০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পেয়ারার যত পুষ্টিগুণ

ভিটামিন সি যুক্ত সুস্বাদু ফল পেয়ারা পুষ্টিগুণে বেশ সমৃদ্ধ, যা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। এ ছাড়াও পেয়ারাতে রয়েছে ক্যারোটিন ও নানা রকম খনিজ। ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে চাইলে নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া যেতে পারে। জেনে নেওয়া যাক সুস্বাদু এই ফলের নানা পুষ্টিগুণ:

► পেয়ারা ভিটামিন ‘সি’র ভালো উৎস। ভিটামিন সি মুখগহ্বর, দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখে। পাশাপাশি বিপাকেও সাহায্য করে।

► সাধারণত ফলে ভিটামিন এ সরাসরি পাওয়া যায় না; এটি প্রথমে ক্যারোটিনরূপে থাকে পরবর্তী সময়ে তা ভিটামিন এতে রূপান্তরিত হয়। ক্যারোটিন শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। চোখের রেটিনা ও কোষের সুস্থতা বজায় রাখতে এটি সাহায্য করে।

► প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ০.২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি ১ ও ০.০৯ মিলিগ্রাম বি ২ পাওয়া যায়। এসব ভিটামিনের অভাবে বেরিবেরি ও মুখের ঘা-জনিত নানারকম অসুখ হতে পারে।

► প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৭৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়। উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে খাদ্যশক্তি পেতে প্রতিদিন একটি পেয়ারা খাওয়া যেতে পারে।

► প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ১.৪ গ্রাম প্রোটিন ও ১.১ গ্রাম স্নেহ পাওয়া যায়।

► প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় পাওয়া যায় ১৫.২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপে সাহায্য করে। তা ছাড়া ফলের পেকটিন ও সেলুলোজ রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

► পেয়ারা নানারকম খনিজ উপাদানে ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ০.৬ গ্রাম মিনারেল, ০.০৩ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০৩ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেভিন, ১.৪ মিলিগ্রাম আয়রন, ২৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস ও ২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

বিবি/রেআ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

পেয়ারার যত পুষ্টিগুণ

প্রকাশিত : ০১:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০১৯

ভিটামিন সি যুক্ত সুস্বাদু ফল পেয়ারা পুষ্টিগুণে বেশ সমৃদ্ধ, যা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। এ ছাড়াও পেয়ারাতে রয়েছে ক্যারোটিন ও নানা রকম খনিজ। ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে চাইলে নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া যেতে পারে। জেনে নেওয়া যাক সুস্বাদু এই ফলের নানা পুষ্টিগুণ:

► পেয়ারা ভিটামিন ‘সি’র ভালো উৎস। ভিটামিন সি মুখগহ্বর, দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখে। পাশাপাশি বিপাকেও সাহায্য করে।

► সাধারণত ফলে ভিটামিন এ সরাসরি পাওয়া যায় না; এটি প্রথমে ক্যারোটিনরূপে থাকে পরবর্তী সময়ে তা ভিটামিন এতে রূপান্তরিত হয়। ক্যারোটিন শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। চোখের রেটিনা ও কোষের সুস্থতা বজায় রাখতে এটি সাহায্য করে।

► প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ০.২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি ১ ও ০.০৯ মিলিগ্রাম বি ২ পাওয়া যায়। এসব ভিটামিনের অভাবে বেরিবেরি ও মুখের ঘা-জনিত নানারকম অসুখ হতে পারে।

► প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৭৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়। উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে খাদ্যশক্তি পেতে প্রতিদিন একটি পেয়ারা খাওয়া যেতে পারে।

► প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ১.৪ গ্রাম প্রোটিন ও ১.১ গ্রাম স্নেহ পাওয়া যায়।

► প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় পাওয়া যায় ১৫.২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপে সাহায্য করে। তা ছাড়া ফলের পেকটিন ও সেলুলোজ রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

► পেয়ারা নানারকম খনিজ উপাদানে ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ০.৬ গ্রাম মিনারেল, ০.০৩ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০৩ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেভিন, ১.৪ মিলিগ্রাম আয়রন, ২৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস ও ২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

বিবি/রেআ