১২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডায়াবেটিস রোগীদের ডিম খাওয়া কি ঠিক?

সকালের নাস্তায় কমবেশি সবাই ডিম খেতে পছন্দ করেন। একসময় মনে করা হতো, যাদের ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ সম্পর্কিত জটিলতা আছে ডিম খেলে তাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাবে। কিন্তু সেই ধারনা এখন পাল্টে গেছে। বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিক রোগীদের খাদ্যতালিকায় ডিম যোগ করেছেন। তারা বলছেন, প্রতিদিন ১ টি করে ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। সেই সঙ্গে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রনে।

অন্যদিকে, ডিম প্রোটিণের দারুন উৎস। এ কারণে এটি অনেকক্ষন পেট ভরা অনুভূত হতে সাহায্য করে।

বিভিন্ন পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ ডিমকে শক্তির উৎস মনে করা হয়। এতে ভিটামিন এ, বি টু, ডি থাকে।ডিমের কুসুমে বায়োটিন থাকে যা চুল, ত্বক এবং নখ সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।

এছাড়া মুরগীর ডিমে উচ্চ পরিমাণে ওমেগা থ্রি থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুন উপকারী।

ডিম –রান্না, ভাজা, সিদ্ধ বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। ভিটামিন ডি’র ভালো উৎস হওয়ায় ডিম হাড় গঠনে সহায়তা করে। এতে থাকা ফসফরাস হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে।

প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লিউটেন এবং জিজানথিন থাকায় এটি চোখের সুরক্ষা করে।

ডিম নিঃসন্দেহে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটা দারুন উপকারী। যেহেতু ডিমের কুসুমে কোলেষ্টেরল থাকে তাই সাদা অংশ কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই প্রতিদিন খেতে পারেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ডায়াবেটিস রোগীদের ডিম খাওয়া কি ঠিক?

প্রকাশিত : ১২:২৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৮

সকালের নাস্তায় কমবেশি সবাই ডিম খেতে পছন্দ করেন। একসময় মনে করা হতো, যাদের ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ সম্পর্কিত জটিলতা আছে ডিম খেলে তাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাবে। কিন্তু সেই ধারনা এখন পাল্টে গেছে। বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিক রোগীদের খাদ্যতালিকায় ডিম যোগ করেছেন। তারা বলছেন, প্রতিদিন ১ টি করে ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। সেই সঙ্গে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রনে।

অন্যদিকে, ডিম প্রোটিণের দারুন উৎস। এ কারণে এটি অনেকক্ষন পেট ভরা অনুভূত হতে সাহায্য করে।

বিভিন্ন পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ ডিমকে শক্তির উৎস মনে করা হয়। এতে ভিটামিন এ, বি টু, ডি থাকে।ডিমের কুসুমে বায়োটিন থাকে যা চুল, ত্বক এবং নখ সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।

এছাড়া মুরগীর ডিমে উচ্চ পরিমাণে ওমেগা থ্রি থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুন উপকারী।

ডিম –রান্না, ভাজা, সিদ্ধ বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। ভিটামিন ডি’র ভালো উৎস হওয়ায় ডিম হাড় গঠনে সহায়তা করে। এতে থাকা ফসফরাস হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে।

প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লিউটেন এবং জিজানথিন থাকায় এটি চোখের সুরক্ষা করে।

ডিম নিঃসন্দেহে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটা দারুন উপকারী। যেহেতু ডিমের কুসুমে কোলেষ্টেরল থাকে তাই সাদা অংশ কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই প্রতিদিন খেতে পারেন।