০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

চন্দনাইশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি

ঢাকা: টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানিতে ঘর-বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় এই ইউনিয়নের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সড়কে পানি ওঠায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটি ইউনিয়নের মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি। বৃষ্টির পাশাপাশি সাঙ্গু নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় চন্দনাইশে এই বন্যা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে বন্যার পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের হাশিমপুর বড়পাড়া এলাকায় ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বড় কিছু বাস চলাচল করলেও তা সংখ্যায় অনেক কম। শনিবার রাত থেকে এই সড়ক পানিতে তলিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার কাঞ্চনাবাদ, হাশিমপুর, বরমা, বরকল, জোয়ারা, ধোপাছড়ি, বৈলতলি ও দোহাজারির অধিকাংশ এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় মানুষের বাড়িতে পানি ঢুকেছে। বৃষ্টি পড়লে পানির উচ্চতা বেড়ে যায়। আবার বৃষ্টি কমে গেলে পানির উচ্চতাও কমে যায়। বন্যায় গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে মানুষ চরম দুভোগে আছে। বিভিন্ন এলাকায় গৃহপালিত পশু পাখি মারা যাচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় সড়কে জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সোলাইমান  বলেন,‘উপজেলার দুয়েকটি গ্রাম ছাড়া প্রায় সব গ্রামে হাঁটু থেকে কোমর পরিমাণ পানি। এসব এলাকার সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। যে কারণে মানুষের চলাচলে অসুবিধা হয়। ঘর বাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় মানুষ রান্না-বান্না করতে পারছে না। অনেকে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।’

মানুষ অনেক কষ্টে দিন পার করছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে ৬০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দিয়েছি। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সড়কে কোমর সমান পানি জমে থাকায় কিছু কিছু এলাকায় ত্রাণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

বিজনেস বাংলাদেশ-/ এমএ

ট্যাগ :

মেঘনা  উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক  নয়ন ও শহীদুলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

চন্দনাইশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশিত : ১১:১২:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯

ঢাকা: টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানিতে ঘর-বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় এই ইউনিয়নের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সড়কে পানি ওঠায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটি ইউনিয়নের মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি। বৃষ্টির পাশাপাশি সাঙ্গু নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় চন্দনাইশে এই বন্যা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে বন্যার পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের হাশিমপুর বড়পাড়া এলাকায় ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বড় কিছু বাস চলাচল করলেও তা সংখ্যায় অনেক কম। শনিবার রাত থেকে এই সড়ক পানিতে তলিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার কাঞ্চনাবাদ, হাশিমপুর, বরমা, বরকল, জোয়ারা, ধোপাছড়ি, বৈলতলি ও দোহাজারির অধিকাংশ এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় মানুষের বাড়িতে পানি ঢুকেছে। বৃষ্টি পড়লে পানির উচ্চতা বেড়ে যায়। আবার বৃষ্টি কমে গেলে পানির উচ্চতাও কমে যায়। বন্যায় গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে মানুষ চরম দুভোগে আছে। বিভিন্ন এলাকায় গৃহপালিত পশু পাখি মারা যাচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় সড়কে জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সোলাইমান  বলেন,‘উপজেলার দুয়েকটি গ্রাম ছাড়া প্রায় সব গ্রামে হাঁটু থেকে কোমর পরিমাণ পানি। এসব এলাকার সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। যে কারণে মানুষের চলাচলে অসুবিধা হয়। ঘর বাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় মানুষ রান্না-বান্না করতে পারছে না। অনেকে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।’

মানুষ অনেক কষ্টে দিন পার করছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে ৬০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দিয়েছি। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সড়কে কোমর সমান পানি জমে থাকায় কিছু কিছু এলাকায় ত্রাণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

বিজনেস বাংলাদেশ-/ এমএ