০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

‘১৮০ ব্রিটিশ এমপি মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার পক্ষে’

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ১৮০ জন এমপি রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার জন্য মতামত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যদূত রুশনারা আলী। আজ সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যদূত রুশনারা আলী বলেন, মিয়ানমারের সেনা ও নির্বাচিত সরকার মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর যে অন্যায় নির্যাতন চালাচ্ছে তার জন্য তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের সঙ্কট নয় এটা বিশ্ববাসীর সংকট। এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করা দরকার।
উল্লেখ, ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর থেকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর এই ভয়ঙ্কর অভিযান চলছে। মুসলমান রোহিঙ্গাদের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের বিদ্বেষ পেয়েছে নতুন মাত্রা। অন্তত চার লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রাখাইনের এই পরিস্থিতিকে জাতিসংঘ বর্ণনা করেছে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযানের’ ধ্রপদী উদাহরণ হিসেবে।
গত মাসের শেষ দিকে নতুন করে এই সহিংসতা শুরুর আগে দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস ছিল রাখাইন রাজ্যে। কয়েকশ বছর ধরে মিয়ানমারে বসবাস করে এলেও সরকার তাদের নাগরিকত্ব দেয়নি। এমনকি তাদের স্বাধীনভাবে চলাফেরার ওপরও রয়েছে কড়াকড়ি। মিয়ানমারের সংখ্যগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা রোহিঙ্গাদের বিবেচনা করে ‘বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে।

ট্যাগ :

‘১৮০ ব্রিটিশ এমপি মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার পক্ষে’

প্রকাশিত : ০৬:২৭:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ১৮০ জন এমপি রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার জন্য মতামত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যদূত রুশনারা আলী। আজ সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যদূত রুশনারা আলী বলেন, মিয়ানমারের সেনা ও নির্বাচিত সরকার মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর যে অন্যায় নির্যাতন চালাচ্ছে তার জন্য তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের সঙ্কট নয় এটা বিশ্ববাসীর সংকট। এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করা দরকার।
উল্লেখ, ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর থেকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর এই ভয়ঙ্কর অভিযান চলছে। মুসলমান রোহিঙ্গাদের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের বিদ্বেষ পেয়েছে নতুন মাত্রা। অন্তত চার লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রাখাইনের এই পরিস্থিতিকে জাতিসংঘ বর্ণনা করেছে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযানের’ ধ্রপদী উদাহরণ হিসেবে।
গত মাসের শেষ দিকে নতুন করে এই সহিংসতা শুরুর আগে দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস ছিল রাখাইন রাজ্যে। কয়েকশ বছর ধরে মিয়ানমারে বসবাস করে এলেও সরকার তাদের নাগরিকত্ব দেয়নি। এমনকি তাদের স্বাধীনভাবে চলাফেরার ওপরও রয়েছে কড়াকড়ি। মিয়ানমারের সংখ্যগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা রোহিঙ্গাদের বিবেচনা করে ‘বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে।