০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সমুদ্র এলাকায় বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের হাতছানি

সমুদ্র এলাকায় বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের হাতছানি

বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকা এখন এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার, যা দেশের মোট আয়তনের প্রায় ৮২ শতাংশ। এই সমুদ্র এলাকায় মৎস্যসম্পদ, তেল-গ্যাস ও অন্যান্য মূল্যবান খনিজসম্পদ আহরণ ও সমুদ্র পরিবহন-সুবিধা বাড়িয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং এর মাধ্যমে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। রোববার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য উঠে আসে। দেশের সমুদ্রসীমায় খনিজসম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘বস্নু ইকনোমি অথরিটি’ করার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি। কমিটির সভাপতি
তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যদের মধ্যে রুহুল আমিন হাওলাদার, এম এ লতিফ, আতিউর রহমান ও আবু জাহির বৈঠকে অংশ নেন। জানা গেছে, বাংলাদেশের এই ‘বস্নু ইকোনমির’ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে গত ফেব্রুয়ারিতে অস্থায়ী ‘বস্নু ইকোনমি সেল’ গঠন করা হয়েছে। এর সঙ্গে সরকারের ১৭টি মন্ত্রণালয় ও ১২টি সংস্থা যুক্ত রয়েছে। এই সেলটি জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অধীনে একটি অস্থায়ী সেল। আইনগত কর্তৃত্ব না থাকায় এই সেলের সিদ্ধান্ত মানার ক্ষেত্রে অন্যদের আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। অস্থায়ী হওয়ায় এই সেলকে কোনও আর্থিক বরাদ্দও দেওয়া হয় না। তাই এই সেলকে স্থায়ী করা বা আইনের মাধ্যমে একটি বস্নু ইকনোমি কর্তৃপক্ষ গঠন করা যেতে পারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংসদীয় কমিটি এ ধরনের একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ করে। জানতে চাইলে কমিটির সদস্য ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘‘কমিটি আইনের মাধ্যমে ‘বস্নু ইকনোমি অথরিটি’ করার সুপারিশ করেছে। তারা বলেছেন, কর্তৃপক্ষ হলে এর কাজের সঙ্গে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের বিষয় থাকবে। এজন্য কর্তৃপক্ষকে আইনি ক্ষমতা দিতে হবে।’’

ট্যাগ :

সমুদ্র এলাকায় বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের হাতছানি

প্রকাশিত : ০১:১৭:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০১৭

সমুদ্র এলাকায় বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের হাতছানি

বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকা এখন এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার, যা দেশের মোট আয়তনের প্রায় ৮২ শতাংশ। এই সমুদ্র এলাকায় মৎস্যসম্পদ, তেল-গ্যাস ও অন্যান্য মূল্যবান খনিজসম্পদ আহরণ ও সমুদ্র পরিবহন-সুবিধা বাড়িয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং এর মাধ্যমে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। রোববার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য উঠে আসে। দেশের সমুদ্রসীমায় খনিজসম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘বস্নু ইকনোমি অথরিটি’ করার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি। কমিটির সভাপতি
তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যদের মধ্যে রুহুল আমিন হাওলাদার, এম এ লতিফ, আতিউর রহমান ও আবু জাহির বৈঠকে অংশ নেন। জানা গেছে, বাংলাদেশের এই ‘বস্নু ইকোনমির’ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে গত ফেব্রুয়ারিতে অস্থায়ী ‘বস্নু ইকোনমি সেল’ গঠন করা হয়েছে। এর সঙ্গে সরকারের ১৭টি মন্ত্রণালয় ও ১২টি সংস্থা যুক্ত রয়েছে। এই সেলটি জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অধীনে একটি অস্থায়ী সেল। আইনগত কর্তৃত্ব না থাকায় এই সেলের সিদ্ধান্ত মানার ক্ষেত্রে অন্যদের আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। অস্থায়ী হওয়ায় এই সেলকে কোনও আর্থিক বরাদ্দও দেওয়া হয় না। তাই এই সেলকে স্থায়ী করা বা আইনের মাধ্যমে একটি বস্নু ইকনোমি কর্তৃপক্ষ গঠন করা যেতে পারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংসদীয় কমিটি এ ধরনের একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ করে। জানতে চাইলে কমিটির সদস্য ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘‘কমিটি আইনের মাধ্যমে ‘বস্নু ইকনোমি অথরিটি’ করার সুপারিশ করেছে। তারা বলেছেন, কর্তৃপক্ষ হলে এর কাজের সঙ্গে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের বিষয় থাকবে। এজন্য কর্তৃপক্ষকে আইনি ক্ষমতা দিতে হবে।’’