টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ম্যানচেস্টার শহর এবং ঢাকা উত্তর সিটি একসঙ্গে কাজ করবে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে উভয় শহরের পরিকল্পনা প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হবে।
পরিকল্পনা প্রতিবেদন প্রণয়ন করবে যথাক্রমে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে ‘গ্লোবাল নর্থ-গ্লোবাল সাউথ সিটি ডায়ালগ অন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল: ঢাকা অ্যান্ড ম্যানচেস্টার’ শিরোনামে এক সেমিনারে এসব কথা জানানো হয়।
সেমিনারে গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গ্রেটার ম্যানচেস্টার সিটির মেয়র অ্যান্ডি বারনাম এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মেয়র বলেন, ঢাকা ও ম্যানচেস্টার শহরের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। ম্যানচেস্টার শহরও কয়েক দশক আগে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির জন্য বিখ্যাত ছিল। আমাদের এখন গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে।
তিনি বলেন, একসময় টেমস নদী ঢাকার এখনকার খালগুলোর মতো দূষিত ছিল। তারা দূষণমুক্ত করতে পেরেছে আমরা এখনো পারিনি।
তবে আমরা নলেজ শেয়ারিং এর মাধ্যমে দুটি শহরের সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করতে পারি।
মেয়র আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর সিটির সমস্যাগুলো সমাধানে গবেষণা করার জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আহ্বান জানান।
জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট সমস্যাগুলো সমাধানে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে গ্লোবাল পার্টনারশিপের মাধ্যমে কাজ করা যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরের নাগরিক সেবা প্রদানে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন সত্যিই দুরূহ ব্যাপার।
অনেক কিছুই সিটি কর্পোরেশনের সেবার আওতাধীন না হলেও জনগণ মেয়রের কাছে সব সমস্যার সমাধান পাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে।
মেয়র আরো বলেন, বাংলাদেশে এখন বিদেশি বিনিয়োগ করা অত্যন্ত সহজ। তিনি যুক্তরাজ্যের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঢাকায় বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
ম্যানচেস্টার শহরের মেয়র অ্যান্ডি বারনাম ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে যৌথভাবে কাজ করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, টেকসই পরিবেশের কথা মাথায় রেখে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং একটি মানুষও যেন উন্নয়ন বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে দুটি শহরের মধ্যে পার্টনারশিপ গড়ে তোলা যেতে পারে।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ মার্সি টেম্বন, অধ্যাপক আইনুন নিশাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান

























