০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে কর্মকর্তাদের মাঠে থাকার নির্দেশ

রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ও যানজট সহনীয় পর্যায়ে আনতে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি), অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ও সহকারী কমিশনারসহ (এসি) সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন নবনিযুক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে কমিশনার এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শুধু সার্জেন্ট ও টিআই এর ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। আমাদের ব্যস্ততম সময় বিশেষ করে সকালে অফিস শুরুর ঘণ্টা তিনেক ও অফিস ছুটির ঘণ্টা তিনেক মাঠে থাকতে হবে।

ডিসি থেকে শুরু করে ট্রাফিক বিভাগের নিম্নতম সদস্যকেও মাঠে থাকতে হবে।’

এও নির্দেশনা দিয়েছি যে, আমার নির্দেশনা যদি প্রতিফলিত না হয় তাহলে প্রোগ্রাম করে সুনির্দিষ্ট ট্রাফিক পয়েন্টগুলোতে আট ঘণ্টা করে ডিউটি বণ্টন করে দেব।

ডিএমপির নতুন কমিশনার বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেই রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে এরইমধ্যে অনেকগুলো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি। ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মতামত নিয়েছি।

ঢাকা মহানগর এলাকার ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় আমি অত্যন্ত কঠোর থাকব। যাদের ওপর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদেরকেও মনিটরিং করা হবে। আমাদের সিনিয়র অফিসাররাও কাজ করবে।’

তিনি বলেন, শুধু সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য নয়, নানাবিধ কারণে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যেমন আজকে রাজধানীর দুটি জায়গায় ঝামেলা হচ্ছে। একটি গার্মেন্টস শ্রমিকরা রাস্তায় বসে গেছে, আরেক স্থানে ছাত্ররা।

তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে রাস্তা থেকে উঠাতে যে সময়টি লাগে তা ঘণ্টা পেরিয়ে যায় কখনও আরও বেশি। ঢাকা শহরে কোথাও যানবাহন ৫ মিনিট বন্ধ থাকলে সেটির জের পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

এমন কিছু ঘটে যেখানে ট্রাফিক পুলিশের কোনো হাত, নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তবুও এর দায় আমাদের ওপর পড়ে। তবুও বলব, পরিস্থিতি যেমনই হোক, আমরা আমাদের দায়িত্ব অস্বীকার করব না। দায়িত্ব পালনে আমরা সার্বক্ষণিকভাবে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।’

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ট্রাফিকের বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি। কিন্তু ট্রাফিকের সববিষয় আমার হাতে নেই। রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি, রাস্তা নির্মাণ, নতুন নতুন গাড়ি বাড়ছে।

একটি পরিকল্পিত শহরের জন্য যে পরিমাণ রাস্তা থাকা দরকার তার ধারের কাছেও আমরা নেই। আমরা এতটুকু বলতে পারি, ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আনা হবে।’

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এ ঢাকা শহরে আপনি, আমি, প্রতিটি মানুষ সবাই অন্যকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের একেবারেই ধৈর্য্য নেই। পেছনে অ্যাম্বুলেন্স আছে কি না সেটি খেয়াল নেই। সবার লক্ষ্য যেন কীভাবে আগে পৌঁছানো যায়। একেবারেই ধৈর্য্য নেই।

সবাই যদি আগে যেতে চাই তাহলে কেউই পৌঁছতে পারব না। মাথার ওপরে ফুটওভার ব্রিজ সেটা ব্যবহার না করে ব্যাগ হাতে সন্তানদের নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছি। সেটির কারণেই সমস্যা হচ্ছে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সবাই যেন জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করেন। সিনিয়র অফিসাররা যে যেখানে আছি সেখান থেকে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারে কাজ করব।

নিজের গাড়িটা আগে জেব্রা ক্রসিংয়ের আগে বন্ধ করে সচেতনতামূলকভাবে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারে কাজ করব। মানুষ যেন পার হতে পারে সে ব্যাপারে কাজ করব। আসলে কেউ আইন মানতে চাই না। আইন মানতে সহযোগিতা করুন।

