উৎপাদন বন্ধ, ব্যবসায়িক কার্যক্রমও বন্ধ। কিন্তু থেমে নাই শেয়ার দর। রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ছে উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানিগুলোর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারসাজি চক্রের সক্রিয়তায় বাজারের স্বল্পমূলধনী ও লোকসানি কোম্পানিগুলোর শেয়ার হু হু করে বাড়ছে। ২টি কোম্পানিকে তালিকাচ্যুতি করার পরেও কারসাজি চক্রের সক্রিয়তা কমে নি। বরং লাগামহীন হয়ে পড়েছে তারা। তাই বাজারকে শক্তিকালী করতে তালিকাভুক্ত ১৫ কোম্পানি পারফরমেন্স রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ১৫ টি কোম্পানি রয়েছে ডিএসই’র হিট লিস্টে। উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানিগুলো যদি ইতিবাচক কোন খবর না দিতে পারে তবে কোম্পানিগুলো তালিকাচ্যুত হতে পারে। জানা যায়, গত ৫ বছর বা এর বেশি সময় ধরে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয় না, এমন ১৪টি কোম্পানিকে তালিকাচ্যুতির লক্ষ্যে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে ডিএসই। এর মধ্যে ১৩টি কোম্পানিকে নোটিশ দেওয়া হয়। এবং বুধবার ২টি কোম্পানিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ দেয়া কোম্পানিগুলো হচ্ছে- মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, দুলামিয়া কটন স্পিনিং, সমতা লেদার, শ্যামপুর সুগার, জিল বাংলা সুগার, ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ,শাইনপুকুর সিরামিকস, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ), সাভার রিফ্রেক্টরিজ, বেক্সিমকো সেনথেটিক, ও জুট স্পিনার্স।
এদিকে, বুধবার সোনারগাঁও টেক্সটাইল এবং ইনফর্মেশন সার্ভিসেস নেটাওয়ার্ককেও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, গত ৫ বছর বা এর বেশি সময় ধরে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়া ১৪টি কোম্পানিকে তালিকাচ্যুতির লক্ষ্যে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে ডিএসই। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর বর্তমান ও ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। এছাড়া কেনো তালিকাচ্যুত করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হবে। ব্যাখ্যার পরেই তালিকাচ্যুতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তালিকাচ্যুতির জন্য ৩০টি কোম্পানিকে নির্বাচন করা হয়েছে। যেসব কোম্পানি নিয়মিত লভ্যাংশ বিতরন ও বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) করে না। তবে এরমধ্যে ১৫টি কোম্পানিকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

























