টানা চার কার্যদিবস অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পরও ব্যাংক খাতের কল্যাণে পতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক। তবে সোমবারে এসে আগের চার কার্যদিবসের ধারাবাহিকতা আর রক্ষা করতে পারেনি বেশিরভাগ ব্যাংক। এদিন অন্যান্য খাতের মতো ব্যাংক খাতেরও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে দুই বাজারেই পতন হয়েছে সবকটি মূল্যসূচকের। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২০০টি প্রতিষ্ঠানেরই শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১০২টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির দাম। সোমবার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় প্রায় হাজার কোটি টাকা মূলধন হারিয়েছে ডিএসই। দিনের লেনদেন শেষ ডিএসইর বাজর মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা।
যা আগের কার্যদিবস শেষে ছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। বাজার মূলধন ও মূল্যসূচকের পাশাপাশি বাজারটিতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৪৮ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয় ৮১৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে সোমবার ১৭০ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার কম লেনদেন হয়েছে। টাকার অংকে এদিন ডিএসইতে সর্বাধিক লেনদেন হয়েছে বিবিএস কেবলসের শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ৩৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইফাদ অটোসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার। ১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।লেনদেনে এরপর রয়েছে- ড্রাগন সোয়েটার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, আমান কটন, আরডি ফুডস, সায়হাম টেক্সটাইল, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। ওদিকে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স আজ ৫১ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সোমবার বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট। লেনদেন হওয়া ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে ৭০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৫২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির দাম।

























