আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সাবেক জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, এবং সাবেক যুবদল ও জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ মোদারেস আলী ইছা। আসনটিতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় তিনিই এগিয়ে আছেন বলে জানা গেছে।
সৈয়দ মোদারেস আলী ইছা: ফরিদপুর জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আ্যডভোকেট সৈয়দ মোসারফ আলীর পুত্র।
সৈয়দ মোদারেস আলী ইছা:তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল,ফরিদপুর জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।১৯৮১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য,১৯৮৪- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি ,১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৮৬ সালে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৮৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ৩১ বছর ফরিদপুর জেলা বিএনপির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপির আহবায়ক। এছাড়া ও এডঃ মোদাররেস আলী ইসা ২০০৯ সাল থেকে চলমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।
কেবল রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে নয়, তিনি নিজে দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক হিসেবে পরিচিত। তিনি দলের একজন ত্যাগী সহ পরীক্ষিত নেতা।ফরিদপুর বিএনপির রাজনীতির চরম দূর সময়ে নিবেদিত প্রাণ। তিনি ফরিদপুর বাসীর কাছে পরিচিত মুখ। তার ব্যক্তিগত জীবনী ফরিদপুর বাসীর কাছে আর সকল নেতাদের চেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বলে জানা যায়
তিনি ফরিদপুর সদর-৩ আসন থেকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। দলটি তার উপরে আস্থা রাখছে বলে জানা যাচ্ছে।
তার দীর্ঘ ৪৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে অসংখ্য মামলার শিকার হন ও কারাবরণ করেন। এছাড়াও ৯৬ সালের স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে রাজপথে গুলিবিদ্ধ হন।সাবেক প্রধান মন্ত্রীর বেয়াই ও সাবেক এলজিইডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ক্ষমতা থাকার তৎকালীন সময়ে।যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনী দ্বারা বেশ একাধিকবার এ্যাডভোকেট ইছা কে হত্যার উদ্দেশ্যে রক্তাত্ব ও জখম করা হয়। তিনি একজন জিয়াউর রহমানের পরীক্ষিত রাজনৈতিক নেতা হিসেবে ফরিদপুরের জনগন মনে করেন।
তিনি দলের গত এক দশকেরও বেশি সময়ের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, বহু মিথ্যা মামলার হামলার শিকার এবং বর্তমানেও একাধিক মামলার আসামি তিনি।বিশেষ করে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ফরিদপুর বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংগঠিত রাখতে এবং কেন্দ্রীয় নির্দেশনা বাস্তবায়নে তাকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে।
তৃণমূলের কর্মীরা মনে করছেন, সৈয়দ মোদারেস আলী ইছা দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক এবং একটি জনপ্রিয় পরিবারের ঐতিহ্যকে একসূত্রে গাঁথতে পারবে। তারা আশা করছেন, বাবার জনপ্রিয়তার বিশাল ভিত্তি এবং সৈয়দ মোদারেস আলী ইসা নিজস্ব সাংগঠনিক দক্ষতার সমন্বয়ে এই মর্যাদাপূর্ণ আসনটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। সৈয়দ মোদারেস আলী ইছার ফরিদপুর-৩ আসনের মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ডিএস./



















