১০:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

স্ত্রী-সন্তানকে ‘বিষ খাইয়ে হত্যা’র পর বাবার আত্মহত্যা

রাজধানীর মিরপুর কাফরুল থানা এলাকার একটি বাসা থেকে বাবা-মা ও সন্তানসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন-বায়েজিদ আহমেদ,তার স্ত্রী অঞ্জনা ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়া তাদের একমাত্র ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় পরিবারের দুইজনকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন বায়েজিদ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত বায়েজিদের লাশ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আর বাকি দুইজনের লাশ ঘরের মধ্যে শোয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে।’


মিরপুরের ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় মা অঞ্জনা ও তার মাধ্যমিক পড়ুয়া সন্তান।

ডিসি আরও বলেন, ‘বায়েজিদের আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন, তিনি অনেক দিন ধরে ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এই টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না বলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তাই তিনি নিজেই স্ত্রী সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’

পুলিশ জানায়, নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।

ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকায় বায়েজিদ অনেক দিন থেকেই বসবাস করেন। তিনি ব্যবসার জন্য ব্যাংকসহ অনেক জায়গা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। তবে ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় সেই টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। সে কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।’

বিজনেস বাংলাদেশ-বি/এইচ

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

কুড়িগ্রামে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ডায়ালগ

স্ত্রী-সন্তানকে ‘বিষ খাইয়ে হত্যা’র পর বাবার আত্মহত্যা

প্রকাশিত : ০৭:১৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯

রাজধানীর মিরপুর কাফরুল থানা এলাকার একটি বাসা থেকে বাবা-মা ও সন্তানসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন-বায়েজিদ আহমেদ,তার স্ত্রী অঞ্জনা ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়া তাদের একমাত্র ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় পরিবারের দুইজনকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন বায়েজিদ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত বায়েজিদের লাশ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আর বাকি দুইজনের লাশ ঘরের মধ্যে শোয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে।’


মিরপুরের ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় মা অঞ্জনা ও তার মাধ্যমিক পড়ুয়া সন্তান।

ডিসি আরও বলেন, ‘বায়েজিদের আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন, তিনি অনেক দিন ধরে ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এই টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না বলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তাই তিনি নিজেই স্ত্রী সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’

পুলিশ জানায়, নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।

ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকায় বায়েজিদ অনেক দিন থেকেই বসবাস করেন। তিনি ব্যবসার জন্য ব্যাংকসহ অনেক জায়গা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। তবে ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় সেই টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। সে কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।’

বিজনেস বাংলাদেশ-বি/এইচ