০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

পরোয়ানা আদালতের বিষয়

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও এই দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সরকার করেনি। এখানে সরকারের ষড়যন্ত্রের কিছু নেই।’
গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় অবস্থিত ওজন স্কেল মেশিনের লোড-আনলোড কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা কী সরকারের গ্রেফতারি পরোয়ানা না আদালতের। আদালতের কোনও আদেশ বা রায় যখন সরকারের বিরুদ্ধে যায় তখন বিএনপির খুশি রাখার জায়গা থাকে না। খুশিতে তারা আটখানা হয়ে যায়। আবার কোনও রায় বা আদেশ যখন তাদের বিরুদ্ধে যায় তখন তারা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে। এটার অর্থ হচ্ছে আদালতের রায়কে অমান্য করা। আমার প্রশ্ন, তারা কি আদালতের রায়কে অমান্য করতে চান?’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন ষোড়শ সংশোধনীর রায় দেয় তখন বিচার বিভাগ স্বাধীন। আবার তাদের বিরুদ্ধে যখন রায় বা আদেশ যায় তখন সেটা সরকারের হস্তক্ষেপ। সরকার ষোড়শ সংশোধনী রায়ের বিরুদ্ধে যখন হস্তক্ষেপ করেনি এ ব্যাপারে ( খালেদা জিয়ার মামলা ) হস্তক্ষেপ করবে কেন?ষোড়শ সংশোধনীর রায় দিতে সাহস পায় বিচারক, এই আদেশ দিতে বিচারক সাহস পাবে না এটা মনে করার কোনও কারণ নেই। এই সরকারের আমলে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন।’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলবো, যে বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন, তাকে জিজ্ঞাসা করুন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে আদেশ দিয়েছেন কিনা? আদালতের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপির দ্বিচারিতা কেন?’ মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১ নভেম্বর থেকে মহাসড়ক রক্ষায় ওজন স্কেলের নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এতে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। অতিরিক্ত মাল বোঝাই কোনও ট্রাক বা লরি রাস্তায় চলতে দেওয়া হবে না। মালিক-শ্রমিক নেতাদের মন্ত্রণালয়ে ডেকে এনে সরকারের এ কঠোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন সরকারের স্কেল নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য। নামমাত্র জরিমানা দিয়ে কিভাবে অতিরিক্ত লোড গাড়ি পার হচ্ছে তা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন তিনি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা নির্মাণ করে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নত করা হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে রাস্তার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আগামী বছরের এই রাস্তা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে। রাস্তা যদি না থাকে তবে যানবাহন কোথায় চালাবেন- এ বিষয়টি মালিক শ্রমিকদের অনুধাবন করা উচিত।’ এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হুমায়ন কবির মজুমদার, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমনসহ সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ট্যাগ :

পরোয়ানা আদালতের বিষয়

প্রকাশিত : ১২:৫০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০১৭

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও এই দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সরকার করেনি। এখানে সরকারের ষড়যন্ত্রের কিছু নেই।’
গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় অবস্থিত ওজন স্কেল মেশিনের লোড-আনলোড কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা কী সরকারের গ্রেফতারি পরোয়ানা না আদালতের। আদালতের কোনও আদেশ বা রায় যখন সরকারের বিরুদ্ধে যায় তখন বিএনপির খুশি রাখার জায়গা থাকে না। খুশিতে তারা আটখানা হয়ে যায়। আবার কোনও রায় বা আদেশ যখন তাদের বিরুদ্ধে যায় তখন তারা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে। এটার অর্থ হচ্ছে আদালতের রায়কে অমান্য করা। আমার প্রশ্ন, তারা কি আদালতের রায়কে অমান্য করতে চান?’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন ষোড়শ সংশোধনীর রায় দেয় তখন বিচার বিভাগ স্বাধীন। আবার তাদের বিরুদ্ধে যখন রায় বা আদেশ যায় তখন সেটা সরকারের হস্তক্ষেপ। সরকার ষোড়শ সংশোধনী রায়ের বিরুদ্ধে যখন হস্তক্ষেপ করেনি এ ব্যাপারে ( খালেদা জিয়ার মামলা ) হস্তক্ষেপ করবে কেন?ষোড়শ সংশোধনীর রায় দিতে সাহস পায় বিচারক, এই আদেশ দিতে বিচারক সাহস পাবে না এটা মনে করার কোনও কারণ নেই। এই সরকারের আমলে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন।’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলবো, যে বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন, তাকে জিজ্ঞাসা করুন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে আদেশ দিয়েছেন কিনা? আদালতের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপির দ্বিচারিতা কেন?’ মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১ নভেম্বর থেকে মহাসড়ক রক্ষায় ওজন স্কেলের নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এতে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। অতিরিক্ত মাল বোঝাই কোনও ট্রাক বা লরি রাস্তায় চলতে দেওয়া হবে না। মালিক-শ্রমিক নেতাদের মন্ত্রণালয়ে ডেকে এনে সরকারের এ কঠোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন সরকারের স্কেল নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য। নামমাত্র জরিমানা দিয়ে কিভাবে অতিরিক্ত লোড গাড়ি পার হচ্ছে তা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন তিনি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা নির্মাণ করে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নত করা হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে রাস্তার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আগামী বছরের এই রাস্তা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে। রাস্তা যদি না থাকে তবে যানবাহন কোথায় চালাবেন- এ বিষয়টি মালিক শ্রমিকদের অনুধাবন করা উচিত।’ এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হুমায়ন কবির মজুমদার, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমনসহ সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।