে আনা ঔষধ সংরক্ষণ করা হয়েছে। এসব ঔষধ যে নিরাপদ সে বিষয়ে কোনো সার্টিফিকেট ফার্মেসী কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেননি।’

তিনি বলেন, ‘তামান্না ফার্মেসীতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ যৌন উত্তেজক ঔষধ পাওয়া যায়। সাউথ আফ্রিকা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসব অবৈধ ঔষধ চোরাই পথে নিয়ে এসে বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া আমদানিকারক ছাড়া বিভিন্ন প্রকার শিশুখাদ্য গুড়া দুধ এবং প্রসাধনী বিক্রির মত অপরাধ লক্ষ্য করা গেছে।’

ভোক্তা অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভোক্তা স্বার্থবিরোধ এসব অপরাধে তামান্না ফার্মেসীকে এক লাখ টাকা, বরিশাল ফার্মেসীকে ২০ হাজার টাকা এবং গুলশান ফার্মাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থায়ী বন্ধের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ডিএস..

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মোঃ ফয়সল

অবৈধ যৌন ঔষধ-প্রসাধনী বিক্রি,তামান্না ফার্মেসিকে লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত : ০১:১২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আমদানি নিষিদ্ধ, লাগেজে করে আনা অবৈধ যৌন উত্তেজক ঔষুধ, আমদানিকারক ছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা বিভিন্ন প্রসাধনী, শিশুখাদ্য গুড়া দুধ বিক্রি এবং অবৈধ ভাবে সংরক্ষণ করার অপরাধে রাজধানীর গুলশানের তামান্না ফার্মেসিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এছাড়া, বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ঔষুধ, প্রসাধনী, শিশুখাদ্য গুড় দুধ জব্দ করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর। পাশিপাশি তামান্না ফার্মেসীর মালিককে ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ভোক্তা স্বার্থবিরোধী এসব কাজ থেকে আগামীতে বিরত থাকবে এমন লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-১ এ অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিদপ্তর।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস এবং ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

অভিযানে দেখা যায়, তামান্না ফার্মেসী আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা অননুমোদিত যৌন উত্তেজক ঔষুধ বিক্রি করছে। এসব ঔষধের কোনো আমদানিকারক নেই। যা বাংলাদেশে বিক্রির কোনো বৈধতা নেই। ফার্মেসীর প্রত্যেকটি ড্রয়ারে গোপনে এসব ঔষধ সংরক্ষণ করে বিক্রি করছিল। ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে প্রায় ২০ থেকে ২২ প্রকারের যৌন উত্তেজক ঔষুধ পাওয়া যায়। এছাড়া, বিদেশি প্রসাধনী এবং শিশুখাদ্য গুড়া দুধ অবৈধ প্রক্রিয়ায় লাগেজে করে এনে বিক্রি করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

ভোক্তা স্বার্থবিরোধী এসব অপরাধে তামান্না ফার্মেসিকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ ঔষধ, প্রসাধনী, শিশুখাদ্য গুড়া দুধ জব্দ করা হয়।

অভিযানের বিষয়ে মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে আজ গুলশান-১ এ বরিশাল ফার্মেসী, গুলশান ফার্মা এবং তামান্না ফার্মেসিতে তদারকি করা হয়। এই তিনটি ফার্মেসীতে অননুমোদিত, বিদেশ থেকে চোরাই পথে লাগেজ পার্টির মাধ্যমে আনা ঔষধ সংরক্ষণ করা হয়েছে। এসব ঔষধ যে নিরাপদ সে বিষয়ে কোনো সার্টিফিকেট ফার্মেসী কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেননি।’

তিনি বলেন, ‘তামান্না ফার্মেসীতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ যৌন উত্তেজক ঔষধ পাওয়া যায়। সাউথ আফ্রিকা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসব অবৈধ ঔষধ চোরাই পথে নিয়ে এসে বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া আমদানিকারক ছাড়া বিভিন্ন প্রকার শিশুখাদ্য গুড়া দুধ এবং প্রসাধনী বিক্রির মত অপরাধ লক্ষ্য করা গেছে।’

ভোক্তা অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভোক্তা স্বার্থবিরোধ এসব অপরাধে তামান্না ফার্মেসীকে এক লাখ টাকা, বরিশাল ফার্মেসীকে ২০ হাজার টাকা এবং গুলশান ফার্মাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থায়ী বন্ধের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ডিএস..