০৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ: সাবেক আইনমন্ত্রীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চাকরি পরীক্ষার নিয়ম ভঙ্গ করে গোপনে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে দুদকে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ১৪টি শূন্যপদের বিপরীতে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও পরবর্তীতে কোনো পরীক্ষা ও প্রক্রিয়া ছাড়াই অতিরিক্ত ১৮ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়া চলাকালে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, আত্মীয়প্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগও আনা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ১৪টি পদের নিয়োগের জন্য লিখিত, কম্পিউটার ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু চূড়ান্ত নিয়োগ প্রকাশের পরপরই কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অতিরিক্ত ১৮ জনকে গোপনে নিয়োগ দেওয়া হয়।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়োগ কমিটির অন্যতম সদস্য ভোলা জেলা যুগ্ম জেলা জজ (১ম আদালত) মুহাম্মদ জাকারিয়ার নিজের ছোট ভাই গোলাম কিবরিয়াকে কোনো আবেদনপত্র ছাড়াই নিম্নমান সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোলার বাইরে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, বরিশালসহ অন্যান্য জেলার প্রার্থীরাও নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রাধান্য পেয়েছেন। অভিযোগকারীরা বলছেন, এটি সুপ্রিম কোর্টের নিয়োগ সংক্রান্ত সার্কুলার লঙ্ঘন।
অভিযোগপত্রে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এ.বি.এম. মাহমুদুল হক, বিচারিক কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা জজসহ বিভিন্ন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা–কর্মচারীকে এই বেআইনি নিয়োগচক্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইনজীবী খালিদ মোঃ মিরাজ সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নিয়োগ পরীক্ষার নিয়মকে উপেক্ষা করে গোপনে কিছু প্রার্থীর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এটি দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি অবমাননা এবং সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার। আমাদের অভিযোগের মাধ্যমে আশা করছি দুদক যথাযথ তদন্ত শুরু করবে এবং বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

একই সঙ্গে, বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্ত ৩২ জন উপকারভোগীর নাম, ঠিকানা ও পদবীসহ সম্পূর্ণ তালিকা দুদকের কাছে দাখিল করেছেন খালিদ মোঃ মিরাজ। অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

ডিএস./

ট্যাগ :

পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ: সাবেক আইনমন্ত্রীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

প্রকাশিত : ০৩:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চাকরি পরীক্ষার নিয়ম ভঙ্গ করে গোপনে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে দুদকে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ১৪টি শূন্যপদের বিপরীতে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও পরবর্তীতে কোনো পরীক্ষা ও প্রক্রিয়া ছাড়াই অতিরিক্ত ১৮ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়া চলাকালে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, আত্মীয়প্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগও আনা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ১৪টি পদের নিয়োগের জন্য লিখিত, কম্পিউটার ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু চূড়ান্ত নিয়োগ প্রকাশের পরপরই কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অতিরিক্ত ১৮ জনকে গোপনে নিয়োগ দেওয়া হয়।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়োগ কমিটির অন্যতম সদস্য ভোলা জেলা যুগ্ম জেলা জজ (১ম আদালত) মুহাম্মদ জাকারিয়ার নিজের ছোট ভাই গোলাম কিবরিয়াকে কোনো আবেদনপত্র ছাড়াই নিম্নমান সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোলার বাইরে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, বরিশালসহ অন্যান্য জেলার প্রার্থীরাও নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রাধান্য পেয়েছেন। অভিযোগকারীরা বলছেন, এটি সুপ্রিম কোর্টের নিয়োগ সংক্রান্ত সার্কুলার লঙ্ঘন।
অভিযোগপত্রে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এ.বি.এম. মাহমুদুল হক, বিচারিক কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা জজসহ বিভিন্ন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা–কর্মচারীকে এই বেআইনি নিয়োগচক্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইনজীবী খালিদ মোঃ মিরাজ সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নিয়োগ পরীক্ষার নিয়মকে উপেক্ষা করে গোপনে কিছু প্রার্থীর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এটি দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি অবমাননা এবং সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার। আমাদের অভিযোগের মাধ্যমে আশা করছি দুদক যথাযথ তদন্ত শুরু করবে এবং বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

একই সঙ্গে, বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্ত ৩২ জন উপকারভোগীর নাম, ঠিকানা ও পদবীসহ সম্পূর্ণ তালিকা দুদকের কাছে দাখিল করেছেন খালিদ মোঃ মিরাজ। অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

ডিএস./