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মনোনয়নপত্র জমা

রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে কর্মকর্তাদের মাঠে থাকার নির্দেশ

প্রকাশিত : ০৪:০৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ও যানজট সহনীয় পর্যায়ে আনতে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি), অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ও সহকারী কমিশনারসহ (এসি) সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন নবনিযুক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে কমিশনার এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শুধু সার্জেন্ট ও টিআই এর ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। আমাদের ব্যস্ততম সময় বিশেষ করে সকালে অফিস শুরুর ঘণ্টা তিনেক ও অফিস ছুটির ঘণ্টা তিনেক মাঠে থাকতে হবে।

ডিসি থেকে শুরু করে ট্রাফিক বিভাগের নিম্নতম সদস্যকেও মাঠে থাকতে হবে।’

এও নির্দেশনা দিয়েছি যে, আমার নির্দেশনা যদি প্রতিফলিত না হয় তাহলে প্রোগ্রাম করে সুনির্দিষ্ট ট্রাফিক পয়েন্টগুলোতে আট ঘণ্টা করে ডিউটি বণ্টন করে দেব।

ডিএমপির নতুন কমিশনার বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেই রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে এরইমধ্যে অনেকগুলো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি। ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মতামত নিয়েছি।

ঢাকা মহানগর এলাকার ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় আমি অত্যন্ত কঠোর থাকব। যাদের ওপর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদেরকেও মনিটরিং করা হবে। আমাদের সিনিয়র অফিসাররাও কাজ করবে।’

তিনি বলেন, শুধু সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য নয়, নানাবিধ কারণে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যেমন আজকে রাজধানীর দুটি জায়গায় ঝামেলা হচ্ছে। একটি গার্মেন্টস শ্রমিকরা রাস্তায় বসে গেছে, আরেক স্থানে ছাত্ররা।

তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে রাস্তা থেকে উঠাতে যে সময়টি লাগে তা ঘণ্টা পেরিয়ে যায় কখনও আরও বেশি। ঢাকা শহরে কোথাও যানবাহন ৫ মিনিট বন্ধ থাকলে সেটির জের পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

এমন কিছু ঘটে যেখানে ট্রাফিক পুলিশের কোনো হাত, নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তবুও এর দায় আমাদের ওপর পড়ে। তবুও বলব, পরিস্থিতি যেমনই হোক, আমরা আমাদের দায়িত্ব অস্বীকার করব না। দায়িত্ব পালনে আমরা সার্বক্ষণিকভাবে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।’

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ট্রাফিকের বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি। কিন্তু ট্রাফিকের সববিষয় আমার হাতে নেই। রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি, রাস্তা নির্মাণ, নতুন নতুন গাড়ি বাড়ছে।

একটি পরিকল্পিত শহরের জন্য যে পরিমাণ রাস্তা থাকা দরকার তার ধারের কাছেও আমরা নেই। আমরা এতটুকু বলতে পারি, ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আনা হবে।’

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এ ঢাকা শহরে আপনি, আমি, প্রতিটি মানুষ সবাই অন্যকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের একেবারেই ধৈর্য্য নেই। পেছনে অ্যাম্বুলেন্স আছে কি না সেটি খেয়াল নেই। সবার লক্ষ্য যেন কীভাবে আগে পৌঁছানো যায়। একেবারেই ধৈর্য্য নেই।

সবাই যদি আগে যেতে চাই তাহলে কেউই পৌঁছতে পারব না। মাথার ওপরে ফুটওভার ব্রিজ সেটা ব্যবহার না করে ব্যাগ হাতে সন্তানদের নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছি। সেটির কারণেই সমস্যা হচ্ছে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সবাই যেন জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করেন। সিনিয়র অফিসাররা যে যেখানে আছি সেখান থেকে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারে কাজ করব।

নিজের গাড়িটা আগে জেব্রা ক্রসিংয়ের আগে বন্ধ করে সচেতনতামূলকভাবে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারে কাজ করব। মানুষ যেন পার হতে পারে সে ব্যাপারে কাজ করব। আসলে কেউ আইন মানতে চাই না। আইন মানতে সহযোগিতা করুন।

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান