১১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

কিডনি রোগ কাদের হতে পারে?

  • ফিচার ডেস্ক;
  • প্রকাশিত : ০৪:০২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৭
  • 877

ফাইল ছবি

কিডনি রোগ সাধারণত দুই ধরনের হয়। ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ এবং একিউট বা হঠাৎ কিডনি রোগ। কিডনি রোগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপ্রবণ কারা, এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম।

বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিডনি রোগ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : কিডনি রোগের জন্য কারা ঝুঁকিপূর্ণ? আর কোন বয়স থেকে খুব সাধারণ পরীক্ষা করে আমরা বুঝতে পারি, কিডনি রোগ হয়েছে?

উত্তর : যাদের বংশে কিডনি রোগ রয়েছে, যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, যাদের কখনো নেফ্রাইটিস হয়েছিল বা যাদের কখনো একিউট রেনাল ফেইলিউর হয়েছিল বা হঠাৎ কিডনি বিকল হয়েছিল, আবার অনেক দিন ধরে যারা ব্যথার ওষুধ খাচ্ছে (কোমরে ব্যথার জন্য হোক, হাঁটুর ব্যথার জন্য হোক), যারা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন যত্রতত্র করছে, তাদের ক্ষেত্রে কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ধূমপানের যাদের অভ্যাস রয়েছে, যারা মুটিয়ে গেছে—এ ধরনের লোকেরা হলো ঝুঁকিপ্রবণ। এদের অন্তত বছরে একবার কিডনির পরীক্ষা করা দরকার। সহজ পরীক্ষার মধ্যে হলো ইউরিনের রুটিন পরীক্ষা, রক্তের ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা, এরপর হলো একটি কিডনির আলট্রাসনোগ্রাফি করা। এই জিনিসগুলো যদি বছরে একবার কেউ করে, তাহলে খুব প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়বে।

আরেকটি মজার বিষয় হলো, ক্রনিক কিডনি রোগকে আমরা নীরব ঘাতক বলছি। কিছুই বোঝা যায় না প্রথমদিকে, নীরব ঘাতক। কারো ক্রিয়েটিনিন যদি চার বা পাঁচ হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে তার কিডনি ৫০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। জিএফআর করে আমরা বুঝে ফেলতে পারি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মনোনয়নপত্র জমা

কিডনি রোগ কাদের হতে পারে?

প্রকাশিত : ০৪:০২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৭

কিডনি রোগ সাধারণত দুই ধরনের হয়। ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ এবং একিউট বা হঠাৎ কিডনি রোগ। কিডনি রোগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপ্রবণ কারা, এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম।

বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিডনি রোগ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : কিডনি রোগের জন্য কারা ঝুঁকিপূর্ণ? আর কোন বয়স থেকে খুব সাধারণ পরীক্ষা করে আমরা বুঝতে পারি, কিডনি রোগ হয়েছে?

উত্তর : যাদের বংশে কিডনি রোগ রয়েছে, যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, যাদের কখনো নেফ্রাইটিস হয়েছিল বা যাদের কখনো একিউট রেনাল ফেইলিউর হয়েছিল বা হঠাৎ কিডনি বিকল হয়েছিল, আবার অনেক দিন ধরে যারা ব্যথার ওষুধ খাচ্ছে (কোমরে ব্যথার জন্য হোক, হাঁটুর ব্যথার জন্য হোক), যারা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন যত্রতত্র করছে, তাদের ক্ষেত্রে কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ধূমপানের যাদের অভ্যাস রয়েছে, যারা মুটিয়ে গেছে—এ ধরনের লোকেরা হলো ঝুঁকিপ্রবণ। এদের অন্তত বছরে একবার কিডনির পরীক্ষা করা দরকার। সহজ পরীক্ষার মধ্যে হলো ইউরিনের রুটিন পরীক্ষা, রক্তের ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা, এরপর হলো একটি কিডনির আলট্রাসনোগ্রাফি করা। এই জিনিসগুলো যদি বছরে একবার কেউ করে, তাহলে খুব প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়বে।

আরেকটি মজার বিষয় হলো, ক্রনিক কিডনি রোগকে আমরা নীরব ঘাতক বলছি। কিছুই বোঝা যায় না প্রথমদিকে, নীরব ঘাতক। কারো ক্রিয়েটিনিন যদি চার বা পাঁচ হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে তার কিডনি ৫০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। জিএফআর করে আমরা বুঝে ফেলতে পারি।