০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

১১ নভেম্বর মেজর গণির ৬১তম মৃত্যুদিবস

স্বাধীনতা যুদ্ধের অগ্র সেনানী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা, ভাষা আন্দোলনের অগ্র সৈনিক ও প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য, জাতীয় বীর বঙ্গশার্দুল মেজর এম এ গণি। তার ৬১ তম মৃত্যু দিবস পালন উপলক্ষে শনিবার মেজর গণি পরিষদ এক প্রস্তুতি সভা করেছে।

রাজধানীর গুলশানের নিকেতনে মেজর গনি পরিষদের অফিসে সংগঠেনের সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলাম ভুঁইয়ার সভাপতিেেত্ব এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় মেজর গনির নিকটাত্মীয় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বিএফইউজে’র সভাপতি শওকত মাহমুদ, সাংবাদিক ফারুক খান, দিদারুল আলম দিদার, তাজুল ইসলাম, অধ্যাপক বশির-আল-হেলালসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মেজর গনি পরিষদের সদস্য সচিব জানান, মেজর গনি পরিষদের উদ্যোগে ১১ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল হবে। ওইদিন মেজর গণির জন্মস্থান ব্রাম্মনপাড়া উপজেলার নাগাইশে দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হবে। মৃত্যু দিবসে প্রতিবছরই সকালে কুমিল্লা সেনানিবাসে মেজর গনির সমাধি সৌধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর মেজর গণি পরিষদের পক্ষ থেকেও সেখানে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন করা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বাঙ্গালী সৈন্যদের বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে মেজর গণি তৎকালীন ব্রিটিশ সেনা বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল স্যার মেসারভিকে এক আবেদন পত্রে বাঙ্গালী মুসলমানদের নিয়ে একটি আলাদা রেজিমেন্ট গঠনের দাবী উপস্থাপন করেন। অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে মেজর গণি ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অগ্রযাত্রা শুরু করেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট গঠনে মেজর গণি যে সাহস, শক্তি, দূরদর্শীতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশী জাতির জন্য উজ্জল প্রদীপ প্রজ্জলন করেছিলেন তাঁর শিখা আজও চির সমুজ্জ্বল।

মেজর আব্দুর গনির জন্ম ১৯১৫ সালের ১লা ডিসেম্বর কুমিল্লার ব্রাক্ষনপাড়া উপজেলার নাগাইশ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। ১৯৪১ সালে মেজর গণি যোগ দেন ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাইনিয়র কোরে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে। মেজর গণি মহান ভাষা আন্দোলনের সময়ও গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসার ও সৈন্যরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অসীম সাহসের সাথে নেতত্ব দেন এবং লড়াই করেন।

মেজর গনি ১৯৫৩ সালে সামরিক চাকরি থেকে বেরিয়ে যোগ দেন রাজনীতিতে। জনসেবায় নিজেকে নিয়োগ করেন। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক আইন সভার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজ জেলা কুমিল্লার বুড়িচং নির্বাচনী এলাকা থেকে বিপুল ভোটে আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। স্বতন্ত্র সদস্য হয়েও মেজর গণি ব্যাতিক্রমি মেধা মননের জন্য আইন পরিষদে সবার নজর কাড়েন। ১৯৫৭ সালে জার্মানী সফর কালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৪২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।

ট্যাগ :

১১ নভেম্বর মেজর গণির ৬১তম মৃত্যুদিবস

প্রকাশিত : ০৭:৪৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৭

স্বাধীনতা যুদ্ধের অগ্র সেনানী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা, ভাষা আন্দোলনের অগ্র সৈনিক ও প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য, জাতীয় বীর বঙ্গশার্দুল মেজর এম এ গণি। তার ৬১ তম মৃত্যু দিবস পালন উপলক্ষে শনিবার মেজর গণি পরিষদ এক প্রস্তুতি সভা করেছে।

রাজধানীর গুলশানের নিকেতনে মেজর গনি পরিষদের অফিসে সংগঠেনের সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলাম ভুঁইয়ার সভাপতিেেত্ব এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় মেজর গনির নিকটাত্মীয় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বিএফইউজে’র সভাপতি শওকত মাহমুদ, সাংবাদিক ফারুক খান, দিদারুল আলম দিদার, তাজুল ইসলাম, অধ্যাপক বশির-আল-হেলালসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মেজর গনি পরিষদের সদস্য সচিব জানান, মেজর গনি পরিষদের উদ্যোগে ১১ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল হবে। ওইদিন মেজর গণির জন্মস্থান ব্রাম্মনপাড়া উপজেলার নাগাইশে দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হবে। মৃত্যু দিবসে প্রতিবছরই সকালে কুমিল্লা সেনানিবাসে মেজর গনির সমাধি সৌধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর মেজর গণি পরিষদের পক্ষ থেকেও সেখানে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন করা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বাঙ্গালী সৈন্যদের বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে মেজর গণি তৎকালীন ব্রিটিশ সেনা বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল স্যার মেসারভিকে এক আবেদন পত্রে বাঙ্গালী মুসলমানদের নিয়ে একটি আলাদা রেজিমেন্ট গঠনের দাবী উপস্থাপন করেন। অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে মেজর গণি ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অগ্রযাত্রা শুরু করেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট গঠনে মেজর গণি যে সাহস, শক্তি, দূরদর্শীতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশী জাতির জন্য উজ্জল প্রদীপ প্রজ্জলন করেছিলেন তাঁর শিখা আজও চির সমুজ্জ্বল।

মেজর আব্দুর গনির জন্ম ১৯১৫ সালের ১লা ডিসেম্বর কুমিল্লার ব্রাক্ষনপাড়া উপজেলার নাগাইশ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। ১৯৪১ সালে মেজর গণি যোগ দেন ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাইনিয়র কোরে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে। মেজর গণি মহান ভাষা আন্দোলনের সময়ও গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসার ও সৈন্যরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অসীম সাহসের সাথে নেতত্ব দেন এবং লড়াই করেন।

মেজর গনি ১৯৫৩ সালে সামরিক চাকরি থেকে বেরিয়ে যোগ দেন রাজনীতিতে। জনসেবায় নিজেকে নিয়োগ করেন। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক আইন সভার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজ জেলা কুমিল্লার বুড়িচং নির্বাচনী এলাকা থেকে বিপুল ভোটে আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। স্বতন্ত্র সদস্য হয়েও মেজর গণি ব্যাতিক্রমি মেধা মননের জন্য আইন পরিষদে সবার নজর কাড়েন। ১৯৫৭ সালে জার্মানী সফর কালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৪২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।